বিয়ে করার অন্যতম শর্ত পর্দা করা
, ১৮ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ১১ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
শরয়ী পর্দা পালন হচ্ছে বিয়ের জন্য অন্যতম জরুরী বিষয়। যদি কেউ পর্দা রক্ষা করতে না পারে তাহলে তার জন্য বিয়ে করা যে ফরয বা সুন্নত থাকে সেটা ছাকেত হয়ে যায়। যেহেতু পর্দা করা হচ্ছে ফরয। তাই তার সুন্নত ছাকেত হয়ে যাবে যদি সে পর্দা রক্ষা করতে না পারে। কারণ পর্দা করা হচ্ছে ফরয। বেপর্দা হলে এক একটা দৃষ্টিতে এক একটা কবীরাহ্ গুণাহ্। যে বিষয়টি পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে।
সেজন্য বলা হয়েছে, যখন কেউ বিয়ে করবে সে যেন সতর্ক হয়ে সাবধান হয়ে করে অর্থাৎ সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেই যেন সে বিয়ে করে। বিয়ের সাথে সাথে পর্দা করা ফরয এ দায়িত্বটাও তার উপরে আলাদাভাবে অর্পিত হয়।
একটি পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে যে, “নিশ্চয়ই তোমাদের কেউ যখন কোন মেয়েকে বিয়ে করবে তখন তার মাল বা অর্থ-সম্পদ, নসব বা বংশ, ছূরত এবং তার দ্বীনদারী-পরহেজগারী দেখে বিয়ে করো; তবে দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দিও।
অন্য পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে, হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, চারটা গুণ দেখে তোমরা বিয়ে করবে, মাল-সম্পদ দেখে, বংশ-নছব দেখে, ছূরত দেখে, এবং দ্বীনদারী-পরহেজগারী দেখে করবে, তবে দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দিও, অন্যথায় তুমি নিজেকেই নিজে ধ্বংস করে ফেলবে।
কারণ যদি কেউ দ্বীনদারী দেখে বিয়ে করে, তবে তার পক্ষে পর্দার যে ফরযটা রয়েছে সেটা আদায় করা সম্ভব হবে। আর যদি সে দ্বীনদারী-পরহেজগারী না দেখে, অন্য কিছু দেখে বিয়ে করে তাহলে তার পক্ষে পর্দা রক্ষা করা কঠিন হবে। যে পর্দা হচ্ছে ফরয এবং সেই পর্দাটা শুধু তার উপরেই থাকবে না তার সিলসিলা চলতে থাকবে। সাধারণত মায়ের তাছীর মেয়েদের উপর পড়বে। পর্যায়ক্রমে সিলসিলা চলতে থাকবে। যদি মা নেককার পরহেজগার হন তাহলে মেয়েরাও নেককার পরহেজগার কমবেশী কিছু তো হবেই। আর যদি মা নেক্কার-পরহেজগার না হয়। তাহলে অবশ্যই সন্তানের জন্য বিশেষ করে মেয়েদের জন্য নেককার পরহেজগার হওয়া খুবই কঠিন।
যে পর্দা করে না অর্থাৎ বেপর্দা সে তো কামিয়াবি হাছিল করতে পারবে না, জান্নাতি হতে পারবে না। জান্নাতের দরজায় লিখা রয়েছে, দাইয়্যুছ কখনও জান্নাতে প্রবেশ করবে না। দাইয়্যূছ কে? যে পুরুষ তার অধীনস্ত মহিলাদের পর্দা করায় না। অর্থাৎ অধীনস্ত বা মাতাহাত (ماتحت) স্ত্রী, মেয়ে বা যে মহিলা রয়েছে তাদের কে যে পর্দা করাবে না, যার গাফলতির কারণে পর্দার খিলাফ হবে সে দাইয়্যুছ বলে সাব্যস্ত হবে, এবং সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। কাজেই যারা বিয়ে করতে চায়, তাদেরকে অবশ্যই পর্দা করতে হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে শরয়ী পর্দা করার তাওফিক দান করুন।
-আহমদ মাশুক মারজান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (৩০)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)