আজ সুমহান ও বরকতময় ১৫ই যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
এ দিবসটির তাৎপর্য অনুধাবন গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরয-ওয়াজিব।
, ১৫ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০২ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ০২ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ২০ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবস মুবারকগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দীদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।” (পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার পুতঃপবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত প্রত্যেকটি বিষয়ই বেমেছালভাবে সম্মানিত। তার মধ্যে আখাচ্ছুল খাছ বিষয়গুলো আরো আলাদাভাবে বৈশিষ্ট্যম-িত। সুতরাং সে মহান বিষয় বা দিবস পালনের সাথে যদি উম্মাহ নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারে, শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে পারে, সম্মানের সাথে পালন করতে পারে, তাহলেই উম্মাহ সহজে সফল হতে পারবে, খাছ রহমত মুবারক পাবে। ইনশাআল্লাহ!
স্মর্তব্য পবিত্র রওযা শরীফ পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত হওয়ার কারণে এবং পবিত্র মদীনা শরীফ যমীনে অবস্থিত হওয়ার কারণে পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মর্যাদা-মর্তবা লক্ষ-কোটি গুণ বেশী। সুবহানাল্লাহ! একই কারণে যমীনের মর্যাদা আসমানের থেকে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ছোহবত মুবারক উনার উসীলায় যদি মাটি মুবারক উনার এই অবস্থা হয়, তাহলে যিনি বা যাঁদের মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুন নাজাত মুবারক (রক্ত মুবারক) রয়েছেন, তথা যাঁরা পবিত্র আওলাদ শরীফ, বিশেষ করে পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্মান মুবারক করা, খুশি মুবারক প্রকাশ করা কত বড় তথা ভাষাহীন বেমেছাল রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও সমূহ নিয়ামত মুবারক হাছিলের বিষয়। তা প্রকাশের অযোগ্য সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি জানিয়ে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া।” (পবিত্র সূরা শুরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
এসব পবিত্র আয়াত শরীফ থেকে প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানসহ কায়িনাতের সকলের জন্যই উপলব্ধি করা জরুরী যে, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ই উম্মতের তথা কায়িনাতের জন্য বেমেছাল ফযীলত মুবারক, ইতমিনান মুবারক, রহমত মুবারক হাছিল এবং নিয়ামত মুবারক হাছিলের কারণ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দশম ইমাম। উনার মর্যাদা-মর্তবার সীমা-পরিসীমা নেই। উনার অসংখ্য অগণিত লক্বব মুবারক বিভিন্নভাবে প্রকাশিত-প্রচারিত হয়েছে। যেমন- হাদী: হিদায়েতকারী বা হিদায়েতের প্রদর্শক। আসকারী: মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে জিহাদকারী সৈনিক। নাছিহ: অতি উত্তম নছীহতকারী। মুতাওয়াককিল: মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি বেমেছাল তাওয়াক্কুল বা ভরসাকারী। ফাত্তাহ: সর্ববিষয়ে সর্বাধিক বিজয় লাভকারী।
মুরতাদ্বা: মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কর্তৃক খাছভাবে মনোনীত। নক্বী: অতীব পবিত্র।
ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন: মুসলিম উম্মাহ উনাদের সমস্ত ইমামগণের ইমাম তথা অনুসরণীয় অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। যিকরানে কাশিফে ইসরারে ইমতিনাহী: মহান আল্লাহ পাক উনার গুপ্ত রহস্য উদঘাটনকারী তথা মা’রিফত-মুহব্ববত হাছিলে চূড়ান্ত মাক্বামে উপনীত ব্যক্তিত্বগণ উনাদের যিকর বা স্মরণযোগ্য আলোচিত ব্যক্তিত্ব।
প্রসঙ্গত, ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ২১০ হিজরীর পবিত্র ১৫ই যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়াহ পবিত্র মদীনা শরীফে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সে হিসেবে আজকের দিনটিই উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন।
উল্লেখ্য, সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা গ্রহণের ফলে এখন আর সরকারিভাবে বিশ্বাস করা হয় না যে- “মহান আল্লাহ পাক তিনিই রিযিক, দৌলত, হায়াত, মৃত্যুর মালিক। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই সবকিছু বণ্টনের মালিক এবং উনার পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি নিসবত তায়াল্লুক, খিদমতের আলোকেই এ বণ্টন হয়।”
অথচ অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামগণ উনারা যমীনবাসীকে নিরাপত্তা প্রদানকারী তথা সার্বিক ফায়দা বিতরণকারী।” সুবহানাল্লাহ!
সংবিধানে ‘রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম’ বিধিবদ্ধ থাকলেও সরকার মহিমান্বিত এ বিষয়টি আমলে নেয় না। নাঊযুবিল্লাহ! এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান; কিন্তু উনাদের মাঝে মৌলিক ঈমানী ইলম ও আমলের চেতনা বিস্তার করে না। যা যুগপৎভাবে গভীর দুঃখজনক ও চরম সংক্ষুব্ধমূলক।
অথচ খোদ সরকারসহ প্রত্যেক মুসলমানের উচিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আজকের ঐতিহাসিক ও বরকতময় পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবসটি অত্যন্ত জওক-শওক্ব ও মুহব্বতের সাথে পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মোনাজাত শরীফ উনার মাহফিল এবং উনার বরকতময় সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করে অতিবাহিত করা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার উসীলায় এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান এবং উনাদের সরকার উভয়ের মাঝেই এই চেতনা বিস্তার লাভ করুক। এই জজবা ও ছহীহ বুঝ জেগে উঠুক। আমীন! আমীন! আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)