আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দেশীয় কাঁচাবাজার সব জায়গায়ই অমার্জনীয় তথ্য বিভ্রাট। উন্নয়নের দাবীদার সরকারের কাছে পরিসংখ্যানের এরূপ গরমিল কোনোভাবেই কাম্য নয়
, ১৭ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২০ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববাজারে পণ্য রফতানি হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ডলারের। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডের হিসাবে দেখা যায়, রফতানিকারকরা গত অর্থবছরে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রফতানির ঘোষণা (ইএক্সপি) দিয়েছেন ৪ হাজার ৬৩১ কোটি ডলারের। এ অনুযায়ী, দুই সংস্থার গত অর্থবছরের রফতানি তথ্যে গরমিল রয়েছে ৯২৪ কোটি (৯ দশমিক ২৪ বিলিয়ন) ডলারের। ইপিবি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রফতানি তথ্যে বরাবরই গরমিল থাকলেও গত অর্থবছরেই তা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, সঠিক তথ্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। নীতিনির্ধারণে সঠিক তথ্যের উপস্থিতি তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশে নিয়মিতই আমরা সঠিক তথ্যের ঘাটতিতে পড়ছি। এতে যেমন দেশের অর্থনীতির হালহকিকত নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেয়া যাচ্ছে না, তেমনি কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ব্যাহত হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত পোশাক পণ্যের রফতানিকারকরা বলছেন, তথ্যে গরমিলের বিষয়টি তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। সরকারের পরিসংখ্যানের সঙ্গে ক্রয়াদেশ পরিস্থিতির তুলনামূলক বিশ্লেষণে হিসাব মিলছে না। সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান নিয়ে খোদ রফতানিকারকদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু চ্যালেঞ্জ করা যাচ্ছে না। কারণ রফতানিকারকদের নিজস্ব কোনো পরিসংখ্যান নেই। রফতানির প্রকৃত পরিমাণ যাচাইয়ের নিজস্ব কোনো ব্যবস্থাও নেই।
পোশাক রফতানিকারকদের ভাষ্যমতে, অসাধু বাণিজ্যিক চর্চার কারণেও পরিসংখ্যানে ভিন্নতা দেখা যেতে পারে। বিশ্বের অন্য অনেক স্থানের মতো বাংলাদেশেও অর্থ পাচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। পণ্য রফতানি করে অর্থ দেশে না আনার অভিযোগ রয়েছে অনেক। এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশ ব্যাংকের নজর এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ কম। এর পরও নানা ফাঁকফোকর গলে এমন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এজন্য ব্যাংকের নজরদারি ব্যবস্থা আরো শক্ত হওয়া প্রয়োজন। যে কারণই থাকুক না কেন, পরিসংখ্যানগত ভিন্নতার বিষয়টিকে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের অর্থনীতির কয়েকটি বড় সংকটের মধ্যে রয়েছে সঠিক তথ্যের ঘাটতি ও আড়ালে-আবডালে অর্থ পাচার। রফতানির সময় আন্ডার ইনভয়েসিং এবং আমদানির ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার করছে একটি গোষ্ঠী। এতে আমাদের কাছে বৈদেশিক বাণিজ্যের সঠিক তথ্য আসছে না। নীতিনির্ধারকদের সঠিক তদারকির অভাবে দীর্ঘদিন ধরেই অর্থ পাচার হচ্ছে। নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবও লক্ষণীয়। এক বছর ধরেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পড়তির দিকে। এতে দেশে মূল্যস্ফীতি চরমে এবং টাকার মানও তলানির দিকে। এর মধ্যে রফতানির উপাত্তে ৯ বিলিয়ন ডলারের তারতম্য খুবই মন্দ উদাহরণ স্থাপন করেছে।
পাশাপাশি উল্লেখ্য, দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির সরকারি পরিসংখ্যানের সঙ্গেও বাস্তবতার মিল নেই।
জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই উচ্চ হার অন্যান্য সহগ ও সূচকের দ্বারা সমর্থিত নয়। যেমন বেসরকারি বিনিয়োগের কথাই বলা যায়, কয়েক বছর ধরে এর হার ২৩ শতাংশের আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। সেই সঙ্গে এডিপি বাস্তবায়ন, ব্যক্তি খাতে ঋণপ্রবাহ, পুঁজি পণ্যের আমদানি, জ্বালানির ব্যবহার ইত্যাদি সূচকের সঙ্গে জিডিপি প্রবৃদ্ধির উচ্চ হার মেলে না।
গত অর্থ বছরে দেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সেবার বিনিয়োগ হয়েছিল জিডিপির ৩১ দশমিক ০২ শতাংশ। আর এবার বলা হচ্ছে, প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে যে এবার বিনিয়োগ অনেকটা বেড়েছে, কিন্তু তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
অপর দিকে কাচা বাজারের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। দৈনিক বাজারদর নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতিদিন তাদের পক্ষ থেকে বাজারদরের তালিকা দিয়ে থাকে। রাজধানী থেকে শুরু করে বিভাগীয় শহর ও উপজেলা পর্যায়ের বাজারদরের উল্লেখ থাকে তাদের তালিকায়। কয়েক দিন ধরে এসব তালিকা লক্ষ করে দেখা গেছে, বাজারে জিনিসপত্রের আসল যে দাম দিতে হয়, তা এসব তালিকায় লেখা দামের ধারেকাছেও নেই। বাস্তব চিত্র আর সরকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকার মধ্যে বিস্তর ফারাক।
আমাদের পর্যবেক্ষনে এটাই প্রমানিত হচ্ছে যে ডিজিটাল বলা হলেও এমনকী এখন স্মার্ট শ্লোগান তোলা হলেও আসলে তথ্যের ক্ষেত্রে সরকার এনালগেরও সার্থক প্রক্রিয়া ও প্রয়োগ সম্পন্ন করতে পারেনি। যার কারণে দেশীয় কাচাবাজার থেকে আন্তর্জাতিক রফতানী বাজার সব জায়গায়ই অবর্ণনীয় ও চরম দু:খজনক হ য ব র ল। এটা সরকারের চরম ব্যার্থতা। ডিজিটাল স্মার্ট স্লোগানের অন্তরালে অমার্জনীয় অন্ত:সার শুন্যতা। এই মুহুর্তে এরূপ অচলাবস্থায় অবসান হওয়া একান্ত জরুরী।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সোনার বাংলার আরেক সোনালী অর্থনীতি- মৎস্য সম্পদ এর সমৃদ্ধির সুফল জনগণের হাতে যথাযথভাবে তুলে দিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস এখন জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ নারিকেল দ্বীপ বাঁচানোর মিথ্যা প্রচারণার আগে সত্যিকার অর্থে ঢাকাকে বাঁচাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)