ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক (১০৮)
, ১৭ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ০২ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৫ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা রবীউছ ছানী শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি সবসময় এটা বলি যে, মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দী-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে হলে অবশ্যই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিসবত হাসিল করতেই হবে। এটা ফরযে আইন। এছাড়া কোনো ব্যবস্থা নেই। এটা কিন্তু খুব ফিকির করতে হবে।
একখানা ঘটনা মুবারক। তোমাদেরকে আমার বলার ইচ্ছা ছিলো না; কিন্তু এই প্রসঙ্গে একখানা ঘটনা মুবারক বলবো। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একখানা ঘটনা মুবারক। এই কয়েকদিন আগে আমাকে দেখানো হচ্ছিলো- যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি অনেক বড় একটা বালাখানা তৈরী করেছেন। এটা শুরু নেই, শেষ নেই, উচ্চতাও নেই, নিচেরও বর্ণনা নেই। এটা কল্পনাতীত। এরপর সেই বালাখানার মধ্যে আমাকে নিলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা কতো তালা উচা বা কতো চওড়া-লম্বা, সেটা মানুষের দৃষ্টির বাইরে। আমাকে প্রবেশ করালেন। আমি প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করার পরে এক জায়গায় নেয়া হলো। নেওয়ার পরে একটা কামরা, রুম। মোটামোটি রুমটা ৪০০-৫০০ স্কয়ার ফুট হবে। বলা হলো- এটা আমার জন্য পবিত্র খানক্বাহ্ শরীফ তৈরী করা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা কোথায়? আমাকে বলা হলো- একটা ওয়াল, ওয়ালের ঐ পাশে হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার বাম পাশেই আমার পবিত্র খানক্বাহ্ শরীফ। শুধু মাঝে একটা ওয়াল। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) বসানো হলো, আমি বসলাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার পাশে। আমি বসে কিছু বলি নি। আমি শুধু একটু চিন্তা করতেছিলাম- পবিত্র খানক্বাহ্ শরীফ ছোট না, বড়ই। ৪-৫শ স্কয়ার ফুট তো ছোট না, মোটামোটি বড়। আমি একটু চিন্তা করলাম- যদি আরো লোক বেশী হয়, তাহলে এখানে জায়গা হবে কি করে? আমি চিন্তা করার সাথে সাথে আমি দেখলাম, এই রুমটা আমার চোখ মুবারক উনার যতটুকু দৃষ্টি ততটুকু বড় হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এরপর আবার স্বাভাবিক হলো। তখন আমাকে বলা হলো- আসলে এটা হচ্ছে কুদরতী হুজরা শরীফ, কুদরতী খানক্বাহ্ শরীফ, কুদরতী বালাখানা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখানে যখন যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু বৃদ্ধি হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আর কোথায় স্থানটা দেয়া হলো? সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একদম পাশে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) শুধু মাঝখানে একটা ওয়াল। সামনে রাস্তা। আমার দরজাটা যেমন সামনে, ঠিক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার দরজাটাও ঠিক সামনে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এখন অনেক কিছু! এতো সব তো ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না। সংক্ষিপ্ত যেটা আমার ভাষায় সেটা হলো- বক্তব্যের মূল বিষয় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য যে আমরা এতো কোশেশ করতেছি, যদিও আমাদের কোশেশটা কিছুই না, বিন্দু থেকে বিন্দুতমও না। এই কোশেশের কারণে বা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কারণে অথবা আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র করার কারণে, অন্যান্য কার্যক্রম করার কারণে, উনার খুছুছিয়াত-বৈশিষ্ট্য, বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে উনার সম্মানার্থে উনার পাশেই আমাকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এখন তাহলে এগুলির ফযীলত মুবারক কতটুকু? এখন ফিকির করো তোমরা। তোমরা তো এটাও বুঝতে পারবে না। তোমাদের বুঝার জন্য বললাম। কাজেই বিষয়টা এতো সহজ বিষয় না।
যেটা বললাম যে, ক্বিয়ামতের দিন প্রত্যেকেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটবর্তী হতে চাবে। এখন সেই নিকটবর্তী যেই বিষয়টা, সেটা যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনি এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা খুশি হয়ে আমাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাশেই স্থান দিলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) কাজেই এটা ফিকির করতে হবে।
এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র, বা এই ছিরাতুল মুসতাক্বীম বা আমাদের যা কার্যক্রম আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে বুলন্দী শান মুবারক আমরা আলোচনা করি, বলে থাকি প্রকাশ করার কোশেশ করে থাকি। উনার তো শান মুবারক বুলন্দ হয়েই আছে; সেটা প্রকাশের জন্য যে আমরা কোশেশ করি, এতে উনারা সন্তুষ্ট হয়ে সেই ব্যবস্থাটা করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
সেজন্য আমরা বলি যে, দুনিয়াতে প্রতিযোগীতা করে মানুষ। কিন্তু দুনিয়ার প্রতিযোগীতা তো দুনিয়ায় শেষ হয়ে যাবে। ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু পরকালের প্রতিযোগীতা কোথায় গেলো? পরকালে যদি সেভাবে থাকতে হয়, তাহলে তো সেভাবে ইন্তিজাম-আঞ্জাম দিতে হবে। আমি তো সেটাই বলি সবসময়।
এখন তোমাদের গাফলতির কারণে তোমরা কি করে ফায়দা লাভ করবে? গাফলতী করলে তো ফায়দা লাভ করা যাবে না। গাফলতী তো করা যাবে না।
আমরা যে বলি যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি না; এছাড়া সব। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা কিন্তু মানুষ বুঝতে পারে না। এটাও বুঝতে হবে। উনার প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্, সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক পোষণ করতে হবে। তখন মানুষের পক্ষে এই বিষয়গুলি বুঝা সহজ-সম্ভব হবে। তখন উনার নৈকট্য লাভ করা সহজ এবং সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
কাজেই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ আমরা অনন্তকাল জারী করেছি। এখন ৪৫ দিনের জন্য অর্থাৎ ৯০ দিনের জন্য, যার শেষ প্রান্তে আমরা পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু অনন্তকাল তো শেষ হবে না। সে জন্য আমরা বলি- আমরা হায়াতে তো করে যাচ্ছিই, ইনশাল্লাহ আমরা ইন্তিকালের সময়ও করবো, কবরে করবো, হাশরে করবো, নশরে করবো, মীযানে, পুলছিরাতে এবং জান্নাতে যেয়েও অনন্তকাল করতে থাকবো। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
কাজেই বিষয়গুলি ফিকির করতে হবে। এখন সব জাগায় প্রতিযোগীতা আছে। এখন ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। আর যে প্রতিযোগীতায় উত্তীর্ণ হলো, তার পক্ষে সম্ভব হবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেশি নৈকট্য লাভ করা। ঐযে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছেন,
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ كَانَ مَعِىَ فِـى الْـجَنَّةِ
‘আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক উনাকে অর্থাৎ আমাকে অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যিনি হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম, সম্মান মুবারক করতে পারবেন, খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম মুবারক দিতে পারবেন, তিনি সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই থাকবেন।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
বুঝতে পারলে এখন বিষয়টা? মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে সব বর্ণিত রয়েছেন। সবই সত্য। মানুষ জানে না এগুলি। বুঝে না মানুষ। সব সঠিক। একশতে না, কোটিতে কোটি আরো বেশি। এইজন্য অনন্তকাল পালন করার যেই বিষয়টা, এটাও বুঝতে হবে। এখন আমাদের এখানে এই ৯০ দিনের ইন্তিজাম। এটা তো বিশেষ ইন্তিজাম। এটা শেষ হলে যে এটা বন্ধ হবে এমন না। চলতে থাকবেন, জারী থাকবেন। এখন যতো জারী করা যাবে, যতো নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক করা যাবে, যতো উনার বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ করা যাবে, ততো বেশি উনার নৈকট্য লাভ করা যাবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এছাড়া তো কোনো দিন সম্ভব না।
এখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক সম্বোলিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র বা অন্যান্য যা কিছু আছে, আমরা যা করে থাকি, এই বিষয়গুলির সাথে তোমাদের সম্পৃক্ত-সংযুক্ত হতে হবে। তাহলে যদি তোমরা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করতে পারো, পারতে পারো। এছাড়া তো পারা সম্ভব হবে না। এটা মনে রাখতে হবে।
কাজেই যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ তিনি যেন আমাদেরকে হাক্বীক্বীভাবেই উনার মহাসম্মানিত ও মহাপিবত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী নিসবত-কুরবত, মুহব্বত-মা’রিফত এবং নৈকট্য মুবারক লাভ করার তাওফীক্ব দান করেন।” (আমীন!)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আওলাদি রসূলিল্লাহ, জামিয়াতুল মাক্বামাত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীমাহ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২২)
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (২)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নযরে রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৮)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২১)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)