মুসলমানরা সম্মিলিত হয়ে আমল করতে গেলেই বাধা দেয় একটি গোষ্ঠী (২)
, ২৬ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৪ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২১ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত
আবার বলতে পারেন- প্রচলিত মীলাদ শরীফ (দুরুদ-সালাম) এর দলিল নাই।
প্রশ্ন আসবে- নিষেধ করেছে কেউ? যদি নিষেধ না থাকে তবে আপনি বাধা দেয়ার কে?
আসলে প্রথমে অনেক কিছুই ছিলো না, লিখিত কুরআন শরীফ ছিলো না, হাদীছ শরীফ ছিলো না, খতম তারাবীহ ছিলো না, প্রচলিত মাদরাসা ব্যবস্থা ছিলো না, ওয়াজ মাহফিল, ইজতেমা, সভা-সেমিনার কিছুই ছিলো না। কিন্তু তারপরও আমরা সেগুলো করছি। দ্বীন ইসলাম মানুষ যেন সহজে গ্রহণ করতে পারে হালাল-হারাম সীমার মধ্যে সব কিছু করা যাবে।
ঠিক তেমনি ১৪০০ বছর আগের মানুষ যেমন ছিলো, এখন তো তেমন নেই। ইবাদত বন্দেগীতে সবাই গাফেল। শবে বরাতের রাতে একা একা ইবাদত বন্দেগী করতে গেলে অনেকেই ঘুমিয়ে পড়বে, করবে না। তাই সবাই মসজিদে একত্র হয়ে মুনাজাত করলো, যে যার মত নফল নামায পড়লো, তাতে সমস্যা কোথায়?
মীলাদ শরীফের ব্যাপারেও একই কথা। মীলাদ শরীফে তো কুরআন শরীফ, তাওয়াল্লুদ শরীফ, দুরুদ শরীফ, সালাম শরীফ, নাত শরীফ পাঠ করা হয়। সবগুলো মিলিয়ে সুসংগঠিত সুন্দর উপায়ে করার নাম দেয়া হয়েছে মীলাদ শরীফ। এখানে তো কোন হারাম বিষয় নেই, বরং প্রতিটি ছওয়াবের বিষয়। তাহলে সেটা কেন নিষেধ করতে হবে?
অনেকে বলতে পারেন, ভাই সবকিছু তো ইবাদত নয়, ইবাদতে নতুন কিছু সৃষ্টি করা যায় না?
আমি তাদেরকে বলবো, দ্বীনের মধ্যে ইবাদত কোনটা নয়, বলুন?
ইস্তিঞ্জাখানায় গিয়ে সুন্নত অনুসরণ করলে তা ইবাদত হবে, ছওয়াব পাবেন। আহলিয়ার কাছে যেতে সুন্নত অনুসরণ করলে, সেটাও ইবাদত হবে, ছওয়াব পাবেন।
আমরা যদি দ্বীন ইসলামকে ইবাদত ও অ-ইবাদত ভাগ করি, তবে সেটা খ্রিষ্টানদের মত হয়ে যাবে।
খ্রিষ্টানরা ভাগ করেছিলো দুইভাগে- বলতো, ধর্ম চালাবে চার্চ, রাষ্ট্র চালাবে রাজা। এই ভাগ করাকেই বলে সেক্যুলারিজম। দ্বীন ইসলাম সেক্যুলারিজমে বিশ্বাস করে না। দ্বীন ইসলামে কোন ভাগ নাই, পুরো জীবনটাই দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত।
যাই হোক, মূল কথা হলো, যদি চান মুসলমানদের মধ্যে সেই স্বর্ণযুগ ফিরে আসুক, মুসলমানদের একত্রিত করতে হবে। একতাবদ্ধ হতে হবে। আর একত্র হওয়ার জন্য সম্মিলিত আমল বা দিবসগুলোর উপর জোর দিতে হবে। বিদয়াত বিদয়াত করে আন্দাজে ও ভুল ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের মধ্যে দ্বিধা-বিভক্তি করলে চলবে না।
-জিয়াউদ্দিন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিধর্মীদের সাদৃশ্যপূর্ণ আমল কবুলযোগ্য নয়
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ পুনঃস্থাপন করতে হবে
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলিমদের ঈমানী দুর্বলতা ও হীনম্মন্যতার কুফল
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ উনার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যেই কাফির গোষ্ঠীদের দ্বারা সন্ত্রাসবাদীদের উত্থান
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উলামায়ে ছূ বা দুনিয়াদার মৌলভীরা কিয়ামতের পূর্বে মূর্তিপূজারী হবে, যা কিয়ামতের আলামত; যে সকল উলামায়ে ছূ পূজায় পাহারা দিচ্ছে তারা কাফির হয়ে গেছে
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাবর্ত চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র রোধে জাতীয় ঐক্য গড়তে হবে
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ধর্মব্যবসায়ীদের মন্দির পাহারা দেয়া সম্পর্কে দ্বীন ইসলাম কি বলে?
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে পূজা পালন করা নিয়ে আমার কিছু কথা
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কথিত তন্ত্র মন্ত্র ব্যর্থ, মুক্তির পথ দ্বীন ইসলাম তথা খিলাফত
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কথিত তন্ত্র মন্ত্র ব্যর্থ, মুক্তির পথ দ্বীন ইসলাম তথা খিলাফত
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শিল্প কারখানায় উচ্চ পদ থেকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ছাঁটাই করতে হবে
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শিল্প কারখানায় উচ্চ পদ থেকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ছাঁটাই করতে হবে
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)