পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (২)
, ১৫ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২১ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
যে নিয়মের ভিত্তিতে হালাল এবং হারাম নির্ণয় হয়েছে, খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তাও মানুষদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। যেমন খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ
অর্থ: “খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র বস্তুকে তাদের জন্য হালাল এবং অপবিত্র বস্তুকে তাদের জন্য হারাম করেছেন। ” (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫৭)
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এরই ভিত্তিতে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالَّذِي خَبُثَ لَا يَخْرُجُ إِلَّا نَكِدًا
অর্থ: “যা অপবিত্র তা হতে অপবিত্র ব্যতীত কিছুই বের হয় না অর্থাৎ হারাম দিয়ে কখনো হালালের আশা করা যায় না। ” (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
অনেক সময় দেখা যায় যে, প্রবৃত্তির পূজারী দুর্বলমনা ও স্বল্প জ্ঞানের অধিকারী কিছু লোক যখন এক সাথে কিছু হারামের কথা শুনতে পায়, তখন আঁতকে উঠে এবং বিরক্তির সুরে বলে সবই তো হারাম হয়ে গেলো, আপনারা তো দেখছি আমাদের জন্য হারাম ছাড়া কিছুই বাকী রাখলেন না। আপনারা আমাদের জীবনটাকে সঙ্কীর্ণ করে ফেললেন, মনটাকে বিষিয়ে দিলেন, জীবনটা একেবারে মাটিই হয়ে গেলো। কোনো কিছুর স্বাদ-আহলাদ আমরা ভোগ করতে পারলাম না। শুধু হারাম, হারাম, হারাম ফতওয়া দেয়া ছাড়া আপনাদের দেখছি আর কাজ নেই। অথচ মহান আল্লাহ পাক উনার দ্বীন সহজ সরল। তিনি নিজেও ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আর সম্মানিত শরীয়ত উনার গ-ি ব্যাপকতর। সুতরাং হারাম এত সংখ্যক হতে পারে না। নাউযুবিল্লাহ!
এদের জাওয়াবে আমরা বলবো, মহান আল্লাহ পাক তিনি যা ইচ্ছা তাই আদেশ করতে পারেন, উনার আদেশকে খ-ন করার শক্তি কারো নেই। তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ। সুতরাং তিনি যা ইচ্ছা হালাল করেছেন, যা ইচ্ছা হারাম করেছেন। তিনি পূত-পবিত্র।
মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত হিসেবে আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হবে- উনাদের আদেশের উপর সন্তুষ্ট থাকা। এবং সর্বান্তকরণে তা মেনে নেয়া। কেননা উনাদের দেয়া বিধানাবলী জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও ইনসাফ মুতাবিকই প্রকাশ পেয়েছে। সেগুলো নিরর্থক ও খেলনা বস্তু নয়। নাউযুবিল্লাহ!
যেমন খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَتَمَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ صِدْقًا وَّعَدْلًا لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
অর্থ: “বাস্তবতা ও ইনছাফের দিক দিয়ে আপনার মহান রব তায়ালা উনার কালাম মুবারক সততা ও ইনসাফে পরিপূর্ণ। উনার কালাম মুবারকের পরিবর্তনকারী নেই। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। ” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৫)
-আল্লামা মুহম্মদ নাজমুল হুদা ফরাজী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৫)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (২৭)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে হবে
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তাওয়াক্কুল তথা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ভরসা করার ফযীলত
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
“সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সুদের ভয়াবহতা
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)