মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী। অতএব, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু”মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জেনে উনাদের থেকে পবিত্র ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলার জন্য ফরয।
, ১৭ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১০ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ২৪ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২

ছাহিবাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু”মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী। আর সেটাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের কাছ থেকে তোমরা সম্মানিত দ্বীন শিক্ষা করো।” সুবহানাল্লাহ! তাই, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকেসহ সমস্ত সৃষ্টিকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’লীম মুবারক দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে অসংখ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছেন।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ছাহাবী হযরত আবূ মূসা আশ‘আরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, “আমরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম যখনই কোনো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বুঝতে অসুবিধা বোধ করেছি, তখনই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করেছি এবং এই বিষয়ে সঠিক ইলিম মুবারক অর্জন করেছি, সঠিক ফায়ছালা মুবারক পেয়েছি।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, দ্বাদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত শাহ্ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘ইযালাতুল খফা শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন, “এক রাতে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ঘুরে ঘুরে জনগণের অবস্থা দেখছিলেন। তখন তিনি এক ঘরের ছাদ থেকে একজন মহিলার আওয়াজ শুনতে পান। মহিলা কবিতা পাঠ করছেন- ‘এ রাত দীর্ঘ হয়ে গেছে, আঁধারও ছেয়ে গেছে অথচ আমার পাশে বন্ধু নেই যার সাথে মন দেয়া-নেয়া করব। মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি না হতেন, তাহলে তিনি ছাড়া আর কেউ ছিলনা বাধা দেয়ার। তখন এ খাটের সর্বাংশ অবশ্যই কাঁপতে থাকত। নিজ প্রতিপালকের ভয় ও লজ্জা আমাকে বাধা দিচ্ছে। তা ছাড়া নিজ স্বামীর মর্যাদাবোধ আমার রয়েছে। তাই তার সওয়ারীতে আমি তো অন্য কাউকে আরোহী করতে পারি না।’ সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এই কবিতা শুনে বলে উঠলেন, লা-হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। হে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! আপনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মহিলা উনাদের সাথে কিরূপ আচরণ করতেছেন? অতঃপর তিনি গিয়ে নিজের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মেয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার দরজা মুবারক-এ কড়া নাড়লেন। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম তিনি এগিয়ে এসে বললেন, ‘কী কারণে আপনি এই সময় এখানে উপস্থিত হয়েছেন? তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, দয়া করে আমাকে সংবাদ মুবারক দিন- কোনো মহিলার আহাল (স্বামী) দূরবর্তী স্থানে বা বিদেশে থাকা অবস্থায় মহিলা তার আহালের জন্য কতদিন ধৈর্য ধারণ করতে পারে? তিনি জবাব মুবারক দিলেন, ‘খুব বেশী হলে চার মাস।’ অতঃপর সকাল হওয়া মাত্র সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি সমস্ত গভর্নর বা দায়িত্বশীল উনাদের নিকট লিখিত ফরমান পাঠালেন- কোনো সৈন্যকে যেন বেশী দিন আটকে না রাখা হয়। বিশেষত বিবাহিত সৈনিকদের যেন চার মাস পরপর ছুটি দেয়া হয়।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সফর মুবারক-এ ছিলেন। এই সন্ধির অনেক শর্তাবলী বাহ্যিকভাবে সম্মানিত মুসলমান উনাদের স্বার্থ বিরোধী ছিল। এ কারণে সাধারণভাবে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা কাফিরদের উপর মনক্ষুন্ন ছিলেন। উনারা সন্ধির শর্তগুলির পরিবর্তন কামনা করছিলেন। কিন্তু সন্ধির শর্ত অনুসারে যেহেতু কারোই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফে যাওয়ার উপায় ছিল না। তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক করে দেন- সবাই যেন হুদায়বিয়া নামক স্থানে নিজ নিজ আনিত পশুগুলি কুরবানী করে দেন। পর পর তিন বার তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক দেন, কিন্তু হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক পালনের কোনো লক্ষণ দেখা গেল না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ ব্যাপারে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরামর্শ মুবারক করলেন। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে আপনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের উপর অসন্তুষ্ট হবেন না। দয়া করে আপনি কাউকে কিছু না বলে বাহিরে গিয়ে নিজের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরবানী মুবারক করুন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাতাহ্ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র চুল মুবারক) মু-ন করুন এবং সম্মানিত ইহ্রাম উনার কাপড় মুবারক খুলুন। তাহলে আপনার অনুসরণ মুবারক করে সকলেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরবানী মুবারক করবেন, মাথার চুল মু-ন করবেন এবং ইহ্রামের কাপড়ও বদলে ফেলবেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরামর্শ মুবারক অনুযায়ী তাই করলেন।
অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ মুবারক করে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা সকলেই তৎক্ষণাৎ নিজ নিজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরবানী মুবারক করেন, মাথার চুল মু-ন করেন এবং ইহ্রামের কাপড়ও বদলে ফেলেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরামর্শ মুবারক উনার মাধ্যমে মূহূর্তের মধ্যে একটি কঠিন সমস্যার সামাধান হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী। সুবহানাল্লাহ! উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দয়া-দান, ইহসান মুবারক উনাদের বদৌলতেই সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলে সম্মানিত ইলিম মুবারকসহ সমস্ত প্রকার সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক হাছিল করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ হাছিল করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! অতএব, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু”মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জেনে উনাদের থেকে পবিত্র ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলার জন্য ফরয।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মুসনাদে আহমদ শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার বাঁদী হযরত নুদ্বাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে (উনার মহাসম্মানিতা বোন উনার ছেলে অর্থাৎ উনার মহাসম্মানিত ভাগিনা) সাইয়্যিদুনা হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার মহাসম্মানিতা আহলিয়াহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার নিকট পাঠালেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার এবং উনার মহাসম্মানিতা আহলিয়াহ্ উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের সম্পর্ক খুব গভীর ছিলো। কিন্তু আমি দেখলাম যে, উনার মহাসম্মানিতা আহলিয়াহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার বিছানা মুবারক এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার বিছানা মুবারক থেকে পৃথক। অর্থাৎ উনারা উভয়ে পৃথক পৃথক বিছানা মুবারক-এ শয়ন করেছেন। ফলে আমি ভাবলাম যে, নিশ্চয়ই এটা জুদায়ীর লক্ষণ। অর্থাৎ উনাদের উভয়ের মাঝে জুদায়ী ঘটতে পারে। তখন আমি উনার মহাসম্মানিতা আহলিয়াহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহা উনাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি জবাবে বললেন যে, না; বরং আমি স্বাভাবিক মাজুরতার মধ্যে আছি। যখন আমি স্বাভাবিক মাজুরতার মধ্যে থাকি, তখন তিনি আমার বিছানার নিকটবর্তী হন না। (যার কারণে আমরা উভয়ে এখন আলাদা বিছানা মুবারক-এ শয়ন করেছি।) তারপর আমি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার নিকট এসে এ বিষয়টা আলোচনা করলাম। অর্থাৎ উনাকে পুরো বিষয়টা খুলে বললাম, তখন তিনি আমাকে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা উনার নিকট পাঠালেন। (উনাকে ডেকে আনার জন্য। যখন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ আসলেন, তখন) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি (হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা উনাকে উদ্দেশ্য করে) বললেন, আপনি কি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক থেকে দূরে সরে গেছেন? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তখনও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে (একই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছানা মুবারক-এ) ঘুমাতেন, যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শা’নিশ শাহ্রিয়্যাহ্ মুবারক (স্বাভাবিক মাজুরতা) প্রকাশ করতেন। এই অবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের মাঝে শুধু একটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কাপড় মুবারক থাকতো, যা দুই হাঁটু মুবারক অতিক্রম করতো।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্াস সালাম উনারা হচ্ছেন একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী। সুবহানাল্লাহ! উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দয়া-দান, ইহসান মুবারক উনাদের বদৌলতেই সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলে সম্মানিত ইলিম মুবারকসহ সমস্ত প্রকার সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক হাছিল করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ হাছিল করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! অতএব, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু”মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জেনে উনাদের থেকে পবিত্র ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলার জন্য ফরয।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
রঊফুর রহীম, হারীছুন আলাল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীর সমস্ত আরজী পূরণ করেন। তাই, প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে খাছভাবে রুজু হওয়া ও খাছ রেযামন্দি মুবারক হাছিল করা।
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বান্দা-বান্দী যদি মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করে, উনার শোকরগুজারী করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ইতমিনান দান করবেন এবং এমন কুদরতী রিযিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।..
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী ব্যক্তি জীবিত আর যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেনা সে ব্যক্তি মৃত। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- দুনিয়া পরিত্যাগ করে সম্মানিত শরীয়ত নির্দেশিত তারতীব অনুযায়ী দায়েমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাছিলের কোশেশ করা।
০৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যারা পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ-নিষেধ মুবারক অনুযায়ী জীবন পরিচালিত করে দুনিয়া হতে বিরাগ হয়ে পরকালের দিকে হাক্বীক্বীভাবে রুজু হওয়া।
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ইহসান উনার মাক্বামই শ্রেষ্ঠ মাক্বাম। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করে উনাদের দেয়া সবক অনুযায়ী আমল করার মাধ্যমে রূহানী কুওওয়াত অর্জন ও ইহসান উনার মাক্বাম হাছিল করতঃ ইখলাছ অর্জন করে হাক্বীক্বী ওলীআল্লাহ হওয়া।
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নেককারদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সুসংবাদ আর বদকারদের জন্য দুনিয়াতে লাঞ্চনা-গঞ্চনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি।
০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হায়াত, মাল-সম্পদ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হক্ব যারা আদায় করবেনা, তাদেরকে কিয়ামতের দিন অসহায় বকরীর ন্যায় উপস্থিত করা হবে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হে ঈমানদাররা! তোমরা ছদিক্বীন বা সত্যবাদী অর্থাৎ আল্লাহওয়ালা উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করো। প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন।
০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন।
০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র ঈদ ফ্যাশনের নামে ফ্যাশন হাউজগুলো কাফির-মুশরিক তথা বিজাতীয় অনুসরণে সম্মানিত শরীয়ত উনার খেলাফ পোশাকের অবাধ বিস্তার ঘটাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার এদেশে ফ্যাশন হাউজগুলো যে রকম ইচ্ছা সে রকমই পোশাক বাজারজাত করতে পারে না। আর মুসলমানরাও তা পরিধান করতে পারে না।
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের জন্য কোনো অবস্থাতেই বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, তাদের সাথে মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই। বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী।
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি উত্তম আচরণকারীগণই ছালিহীন হিসেবে পরিগণিত হবেন। একইভাবে ছালিহীন হতে হলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি উত্তম আচরণ করতে হবে, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করতে হবে।
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)