নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাস রমাদ্বান শরীফ উনাকে সম্মান করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে পবিত্র জান্নাত দিয়ে এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত দিয়ে সম্মানিত করবেন।’ সুবহানাল্লাহ!
আসন্ন মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছেন- শাহরুন আ’যীম অর্থাৎ মহাসম্মানিত মহান মাস। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার হক্ব যথাযথ আদায় করার জন্য এখন থেকেই সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা। ।
আর খাছ করে সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য ফরয হচ্ছে- এ মহাসম্মানিত মাস উনার পবিত্রতা রক্ষার্থে এখন থেকেই গান-বাজনা, খেলাধুলা, বেপর্দা-বেহায়াপনাসহ সর্বপ্রকার হারাম-নাজায়িযসহ শরীয়ত বিরোধী যাবতীয় কার্যক্রম কঠোরভাবে বন্ধ ঘোষণা করে দেয়া পাশাপাশি মুসলমানরা যেন সঠিকভাবে পবিত্র রমাদ্বান শরীফের হক্ব যথাযথ আদায় করতে পারে সেজন্য অফিস-আদালতে ডিউটি কমিয়ে দেয়া। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূর্ব থেকেই ছুটি ঘোষণা করা আর সাথে সাথে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরীক্ষাও মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে না নিয়ে পরবর্তী মাসে
, ২৫ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৭ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে, মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হলো ছবরের মাস, আর ছবর উনার বিনিময় হলো জান্নাত, এটা সহানুভূতির মাস। এটা এমন মাস, যে মাসে মু’মিনের রিযিক বৃদ্ধি করা হয়। যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান ছাওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের ছাওয়াবও কম হবে না। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের প্রত্যেকের তো এমন সামর্থ্য নেই, যা দ্বারা আমরা রোযাদারকে ইফতার করাবো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি এ ছাওয়াব দান করবেন তাকে, যে এক চুমুক দুধ দ্বারা অথবা একটি খেজুর বা খোরমা দ্বারা অথবা এক চুমুক পানি বা শরবত দ্বারা কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে। আর যে ব্যক্তি তৃপ্তি সহকারে রোযাদারকে খাদ্য খাওয়াবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে আমার পবিত্র হাউজে কাওছার হতে পানি পান করাবেন, যার কারণে জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত তার পিপাসা লাগবে না। সুবহানাল্লাহ! ওটা এমন এক মাস, যে মাসের প্রথম দশদিন ‘রহমত’ দ্বিতীয় দশদিন ‘মাগফিরাত’ আর তৃতীয় দশদিন হচ্ছে জাহান্নাম হতে ‘নাজাত’ লাভ করার মাস। আর যে ব্যক্তি মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মধ্যে তার কর্মচারীর কাজ কমিয়ে দিবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ক্ষমা করবেন ও জাহান্নাম থেকে নাজাত দিবেন। সুবহানাল্লাহ! (বায়হাক্বী ফি শুয়াবিল ঈমান)
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আসন্ন মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছেন- শাহরুন আ’যীম অর্থাৎ মহাসম্মানিত মহান মাস। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার হক্ব যথাযথ আদায় করার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য ফরয হচ্ছে- এ মহাসম্মানিত মাস উনার পবিত্রতা রক্ষার্থে এখন থেকেই গান-বাজনা, খেলাধুলা, বেপদা-বেহায়াসহ সর্বপ্রকার হারাম-নাজায়িযসহ সম্মানিত শরীয়ত বিরোধী কাজ কঠোরভাবে বন্ধ ঘোষণা করা। পাশাপাশি মুসলমানরা যেন সঠিকভাবে পবিত্র রমাদ্বান শরীফের হক্ব আদায় করতে পারে সেজন্য অফিস-আদালতে ডিউটি কমিয়ে দেয়া এবং সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূর্ব থেকেই ছুটি ঘোষণা করা আর সাথে সাথে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরীক্ষাও মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে না নিয়ে পরবর্তী মাসে পিছিয়ে দেয়া এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পূজা করা সুস্পষ্ট কুফরী-শিরকী। পহেলা বৈশাখ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ই বিধর্মীদের পূজার অন্তর্ভূক্ত। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে, কুফরী ও শিরকী সম্বলিত পহেলা বৈশাখ ও তৎসংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয় হতে নিজেকে সার্বিকভাবে বিরত রাখা।
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূল আর রবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এবং নকশবন্দিয়া-মুজাদ্দিদিয়া তরীক্বা উনার ইমাম, আফদ্বালুল আউলিয়া হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া মুতাবিক- মুসলমানদের জন্য পহেলা বৈশাখসহ যেকোনো নববর্ষ পালন করা কাট্টা হারাম, কুফরী ও ঈমান নষ্টের কারণ। নওরোজ বা নববর্ষ তথা কথিত বাংলা প্রকৃতপক্ষে ফসলী নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ মজুসী-মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধদের পূজার অংশ এবং তর্জ-তরীক্বা। এতে মুসলমানদের কোন অংশ নেই।কাজেই, পহেলা বৈশাখ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় হারাম ও কুফরী কার্যক্রম, পূজা-পার্বন এবং শরীয়ত বিরোধী এ হারাম কাজ উপলক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খুশি প্রকাশ করা হতে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরযে আইন।
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শাওওয়াল শরীফ। অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, মহাসম্মানিত ১২ই শরীফে” পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সেহেতু প্রতি আরবী মাসের এ মুবারক আ’দাদ শরীফ বা তারিখটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ছেলে-মেয়ের বিবাহের বয়স নির্দিষ্ট করে দেয়া বা বাল্য বিবাহে বাধা সৃষ্টি করা কাট্টা কুফরী। মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ঈমানদারদের বিবাহের কোন বয়স নির্দিষ্ট করে দেননি।
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা খাছ সুন্নত মুবারক ও জিহাদ স্বরূপ। বর্তমান সময়ে ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক।
০৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিধর্মীরা তাদের পণ্যদ্রব্যগুলো মুসলমান দেশে বিক্রি করে তার লভ্যাংশ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যয় করে। নাউযুবিল্লাহ! যার সাক্ষাত প্রমাণ হচ্ছে- পরগাছা ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী ইসরাইলের কর্মকাণ্ড।
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মু’মিন-মুসলমানরা যেন তাদের ছিরত-ছুরতে, খাওয়া-দাওয়ায়, উঠা-বসায় অর্থাৎ জীবনের প্রতিটি পদে পদে পবিত্র সুন্নত মুবারক পালন করতে পারে- সে উদ্দেশ্যেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে- “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র”। সুবহানাল্লাহ! কাফির-মুশরিকদের তর্জ-তরীক্বা, রীতি-নীতি বাদ দিয়ে একজন মুসলমানকে পরিপূর্ণ সুন্নত মুবারক উনার রঙ্গে রঞ্জিত হতে হলে “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র” উনার বিকল্প নেই।
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক বেমেছাল ফযীলতযুক্ত ৭ই শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি এই সুমহান দিন হচ্ছেন- মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দ্বিতীয় জিহাদ পবিত্র উহুদ জিহাদ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তাক্বওয়া হাছিল বা মুত্তাক্বী হওয়াই পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মূল শিক্ষা। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মাধ্যমে অর্জিত তাক্বওয়া পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার পরবর্তী মাসগুলোতেও বজায় রাখতে হবে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসে ৬টি রোযা রাখা খাছ সুন্নত মুবারক এবং অশেষ ফযীলত লাভের কারণ। উল্লেখ্য, পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাস উনার ছয়টি রোযা এবং পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ক্বাযা রোযা এক সাথে আদায় করার নিয়ত করলে শুধুমাত্র পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ক্বাযা রোযা আদায় হবে; পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাস উনার সুন্নত রোযা আদায় হবে না। এটাই ছহীহ এবং ফতওয়াগ্রাহ্য মত।
০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসে ৬টি রোযা রাখা খাছ সুন্নত মুবারক এবং অশেষ ফযীলত লাভের কারণ। উল্লেখ্য, পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাস উনার ছয়টি রোযা এবং পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ক্বাযা রোযা এক সাথে আদায় করার নিয়ত করলে শুধুমাত্র পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ক্বাযা রোযা আদায় হবে; পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাস উনার সুন্নত রোযা আদায় হবে না।
০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)