সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নছীহত মুবারক থেকে সংগৃহীত
মহিমান্বিত দশ দিন ও দশ রাত্রি (পর্ব-১২)
, ০৯ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ০২ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
কুরবানীর গোশত বণ্টনের নিয়ম:
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
يَسْتَحِبُّ التَّصَرُّفُ ثُلُثٌ لِنَفْسِه ثُلُثٌ هَدْيَةٌ ثُلُثٌ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِيْنَ اِنْ كَانَتْ تَطَوُّعًا فَاِنْ كَانَتْ وَصِيَّةً يَتَصَدَّقُ بِجَمِيْعِهَا
অর্থ: কুরবানীকৃত পশুর গোশতের তিন ভাগের এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনের জন্য আর আরেক ভাগ গরিব-মিসকীনদের জন্য বণ্টন করা মুস্তাহাব সুন্নত; যদি কুরবানী নফল বা ওয়াজিব হয়। আর যদি কুরবানী মানতের হয় তাহলে পুরোটাই গরিব-মিসকীনদেরকে দান করে দিবে”।
উল্লেখ্য, কুরবানীদাতার সামর্থ্য থাকলে এভাবে গোশত বণ্টন করবে। অন্যথায় ঈদের দিনসহ পরবর্তী তিন দিন অর্থাৎ পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখে পরিবার-পরিজন বা অধিনস্থদেরকে তৃপ্তি সহকারে কুরবানীর গোশত খাওয়াবে।
আরাফার দিনের খুছূছিয়ত মুবারক:
পবিত্র সূরা ফজর শরীফ উনার ৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার শেষাংশে বলা হয়েছে-
وَالْوَتْرِ ﴿٣﴾
অর্থ : কসম বিজোড়ের”।
এখানে, বিজোড় দ্বারা আরাফার দিন উদ্দেশ্য। আরাফার দিন সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّه قَرَأَ اَلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَ اَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْاِسْلَامَ دِيْنًا وَعِنْدَه يَهُوْدِيٌّ فَقَالَ لَوْ نَزَلَتْ هٰذِهِ الْاٰيَةُ عَلَيْنَا لَاتَّخَذْنَاهَا عِيْدًا قَالَ اِبْنُ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَإِنَّـهَا نَزَلَتْ فِيْ يَوْمِ عِيْدَيْنِ فِيْ يَوْمِ جُـمُعَةٍ وَيَوْمِ عَرَفَةَ.
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই তিনি পাঠ করছিলেন এই পবিত্র আয়াত শরীফ- “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের সম্মানিত দ্বীন উনাকে পরিপূর্ণ করলাম, তোমাদের উপর আমার নিয়ামত মুবারক পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য ইসলাম উনাকে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করে সন্তুষ্ট হলাম”। তখন উনার কাছে একজন ইহুদী বসা ছিল। সেই ইহুদী ব্যক্তি বলল, যদি এই আয়াত শরীফ আমাদের ধর্মে নাযিল হত, তাহলে আমরা নাযিলের দিনটিকে ঈদ হিসেবে ঘোষণা করতাম। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, অবশ্যই এই পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে ‘জুমুয়া এবং আরাফা’ দুই ঈদের দিনে”। (তিরমিযী শরীফ)
অতএব বুঝা যায়, আরাফার দিনও মুসলমান উনাদের ঈদ সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি ঈদ।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ سَيِّدَتنَا حَضْرَتْ اُمُّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ اِنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَنْ يُعْتِقَ اللّٰهُ فِيْهِ عَبْدًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ وَإِنَّه لَيَدْنُوْ ثُمَّ يُبَاهِيْ بِهِمُ الْمَلَائِكَةَ فَيَقُوْلُ مَا أَرَادَ هٰؤُلَاءِ.
অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আরাফার দিনের চেয়ে এমন কোনো দিন নেই, যেদিন মহান আল্লাহ পাক তিনি জাহান্নাম থেকে বিপুল সংখ্যক বান্দাকে মুক্তি দান করেন এবং নিশ্চয়ই তিনি (সেদিন বান্দাদের) অধিক নিকটবর্তী হন অর্থাৎ রহমত মুবারক বর্ষণ করেন। অতঃপর তিনি বান্দাদের নিয়ে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছে ফখর করে বলেন, আমার এই বান্দারা কি চায়?” (মুসলিম শরীফ)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জন্মের প্রথম মাস
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে মু’মীনদের জীবন গড়ে তোলা দায়িত্ব-কর্তব্য
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৩)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নারীবাদী বলে কথা........
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)