ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুসরণ করার গুরুত্ব ও ফযীলত (৫৩)
, ২০ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৮ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২৬ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১১ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্য আয়াত শরীফে বলেছেন-
وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَنْ ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا
অর্থ : ঐ ব্যক্তির ইতায়াত করোনা, ঐ ব্যক্তির অনুসরণ করোনা, যে তার ক্বালব্কে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরে মশগুল রাখেনি। যার ক্বালব গাফিল হয়ে গেছে, যার অন্তর গাফিল হয়ে গেছে, তার ইতায়াত করোনা, তার অনুসরণ করোনা।
তার আমলগুলি সম্পূর্ণ শরীয়তের খেলাফ, সে নফসের পায়রবী করে। কাজেই যার ক্বাল্ব্, যার অন্তকরণ মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত হয়ে গেছে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হয়ে গেছে, তাকেই ইতায়াত করো।
সেটাই হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ওয়াকেয়ার মধ্যে ফুটে উঠেছে, উনি উনার সম্মানিত শায়েখ হযরত শাক্বীক্ব বল্খী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহ্বত ইখতিয়ার করার কারণে, উনি ইল্মে ফিক্বাহ, ইল্মে তাছাউফ দু’টোই অর্জন করেছেন। হাক্বীক্বীভাবে উনি নিজের মধ্যে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আমল নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করেছেন।
ঠিক হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ, ইমাম-মুজ্তাহিদগণ প্রত্যেকেই সেটা করেছেন। সেজন্য উনারা কামিয়াব। আমাদের মধ্যে সেটা নেই।
আমরা আমাদের মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত ধরলে, আমাদের হায়াত থেকে মউত পর্যন্ত, আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, চলাফেরা, উঠা-বসা প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমরা যদি লক্ষ্য করি, আমাদের মধ্যে কোথায় কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ? কোথায় আমাদের মধ্যে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আমল? বরং অনেক গাফলতি, অনেক ত্রুটি রয়েছে।
হ্যাঁ, যেহেতু মহান আল্লাহ পাক দয়ালু, মহান আল্লাহ পাক রহ্মানুর রাহীম, মহান আল্লাহ পাক ক্ষমাশীল, হয়ত মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করবেন। আমাদের ইস্তেগ্ফার করতে হবে এবং দোয়া করতে হবে, কোশেশ করতে হবে। এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا وَإِنَّ اللَّهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِينَ
অর্থ : যারা আমার রাস্তায় কোশেশ করে, আমাকে পাওয়ার জন্য لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا
অবশ্য অবশ্যই আমি আমার রাস্তা দেখায়ে দেব। আমাকে পাওয়ার রাস্তা আমি দেখিয়ে দেব এবং নিশ্চয়ই যারা মুহসিন, যারা নেক্কার, মহান আল্লাহ পাক উনার ওয়ালা আমি তাদের সাথে থাকি। আমাকে পাওয়ার জন্য কোশেশ করতে হবে তাহলেই কামিয়াবীর সম্ভাবনা আছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)