হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَت الأَوْزَاعِيِّ عَنْ حَضْرَت مَكْحُولٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ سُئِلَتْ حَضْرَتْ اُمُّ الْمَؤمِنِيْنَ الثَّالِثَةُ صِدِّيْقَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ فِي كَمْ تُصَلِّي الْمَرْأَةُ ؟ فَقَالَتْ ائْتِ حَضْرَت كَرَّمَ اللهُ وَجْهَه عَلَيْهِ السَّلَام فَاسْأَلْهُ ثُمَّ ارْجِعْ إِلَيَّ فَأَتَى حَضْرَت كَرَّمَ اللهُ وَجْهَه عَلَيْهِ السَّلَام فَسَأَلَهُ فَقَالَ فِي دِرْعٍ سَابِغٍ وَخِمَارٍ فَرَجَعَ إِلَيْهَا فَأَخْبَرَهَا فَقَالَتْ صَدَقَ-
অর্থ: হযরত ইমাম আওজায়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত মাকহুল রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- আমি মহাসম্মানিতা মহাপবিত্রা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মুম বাকি অংশ পড়ুন...
সম্পদ ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্যই হলো এর ব্যবহার দ্বারা সর্বোচ্চ প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণ করা এবং লক্ষ্য অর্জন করা । আমাদের চাহিদা অসীম, কিন্তু সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই অসীম চাহিদাকে সীমিত সম্পদ দ্বারা পূরণ করতে হলে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রয়োজন।
সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার পরিবারের আয় বাড়াতে, ব্যয় হ্রাস করতে ও অর্থ সঞ্চয় করতে সহায়তা করে। পরিবারের সদস্যদের সময়, শক্তি, ক্ষমতা, দক্ষতা ও বুদ্ধি ইত্যাদি মানবীয় সম্পদকে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করে পরিবারের আয় বাড়ানো যায় এবং ব্যয় হ্রাস করা যায়। যেমন- গৃহের আঙ্গিনায় সবজি উৎপাদন, হাঁস-মুর বাকি অংশ পড়ুন...
একজন পীর বোন যিনি মাঝে মাঝে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করেন, উনার উপর প্রায় ৫/৬ বছর আগে থেকেই দুষ্ট জ্বিনের প্রভাব ছিল। সে কখনো দূর থেকে কখনো কাছ থেকে ভয় দেখাতো। কিন্তু, মারাতœক কোন ক্ষতি না করায় পীরবোন বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি। দুই বছর পূর্বে উনার বিবাহ হয়। বিবাহের পর পরই উনার সমস্যা বেড়ে যায়। যেমন, রাতে ঘুমের মধ্যে ভয় পাওয়া, ঘুমের ঘোরে উঠে বারান্দায় চলে যাওয়া, ঘুমে বিভিন্ন দুঃস্বপ্ন দেখা, সজাগ থাকা অবস্থায়ও কিছু দেখতে পাওয়া, একা একা ঘরে থাকতে পছন্দ করা, অন্ধকার ঘরে থাকা, অতিরিক্ত বাকি অংশ পড়ুন...
একদিন হযরত উম্মুল ফদ্বল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি হযরত ইমামুছ ছালিছ (ইমাম হুসাইন) আলাইহিস সালাম উনাকে কোলে নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আগমন করেন। তখন তিনি উনাকে দুগ্ধ পান করাতেন। তিনি উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল আযহার অর্থাৎ কোল মুবারকে দিলে হযরত ইমামুছ ছালিছ (ইমাম হুসাইন) আলাইহিস সালাম তিনি নূরুশ শিফা মুবারক (ছোট ইস্তিঞ্জা মুবারক) করে দিলেন। হযরত উম্মুল ফদ্বল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হযরত ইমামুছ ছালিছ আ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রকাশ থাকে যে, আমীরুল মু’মিনীন খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহিলাদেরকে জামায়াতে নামায পড়তে মসজিদে যেতে নিষেধ করেন এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি তা পূর্ণ সমর্থন ও সত্যায়িত করেন। এর দ্বারা এটা প্রতিভাত যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিষেধকৃত বিষয়কে এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার সমর্থন ও সত্যায়নকৃত বিষয়কে যারা মানবে না তারা ঈমান ও ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাব বাকি অংশ পড়ুন...
যে সকল আয়াত শরীফসমূহ দ্বারা ‘হিজাব বা পর্দা’ ফরয প্রমাণিত হয়েছে তা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, শুধু বোরকা বা পর্দা করে রাস্তায় বের হওয়ার নাম হিজাব বা পর্দা নয়। বরং তার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট ও আয়াত শরীফসমূহে উল্লিখিত সকল হুকুম-আহকামসমূহ মেনে চলার নামই হচ্ছে “শরয়ী হিজাব বা পর্দা”।
যেমন, কারো ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে অনুমতি নেয়া, মাহরাম ব্যতীত অন্য কারো সাথে দেখা-সাক্ষাত না করা, মাহরামদের সামনেও শালীনতা বজায় রাখা, গায়রে মাহরামদের সামনে চেহারা, হাত, পাসহ সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা, চলাচলের সময় পুরুষ-মহিলা উভয়ের দৃষ্টিকেই অবনত রাখা, নিজে বাকি অংশ পড়ুন...
মহিলারা ঘরে অবস্থান করার সময় ক্বমীছ, ওড়না ও সেলোয়ার পরিধান করা সুন্নত। হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- হযরত মুহম্মদ বিন ক্বয়েস বিন মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ-ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি প্রায় একথা বলতেন যে, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি সুমহান সংবাদ মুবারক দিব না? আমরা বলতাম হাঁ! তখন তিনি বলতেন, পর্যায়ক্রমে এক রাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন আমার সম্মানিত হুজরা শরীফ মুবারকে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করলেন, তখ বাকি অংশ পড়ুন...
মাখরাজ উনার বিবরণ:
যেসব জায়গা থেকে আরবী হরফ উচ্চারণ করতে হয়, উচ্চারণের সেই জায়গাগুলোকে মাখরাজ বলা হয়। মাখরাজ ১৭টি যথা:
১নং মাখরাজ : হলক্বের (কন্ঠনালীর) নিচের ভাগ থেকে ه -ء
২নং মাখরাজ : হলক্বের (কন্ঠনালীর) মধ্য ভাগ থেকে ح - ع
৩নং মাখরাজ : হলক্বের (কন্ঠনালীর) উপরিভাগ থেকে خ - غ
৪নং মাখরাজ : জিহ্বার গোড়া, তার বরাবর উপরের তালুর সাথে লাগিয়ে ق
৫নং মাখরাজ : জিহ্বার গোড়ার একটু আগে বাড়িয়ে, তার বরাবর উপরের তালুর সাথে লাগিয়ে ك
৬নং মাখরাজ : জিহ্বার গোড়ার (বাম পাশের) কিনারা, উপরের মাড়ির দাঁতের গোড়ার সাথে লাগিয়ে ض
৭নং মাখরাজ : জিহ্বার মাঝখান, তার বরাবর উপর বাকি অংশ পড়ুন...
যা মানুষের গুণ, চর্চা বা অনুশীলনের মধ্যমে বৃদ্ধি পায় তাকে মানবিক সম্পদ বলে। যেমন : সময়, বিদ্যা, শক্তি, দক্ষতা, জ্ঞান ইত্যাদি। প্রতি পরিবারে একাধিক সদস্য থাকে। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের সামর্থ্য অনুযায়ী সময়, শক্তি, জ্ঞান, দক্ষতার যদি সুষ্ঠু ব্যবহার করা যায় তবে পরিবারটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। পরিবারের সদস্যদের দক্ষতা, পারদর্শিতা, মনোভাব গৃহ ব্যবস্থাপনাকে সহজ করে এবং অমানবীয় বা বস্তুবাচক সম্পদের অপচয় হ্রাস করে এবং সমৃদ্ধি ঘটায়।
যেমন- বাজেট করে চলা। বাজেট করে চললে অর্থকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা বাকি অংশ পড়ুন...
মহিলাদের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। অথচ মহিলাদের মহিমান্বিত কে করেছে তা এখনো অনেক মহিলা নিজেরাই অবগত নন। ফলে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে ভয়াবহ বিপদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। পৃথিবীতে মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম সর্বপ্রথম মহিলাদের যথাযোগ্য সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। দ্বীন ইসলাম পূর্বযুগে মহিলাদের মানুষ হিসেবে গন্য করা হতো না। স্ত্রী হিসেবে তারা ছিল চরম অবহেলার স্বীকার। কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণকে সামাজিক কলঙ্কের বোঝা মনে করে জীবন্ত কবর দেয়া হতো। সমাজে মেয়ে হিসেবে জন্ম নেয়া অভিশা বাকি অংশ পড়ুন...












