ত্রিদেশীয় মহাসড়ক নেটওয়ার্কে বাংলাদেশের সংযুক্তি কতদূর
-রাজি ভারত, থাইল্যান্ড, সম্মতি দেয়নি মিয়ানমার
, ০৩ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৬ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১২ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) তাজা খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড মহাসড়ক নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যে জোয়ার আনবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে দুই বছর আগে বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় এই মহাসড়কে সংযুক্তির ইচ্ছা প্রকাশ করলেও এখনো তা ঝুলে রয়েছে। এক্ষেত্রে ভারত ও থাইল্যান্ড রাজি থাকলেও এখনো মিয়ানমারের সম্মতি মিলেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড মিলে ১ হাজার ৪০৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করবে। সেই সড়কে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার ইচ্ছার কথা ২০২০ সালেই নরেন্দ্র মোদিকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারপরও কেন সড়ক নেটওয়ার্কটিতে বাংলাদেশের সংযুক্তি নিশ্চিত হয়নি সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশকে সংযুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অনেক আগেই। থাইল্যান্ডেরও আপত্তি নেই বলে জানা গেছে। তারপরও বাংলাদেশের সংযুক্তি ঝুলে আছে এখনো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক্ষেত্রে আসলে মিয়ানমারের সম্মতি এখনো পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গড়িমসি করছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গা ইস্যু কেন্দ্র করেই প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলছেন, ভারত ও থাইল্যান্ড রাজি। এখন মিয়ানমার সম্মতি দিলেই বিমসটেকের আওতায় এই হাইওয়েতে বাংলাদেশ সংযুক্ত হবে।
রুটও ঠিক করে রেখেছে বাংলাদেশ:
কোন সড়ক দিয়ে এই ত্রিদেশীয় সড়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ সেই রুটগুলোও ঠিক করে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে মূলত কাজ করছে বাংলাদেশের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হওয়ার জন্য এরই মধ্যে তিনটি রুট চিহ্নিত করেছে সওজ। একটি হলো সিলেটের শ্যাওলা সুতারকান্দি রুট। দ্বিতীয় বিকল্প রুটটি হচ্ছে সিলেটের তামাবিল থেকে ভারতের ডাউকি এবং তৃতীয় রুটটি হলো বি-বাড়িয়ার আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলা পর্যন্ত।
জানা যায়, এসব রুটের উন্নয়নকাজও চলমান। তবে এসব রুট নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন আছে বলেই মনে করছেন সওজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের (ফরেন অফিস কনসালটেশন-এফওসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়। বৈঠকে ত্রিপক্ষীয় মহাসড়কে যোগদানের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে বর্ধিত সংযোগের উপর জোর দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত-মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড মহাসড়কে বাংলাদেশের সংযুক্তির ক্ষেত্রে এশিয়ান হাইওয়ে ও বিমসটেক রোড নেটওয়ার্কের সঙ্গে সমন্বয় করা জরুরি।
ত্রিদেশীয় মহাসড়ক নেটওয়ার্ক আসলে কী:
ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় মহাসড়ক ভারতের ‘লুক ইস্ট’ বা পুবে তাকাও নীতির অধীনে একটি নির্মাণাধীন মহাসড়ক যা ভারতের মণিপুর রাজ্যের মোরে শহরকে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ডের মায়ে সোত শহরের সঙ্গে যুক্ত করবে। এটি এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যে জোয়ার আনবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
মহাসড়কটিকে কম্বোডিয়া, লাওস এমনকি ভিয়েতনাম পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। ভারত থেকে ভিয়েতনাম পর্যন্ত প্রসারিত প্রস্তাবিত আনুমানিক ৩ হাজার ২০০ কি.মি. দীর্ঘ সড়কটিকে পূর্ব-পশ্চিম অর্থনৈতিক করিডোর নাম দেওয়া হয়েছে।
থাইল্যান্ড থেকে কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম পর্যন্ত অংশটি ২০১৫ সালে চালু হয়। মহাসড়কটি চিন্দউইন নদীর উপরে নির্মীয়মান কালে ও মণিওয়া নদীবন্দরগুলোর সঙ্গেও সংযুক্ত হবে।
লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম পর্যন্ত প্রসারিত হলে এই সংযোগসড়কটি বাৎসরিক ৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত জিডিপি এবং প্রায় ২ কোটি লোকের কর্মসংস্থান অর্জনে সাহায্য করবে।
২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারত-আসিয়ান সংযুক্তি প্রকল্পগুলোর জন্য ভারত সরকার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের ব্যবস্থা করে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ ঢাকার সঙ্গে সংযুক্তি শক্তিশালী করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এই মহাসড়ক প্রকল্পে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে।
বাংলাদেশের লাভ কি:
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশ এই ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যোগ দিতে আগ্রহী। এটিতে যোগ দিলে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ট্রান্স বর্ডার করিডোরে নতুন অধ্যায় খুলে যাবে বাংলাদেশের জন্য।
বাংলাদেশ ভারতের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে পারবে। এটি হলে বাংলাদেশের ট্রাক সরাসরি ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল চলে যাবে। এ ছাড়া আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গেও বাংলাদেশের কানেকটিভিটি বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে বাণিজ্যও।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি কমিউনিটি তৈরি করাটা যদি লক্ষ্য হয়, তাহলে তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রসর হওয়াটা কঠিন হবে না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আন্দোলনে আহত-নিহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া নিয়ে হাইকোর্টের রুল
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আসিফ, এটা সত্য নয় -ফরহাদ মজহার
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিললো গ্যাসের সন্ধান
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
একাধিক অভিযানে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী সেনাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছেন মুজাহিদ বাহিনী
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইসরায়েলি সন্ত্রাসী সেনাদের মধ্যে ট্রমা, আত্মহত্যার হার বাড়ছে
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১৫ দিনের মধ্যে গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদের দালাল মুক্ত করার দাবি
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফিলিস্তিন ও ভারতসহ সারা বিশ্বে মুসলমানদের প্রতি অন্যায় জুলুম বন্ধ করে ইনসাফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার ১৭ দফা দাবী
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুজাহিদ বাহিনীর স্নাইপিং টার্গেটেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে ইসরাইলী সন্ত্রাসী সেনাদের
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বছরে উৎপাদন ১ টন: কফি চাষে সফল টাঙ্গাইলের ছানোয়ার
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মিয়ানমার সীমান্ত আবারও অশান্ত, রাতভর গোলার শব্দ
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রেস্তোরাঁ ব্যবসায় মন্দা
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)