সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
, ১৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০১ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
নিসবাতুল আযীম শরীফ অনুষ্ঠানে তশরীফ আনয়নের সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে উম্মুল মু’মিনীন আল উলা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম এত অর্থ ব্যয় করেছিলেন যে, যেখানে নিসবাতুল আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয় সেখান থেকে উনার সম্মানিত হুযরা শরীফে তাশরীফ আনয়ন পর্যন্ত প্রতি কদমে একটি সোনার থালা মুবারক বিছিয়ে দিয়েছিলেন, যার উপর কদম মুবারক রেখে পবিত্র হুযরা শরীফে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তশরীফ মুবারক আনয়ন করেন। সুবহানাল্লাহ! যদি ১০০টি সোনার প্লেট বসানো হয়ে থাকে এবং প্রতি প্লেট ৫ থেকে ৭ কেজি ওজন ধরা হয়, তা হলে দেখা যায় ৫০০ থেকে ৭০০ কেজি স্বর্ণ, বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী ৩৫০ কোটি থেকে ৪০০ কোটি টাকা। সুবহানাল্লাহ! এ থেকে অনুমান করা যায় যে, উম্মুল মু’মিনীন আল উলা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি কত বেশী সম্পদশালিনী ছিলেন এবং কত বেশী তা’যীম তাকরীমের সাথে তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আপ্যায়ন করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র নিসবাতুল আযীম শরীফ উনার সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী হায়াত মুবারক ছিলেন ২৫ বছর এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার দুনিয়াবী বয়স মুবারক হয়েছিলেন ৪০ বছর। এই মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবাতুল আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয় ২২শে জুমাদাল উলা শরীফ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার)। সুবহানাল্লাহ! (সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম-১ম খন্ড)
শি‘বে আবু তালিবে অবরূদ্ধ জীবন:
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা হাবশায় হিজরত শুরু করার পর থেকে নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি কাফিরদের অসৎ আচরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। নবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের ৭ম বছর মুহররম মাস হতে উনাকে شعب أبى طالب (শি‘বে আবী ত্বালিব) নামক উপত্যকায় অবস্থান মুবারক গ্রহণ করেন। সীরতে ইবনে হিশামে উল্লেখ আছে: কুরাঈশগণ যখন দেখল যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ হাবশায় পূর্ণ নিরাপত্তা লাভ করেছেন এবং সম্রাট নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদেরকে আশ্রয় প্রদান করেছেন এবং সকল গোত্রে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার চর্চা শুরু হয়ে গেছে, তখন তারা পরামর্শ করে বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব সম্পর্কে এক অঙ্গীকার নামা প্রদান করে যার মৌলিক বিষয়বস্তু ছিল এইরূপ: বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব যতক্ষণ পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার জন্য তাদের নিকট সোপর্দ না করবে। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে কেউ আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপন করবে না, ক্রয় বিক্রয় করবে না, তাদের সাথে মেলামেশা ও কথাবার্তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখবে এবং তাদের নিকট কোন খাদ্য সামগ্রী পৌঁছতে দিবে না। (নাউযুবিল্লাহ) উপায়ান্তর না দেখে বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব “শি‘বে আবী তালিব” নামক এক পার্বত্য উপত্যকায় অবস্থান গ্রহণ করলেন। এই উপত্যকাটির অবস্থানস্থল হচ্ছে আবু কুবাইশ পাহাড় ও হেরা পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে। ইহা ছিল বনু হাশিম গোত্রের মিরাছী সুত্রে প্রাপ্ত। খাজা আবু তালিব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে ছিলেন। আবু লাহাব তার পরিবারবর্গ নিয়ে পৃথক হয়ে যায় এবং কুরাঈশদের সাথে যোগ দেয়। নূরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালামও এই উপত্যকায় ছিলেন। দীর্ঘ তিন বছর পর্যন্ত উনারা এই উপত্যকায় অবস্থান মুবারক করেন। প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে অতি সন্তর্পনে সেখানে খাদ্য পৌঁছান হতো। কতিপয় হƒদয়বান ব্যক্তি কোন কোন সময় উটে করে খাদ্য সরবরাহ করে যেতেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার তিন ভাতিজা হযরত হাকীম ইবনে হিযাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, আবুল বুখতারী এবং যুম‘আ ইবনে আসওয়াদ সকলই ছিলেন কুরাইশ নেতৃবর্গের অন্যতম। অমুসলিম হওয়া সত্বেও উনারা বিভিন্ন ভাবে একঘরে করা মুসলমানদের কাছে খাদ্যশস্য পাঠানোর ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
একদিন হযরত হাকীম বিন হিযাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু চাকরের মাথায় কিছু গম উঠিয়ে নিয়ে চলেছেন উনার ফুফু হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার নিকট। পথে নরাধম আবু জেহেলের সাথে দেখা। সে রাগতভাবে বলে উঠল: খাদ্য নিয়ে তুমি বনু হাশিমের কাছে যাচ্ছ? আল্লাহ পাক উনার কসম! এই খাদ্য সহ তুমি সেখানে যেতে পারবে না। যদি যাও, তোমাকে আমি মক্কা শরীফে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করব। এমন সময় আবুল বুখতারী সেখানে উপস্থিত হলো। সে বললো: তোমরা ঝগড়া করছ কেন? আবু জেহেল বলল: সে বনু হাশিমের কাছে খাদ্য নিয়ে যাচ্ছে। আবুল বুখতারী বললো: এ খাদ্য তো তার ফুফুর, হাকীমের কাছে ছিল। ফুফুর সে খাদ্য সে দিতে যাচ্ছে, আর তুমি তাতে বাধা দিচ্ছ কেন? পথ ছেড়ে দাও। কিন্তু আবু জেহেল তার কথায় কান দিল না। তখন দু’জনের মধ্যে মারপিট হলো। এতদসত্বেও হযরত হাকীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু খাদ্য পৌঁছাতে সক্ষম হলেন। এভাবে হযরত হাকীম বিন হিযাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মাঝে মাঝে খাদ্য পাঠাতেন (সীরতে ইবনে হিশাম)।
তবে প্রয়োজনের তুলনায় সে খাদ্য খুবই সামান্য ছিল। অনেক সময় খাদ্য না পৌঁছার কারণে উনাদেরকে না খেয়ে থাকতে হতো। খাদ্য পৌঁছতে না দেয়ার কারণে কোন কোন সময় উনাদেরকে গাছের পাতাও খেতে হয়েছিল। এভাবে পঞ্চাশের অধিক ব্যক্তিত্ব অতি দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে সেই পার্বত্য উপত্যকায় সময় অতিবাহিত করতে থাকেন। অবশেষে মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক জাহির হলেন। দুশমনের মধ্যেই তাদের পক্ষ হতেই লিখিত অঙ্গীকার ভঙ্গ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো। পবিত্র নবুওওয়াত ও রিছালত মুবারক প্রকাশের ১০ম বছরে উনারা শিবে আবী তালেব থেকে বের হয়ে আসেন। সুবহানাল্লাহ!
এককভাবে উনার ফযীলত ও মর্যাদা মুবারক:
সার্বিকভাবে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী সম্মান তো রয়েছেই, উপরস্তু সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার এককভাবে উনার অনেক অনন্য-সাধারণ বৈশিষ্ট-গুণাবলী ও ফাযায়েল-ফযিলত মুবারক ছিলেন। তিনি ছিলেন প্রথম ঈমান আনয়নকারী। সেই হিসাবে হাদীছ শরীফ অনুযায়ী-
فَلَهَا أَجْرُهَا وَ أجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا إلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ-
অর্থাৎ উনার নেক আমলের ছওয়াব তো উনি পাবেনই, উপরন্তু ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত লোক ইসলাম উনার উপর থেকে নেক আমল করবেন সকলের অনুরূপ নেক আমলের ছওয়াবও তিনি পাবেন (শরহে আল্লামা যারক্বানী আলাল মাওয়াহিব)।
দ্বীন ইসলাম উনার সূচনা পর্বে ওহী নাযিলের প্রারম্ভে অনেক ঘটনার কথা জানা যায়, যাতে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার অনুপম ধৈর্য, বিচক্ষণতা এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি প্রবল আবেগ ও বিশ্বাস এবং সর্বাবস্থায় উনার পাশে দাঁড়ানোর দৃশ্য ফুটে উঠে। এ সকল ঘটনা পর্যালোচনা করলে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে তা হচ্ছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আগমনের পূর্বেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব এবং তিনি নবী হিসেবেই প্রকাশিত হবেন। সেজন্যই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন উনার নিকট এসে বললেন, উনার নিকট হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এসেছেন, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ওহী মুবারক লাভ করেছেন, তখন ক্ষণিকের জন্যও সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মনে কোন দ্বিধা-সংশয় দেখা দেয় নি। তিনি যেন আগে থেকেই এমন একটি সুসংবাদ পাওয়ার প্রতীক্ষায় ছিলেন এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন। তাই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইসলাম কবুল করলেন।
দ্বীন ইসলাম গ্রহণের পর সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সমুদয় ধন-সম্পদ মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার ও প্রসারের জন্য ওয়াক্ফ করে দেন। উনার বিশাল ধন সম্পদ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মক্কা শরীফে অবস্থানকালীন সময়ে দীন ইসলাম উনার বিরাট খিদমতে কাজে লাগে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার উল্লেখযোগ্য মুবারক বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে একটি এই ছিল যে, তিনি পঁচিশ বছর পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ছোহবত মুবারকে কাটান এবং একমাত্র হযরত আন নুরুর রাবী (হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম) আলাইহিস সালাম ব্যতীত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুয়ূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সকল আওলাদই উনার পবিত্র হুজরা শরীফে বিলাদতি শান মুবারক প্রকাশ করেন। (ইবনে সা’দ)। এতদ্ব্যতীত এই সৌভাগ্যও তিনি লাভ করেন যে, তিনি হায়াত মুবারকে থাকতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আর দ্বিতীয় কোন নিসবাতুল আযীম শরীফ করেন নি।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার আভিজাত্য, সম্মান ও মর্যাদা মুবারক সর্বজন স্বীকৃত। হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে উনার জন্য সালাম মুবারক নিয়ে আসতেন। এক হাদীছ শরীফে হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, একবার হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন -
هذه حضرت جديجة عليها السلام، قد اتتك بإناء فيه طعام أو إدام أو شراب، فإذا هى أتتك فاقرأ عليها السلام من ربها و منى و بشرها ببيت فى الجنة من قصب لا صخب فيه ولا نصب -
অর্থ: এই যে হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি একটি পাত্র মুবারক নিয়ে আসছেন, উহাতে খাওয়ার দ্রব্য, তরকারী অথবা পানীয় রয়েছে। তিনি যখন আপনার নিকট আসবেন, তখন আপনি উনাকে উনার মহান রব তায়ালা উনার পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং উনাকে জান্নাতের মধ্যে মুক্তা খচিত এমন একটি ঘরের সুসংবাদ প্রদান করবেন, যেখানে না কোন শোরগোল রয়েছে, আর না কোন কষ্ট রয়েছে (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)।
তাবারানী শরীফে উল্লেখ আছে, এই খাদ্য বা পানীয় সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম হেরা পাহাড়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট নিয়ে যাচ্ছিলেন (শরহে যারক্বানী আলাল মাওয়াহিব)।
সীরত গ্রন্থসমূহে উল্লেখ আছে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি উনার খাদিমাকে সঙ্গে নিয়ে খাদ্য ও পানিয় হেরা পাহাড়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খেদমতে দিয়ে আসতেন। হেরা পাহাড় মক্কা শরীফ থেকে তিন মাইল উত্তর-পূর্ব দিকে একটি উঁচু পাহাড়। ইহার সর্বোচ্চ চূড়া যেখানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবস্থান মুবারক করছিলেন তা একেবারে সোজা, ঢালু ও পিচ্ছিল। সেখানে উঠা কোন পুরুষের পক্ষেও খুব কষ্টকর ছিল। ১৯৮৩/৮৪ সনে দেখা গিয়েছে, এই পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে প্রায় দুই ঘন্টার বেশী সময় লাগত এবং তা অত্যন্ত কষ্টকর ছিল। এটা ভাবতেও আশ্চর্য লাগে যে, যখন এই পাহাড়ে উঠার কোন ব্যবস্থাই ছিল না, তখন কিভাবে এবং কত কষ্ট করে এই পাহাড়ের চূড়ায় উঠে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খেদমতে খাদ্য ও পানীয় দিয়ে আসতেন? ইহা শুধু উনার সম্মানার্থে তিনি করতেন, নতুবা খাদ্য পৌঁছানোর জন্য উনার খাদিমের তো কোন অভাবই ছিল না।
তাবারানী শরীফে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত অন্য একটি হাদীছ শরীফে উল্লেখ আছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্কে সুওয়াল করা হলে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: জান্নাতের নদীসমূহের একটি নদীর নিকট একটি মুক্তা খচিত ঘরে আমি উনাকে দেখেছি, যেখানে নেই কোন শোরগোল, নেই কোন কষ্ট।
উপরোক্ত দু’টি হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় হযরত সুহায়লি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন যে, এখানে بيت (বাইত বা গৃহ) উল্লেখ করার মধ্যে একটি সূক্ষ্ম অর্থ রয়েছে, তা এই যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন দ্বীন ইসলাম উনার প্রারম্ভে এমন একটি গৃহের মালিক, যেখানে সর্বপ্রথম নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নবুওওয়াত মুবারক প্রকাশিত হয়। নবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের প্রথমে সেই একটি গৃহ ব্যতীত পৃথিবীতে ইসলামের অন্য কোন গৃহ ছিল না। এই বিষয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার গৃহটি একক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। সেজন্য পবিত্র হাদীছ শরীফে قصر (ক্বাছ্র অর্থাৎ প্রাসাদ) উল্লেখ না করে بيت (বাইত বা গৃহ) উল্লেখ করা হয়েছে, যা উনাকে জান্নাতে হাদিয়া করা হয়েছে। এখানে আরো একটি কারণ রয়েছে, বাইত শব্দ দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলে বাইত শরীফের দিকে ইঙ্গিত রয়েছে, যা কালামুল্লাহ শরীফে এই আয়াত শরীফে উল্লেখ রয়েছে
اِنَّمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَ يُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيْرًا
(আল্লাহ পাক তিনি ইচ্ছা করেন যেন, হে রসুলের আহলে বায়ত, আপনাদের নিকট থেকে নাপাকী দূর করে দেন এবং আপনাদেরকে অতিশয় পাক-পবিত্র করে নেন অর্থাৎ আপনাদেরকে পাক-পবিত্র করেই সৃষ্টি করেছেন)।
এখানে উল্লেখিত আহলে বাইত শরীফের মূল নিসবত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা সাইয়্যিদাতুনা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার দিকে রয়েছে। এই গৃহটি পবিত্র কা’বা শরীফের সন্নিকটে উত্তর দিকে কা’বা শরীফ ও জান্নাতুল মু’য়াল্লা কবরস্তানের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। কয়েক বছর পূর্বে সউদী ওহাবী সরকার এই বরকতময় গৃহটি ভেঙ্গে ইহার শেষ চিহ্ন মুছে ফেলেছে। নাউযুবিল্লাহ।
হযরত সুহায়লি রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেন যে, এই গৃহে কোন শোরগোল নেই এবং কোন কষ্ট নেই এই দু’টি গুণ পবিত্র হাদীছ শরীফদ্বয়ে উল্লেখ করা হয়েছে এজন্য যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্মানিত নবুওওয়াত ও রিসালত মুবারক প্রকাশিত হওয়ার পর যখন সর্বপ্রথম ঈমানের দিকে আহ্বান করেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম তিনিই এই ডাকে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব না করে সর্ব-প্রথম সাড়া দেন। পাশাপাশি তিনি সান্ত¡না দিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সকল প্রকার কষ্ট দূরীভূত করার প্রচেষ্টা করেছেন। কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার কাজের অনুরূপ পুরষ্কার উনাকে জান্নাতে হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ (শরহে ‘আল্লামা যারক্বানী ‘আলাল মাওয়াহিব)।
একটি হাদীছ শরীফের বর্ণনায় জানা যায়, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনাকে বললেন: হে হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম! স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম-উনার মাধ্যমে আপনাকে সালাম দিয়েছেন। উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উক্ত সালামের জওয়াব দিলেন এভাবে-
وَ السَّلَامُ عَلَيْكَ، وَ عَلَى جِبْرَائِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَإنَّ اللهَ هُوَ السَّلَامُ -
অর্থ: ইয়া রসুলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার প্রতি এবং হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম উনার প্রতিও আমার সালাম। আর আল্লাহ পাক তিনি তো নিজেই সালাম অর্থাৎ শান্তি দাতা। তিনি অন্য কোন সালামের মুখাপেক্ষী নন।
এই জওয়াব মুবারক থেকে উনার বেমেছাল বুদ্ধিমত্তা ও সুক্ষ্ম জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সারা জীবন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার কথা স্মরণ করেছেন। তিনি যখন ছাগল জবাই করতেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম-উনার খাদেমাদের নিকট গোশ্ত হাদীয়া পাঠাতেন। উনার সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেছেন,
وَ اللهِ مَا أبدلنى اللهُ خَيْرًا مِنْهَا: آمَنَتْ بِىْ حِيْنَ كَفَرَ النَّاسُ، وَ صَدَقَتْنِىْ إذْ كَذَّبَنِىَ النَّاسُ، وَاسَطْنِىْ بِمَالِهَا إذْ حَرَّمَنِىَ النَّاسُ، وَ رَزَقَنِىَ اللهُ مِنْهَا الْوَلَدُ دُوْنَ غَيْرِهَا مِنَ النِّسَاءِ -
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! মহান আল্লাহ পাক আমাকে যেসব নিয়ামত দান করেছেন, তম্মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বোত্তম। মানুষ যখন কুফরী করেছে, তখন তিনি আমার উপর ঈমান এনেছেন, মানুষ যখন আমার উপর মিথ্যারোপ করেছে, তিনি তখন আমাকে সত্য বলে সাক্ষ্য দান করেছেন, মানুষ যখন আমাকে মাহরুম করতে চেয়েছে, তিনি আমাকে উনার ধন সম্পদ দিয়ে খিদমত করেছেন। আর উনার মাধ্যমেই মহান আল্লাহ পাক আমাকে আওলাদ হাদিয়া মুবারক করেছেন, যা তিনি আমাকে অন্য কারো মাধ্যমে দেননি। (মুসনদে ইমাম আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি)।
মুসলিম শরীফের একটি হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন,
إنى قد رُزقتُ حبها
অর্থ মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার অন্তরে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার জন্য মহব্বত মুবারক সৃষ্টি করে দিয়েছেন (মুসলিম শরীফ)।
মহান আল্লাহ পাক সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনাকে এমন এক বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন, যা অন্য কাউকে দেন নি। তা হচ্ছে এই যে, তিনিই হচ্ছেন উম্মু আ’লে বায়তিন নাবীয়ে ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রথম মূল। সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নুরুর রাবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনারই সম্মানিত সন্তান; উনার নছব শরীফ থেকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলে বাইতে রসুলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতে রসুলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মাধ্যমে সম্মানিত আওলাদে রসুলগণ ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী আছেন এবং থাকবেন এবং দুনিয়াবাসীদের মধ্যে হিদায়েতের নূর দ্বারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম ক্বায়েম রাখবেন। সুবহানাল্লাহ!
(সূত্রসমূহ: উসুদুল গাবা, ইছাবা, তাবাকাত, বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, ইসলামী বিশŸকোষ, আসহহুস সিয়ার, আল্লামা আবদুর রউফ দানাপুরী কাদেরী, শরহে যারক্বানী আলাল মাওয়াহিব)
-আল্লামা সাঈদ আহমদ গজনবী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মালিকাতুল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র জীবনী মুবারক
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মালিকাতুল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র জীবনী মুবারক
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সীরত মুবারক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সীরত মুবারক
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সীরত মুবারক
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সীরত মুবারক (৩)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সীরত মুবারক (২)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সীরত মুবারক (১)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার জীবনী মুবারক
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী (২)
২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী (১)
২৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক
০৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)