যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ বিশ্ববাসীর জন্য এক অনবদ্য রহমত মুবারক (৩)
, ১৯ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৮ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ২৬ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ১২ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আল বাইয়্যিনাত শরীফ উলামায়ে “সূ”দের কবল থেকে ঈমান হিফাযতের উছীলা :
গভীর পরিতাপের বিষয় যে, বর্তমানে বাজারে এমন কিছু পুস্তক পত্রিকা, ওয়ায়েজ তথাকথিত আলিম বিদ্যমান যাদের কথা বিশ্বাস করলে ঈমানহারা হয়ে চির জাহান্নামী হতে হয়। যাদের প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “আখিরী যামানায় এমন কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জালে-কাজ্জাব বের হবে যারা এমন সব কথা বলবে, যা তোমরা শোননি এমনকি তোমাদের বাপ-দাদারাও শোনেনি। ” (মিশকাত শরীফ)
মূলত, এই হাদীছ শরীফ উনার প্রতিফলন আমাদের সমাজে ব্যাপকভাবে লক্ষ্যনীয়। আজকে উলামায়ে ‘সূ’রা আবহমান কাল ধরে মুসলিম মূল্যবোধে যে সব কাজ হারাম ও খারাপ বলে মূল্যায়িত হয়ে আসছে সেগুলোকে তারা হালাল করছে। তারা হালাল করছে ছবি, মেয়েলোকের নেতৃত্ব, বিজাতীয় বিধর্মীদের কর্মসূচী তথা লংমার্চ, হরতাল, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী আইন, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে নির্বাচন ইত্যাদি। কিন্তু মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার মধ্যে এসব কাজ বিস্তারিত দলীল-আদীল্লাহ সহকারে হারাম প্রমাণ করে দিয়েছে। ফলে উলামায়ে ‘সূ’দের মনগড়া ব্যাখ্যা ও খোড়া যুক্তির অসারতা এবং পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের খিলাফ বুঝতে পেরে মানুষ ঐসব হারাম কাজকে হারাম মনে করতে পারছে। মূলত, তাদের ঈমান হিফাযত হচ্ছে।
মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ অকাট্য তাজদীদী মুখপত্র :
আরবীতে দুটো কথা আছে, “ইবনুল ওয়াক্ত” ও “আবুল ওয়াক্ত”। “সময়ের সন্তান” আর “সময়ের পিতা” সময়ের প্রবাহমান ¯্রােতে সিক্ত হয়ে যেখানে নামধারী নাকেছ আলিম তথা উলামায়ে ‘সূ’রা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে হাজারো হারাম কাজে যুক্ত হয়ে সময়ের সন্তান রূপে গণ্য হচ্ছে সেখানে আল বাইয়্যিনাত শরীফ সব প্রয়োজনীয় বিষয়ে তার অকাট্য তাজদীদী রায় প্রকাশ করে দিয়েছে। করেছে ছবি তোলা, লংমার্চ, হরতাল, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী আইন, দ্বীন ইসলাম উনার নামে নির্বাচন ও গণতন্ত্র, রোযাবস্থায় ইনজেকশন ইত্যাদি অনেক অনেক বিষয় সম্পর্কে অকাট্য তাজদীদ।
আল বাইয়্যিনাত শরীফ, তাৎক্ষনিকভাবে আন্তর্জাতিক মুসলিম বিরোধী চক্রান্ত সম্পর্কে জাতিকে অবহিত করেছে :
আল বাইয়্যিনাত শরীফ হুজুগে মাতালদের বিপরীতে উম্মাহকে সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছে। উপসাগরীয় যুদ্ধে নামধারী আলিমরা যখন সাদ্দাম হুজুগে মেতে ঝড় তুলেছিল তখন আল বাইয়্যিনাত শরীফ দ্বীপ্ত পদক্ষেপে ছহীহ ভূমিকা পালন করেছিল। পাশাপাশি নামধারী আলিমরা যখন, ওসামা বিন লাদেন হুজুগে মত্ত হয়েছিল তখন তাৎক্ষনিকভাবেই মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ থেকে লাদেন ও তালেবান সম্পর্কে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। আর আজকের ঘটনাপ্রবাহের সত্যতায় এটাই আবারো প্রতীয়মান হয় যে, মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফই যামানার যে কোন বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে দিতে পারে দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন সঠিক সিদ্ধান্ত।
মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ দলীল বর্ণনার ক্ষেত্রে যুগান্তরকারী দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে :
দলীলের সংখ্যার ক্ষেত্রে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ইসলামী প্রকাশনার জগতে অকল্পনীয় দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। আল বাইয়্যিনাত শরীফ বর্তমান চলমান ২৯৫তম সংখ্যা প্রকাশে এ যাবত ফতওয়া দেয়া হয়েছে ৩৬টি। কিন্তু তাতে দলীল উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় বিশ হাজার। একইভাবে দুই সহ¯্রাধিক সুওয়াল-জাওয়াব প্রদানের ক্ষেত্রে দলীল দেয়া হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার। সুবহানাল্লাহ!
মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ সবাইকে সুন্নত শিখিয়েছে :
এতদিন যাবত যা হতো; আলিমরা বলত, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারক পালন করো, সুন্নত মুবারক পালন করো। কিন্তু সুন্নত মুবারক যে কি তা তারা নিজেরাও জানত না। আর বলতেও পারত না। কিন্তু মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ দলীল-প্রমাণ এমনকি চিত্রের সাহায্যে এক্ষেত্রে বেমেছাল ভূমিকা পালন করেছে। এখন কিয়ামত পর্যন্ত কোন বিষয়ে কি সুন্নত, কেমন জিনিস সুন্নত জানতে ও পালন করতে মানুষের আর কোন সমস্যা থাকছেনা ইনশাআল্লাহ! আর এ সব কিছুই হয়েছে মুহ্ইউস সুন্নাহ রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বদৌলতে। সুবহানাল্লাহ! তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন আর্ন্তজাতিক সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র। সুবহানাল্লাহ!
আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক :
আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার তুলনা আল বাইয়্যিনাত শরীফ নিজেই। দিগন্ত প্রসারী তাজদীদ, বেমেছাল ভূমিকার পেছনে কারণ একটাই- এ পত্রিকাটি, বর্তমান যামানার মহান ইমাম ও মুজাদ্দিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, আহলু বাইতে রসূল, রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত। এটি উনার তাজদীদী মুখপত্র। সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য এক অনবদ্য রহমত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
-আল্লামা আবূ খুবাইব আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)