আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৫ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “যাহিরী মানুষ বুঝে, বাত্বিনী তো মানুষ বুঝে না। বাত্বিনী বুঝে মানুষ? বাত্বিনী বুঝে না। যিকির-ফিকির না করলে তো বুঝবে না। আমরা যে বলি বড় আমল হচ্ছে দুইটা। এক. সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। এটা হচ্ছেন যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে বড় আমল। দুই. সুন্নত মুবারক ইত্তিবা করা। এটা হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আমল মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মহান আল্লাহ পাক উনার আমল মুবারক। এটা আমল করলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিসবত-কুরবত, মুহব্বত হাছিল হয়। আর সুন্নত মুবারক ইত্তিবা করলে যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিসবত-কুরবত, মুহব্বত হাছিল হয়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) বুঝতে পারলে?

লক্ববের তো শেষ নেই। কোটি কোটি লক্বব। বুঝতে পারলে? সাধারণত তাছাউফের কিতাবে বলে- আব্দিয়াতের মাক্বাম হচ্ছে সর্বশেষ মাক্বাম। আসলে এটা ঠিকই আছে। আব্দিয়াতের মাক্বমই শেষ মাক্বাম। কারণ আব্দ মানে বান্দা হওয়া, গোলাম হওয়া। আসলে গোলাম তো মত মিলিয়ে দিতেই বাধ্য। না মিলিয়ে তো উপায় নেই। তাকে মিলাতেই হবে। সে তো নিজ থেকে মত প্রকাশ করতে পারবে না। সে তো গোলাম। এই গোলম হওয়াই হলো মূল বিষয়। এটা হলো আব্দিয়াতের মাক্বাম। নিজের কোনো মত-পথ থাকবে না। সমস্ত মতÑপথ বাদ দিতে হবে। যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা যা বলেন, ঠিক সেটাই পালন করতে হবে। তখন সে বান্দা হবে। এটা আব্দিয়াতের মাক্বাম। এটা হচ্ছে ইলমে তাছাউফ মশক্ব করে মানুষ সেই মাক্বামে উঠতে পারলে এটা হলো চূড়ান্ত পর্যায়ের মাক্বাম।

কতজন মত মিলাতে পারলো? সবাই নিজের মতটা প্রতিষ্ঠা করতে চায় সব অবস্থায়। এটা কিন্তু খুব ফিকির করবে, বুঝার চেষ্টা করবে। সবাই মত মিলাতে পারে না সব অবস্থায়। এই যে ‘রেযা বর কাযা বা তক্বদীরে সন্তুষ্ট থাকা’ এটা তো কঠিন একটা বিষয়। কঠিন।

আব্দিয়াতের মাক্বাম হচ্ছে ইলমে তাছাউফের সর্বশেষ মাক্বাম। এটা হচ্ছে বান্দার তরফ থেকে। আর যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম কোনটা? ‘সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ’। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম কোনটা? জানো সেটা? সেটা হলো- ‘সুলত্বানুন নাছীর’। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) বুঝতে পারলে? যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ’ উনার মাক্বাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছেন- ‘সুলত্বানুন নাছীর’। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি যখন মক্কা শরীফ বিজয় করলেন, প্রবেশ করলেন, তখন

وَاجْعَلْ لِّـىْ مِنْ لَّدُنْكَ سُلْطَانًا نَّصِيْـرًا

অর্থ: “আর আপনি আমাকে আপনার তরফ থেকে ‘সুলত্বানুন নাছীর’ হাদিয়া মুবারক করুন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বানী ইসরাঈল শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৮০)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ তিলাওয়াত মুবারক করতেছিলেন।

‘সুলত্বানুন নাছীর’ হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।