আল ইহসান ডেস্ক:
একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার, নড়াইল জেলা পিস কমিটির চেয়ারম্যান, জামাত নেতা সলেমান মালানা এখন অঢেল সম্পত্তির মালিক। অভিযোগ রয়েছে, ১৯৭১-এর লুটের টাকায় ঢাকার কাছে বিলাসবহুল বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছে। তার আরেক ভাই রাজাকার কমান্ডার রুহুল কুদ্দুস বর্তমানে যশোর জেলা জামাতের ‘পলিটিক্যাল সেক্রেটারি’ ছিল। তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের কাহিনী আজও ভুলতে পারেননি নড়াইলবাসী। পাকী বাহিনীর এই দুই কুখ্যাত দালাল এখনও গ্রামে যেতে পারে না। নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামের দু’ভাই সলেমান ও রুহুল ১৯৭১-এ তৎকালীন নড়াইল মহকুমার দ-মু- বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
‘একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের যে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করত; এমনকি মুক্তিযোদ্ধা ভেবে ঘোড়াকে গুলি করে হত্যা করায় ঘোড়ামারা আজিজ নামে যে ব্যাপক পরিচিত, সেই রাজাকার কমান্ডার মালানা আব্দুল আজিজ জামাতের গাইবান্ধা জেলার আমীর। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গাইবান্ধা জেলায় পাক বাহিনীর একনিষ্ঠ দোসর হিসেবে রাজকাররা যে অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যা, নারীর সম্ভ্রমহরণ ও লুটতরাজ চালিয়েছিল এলাকার লোকজন সে কথা ভেবে আজও শিউরে উঠে। সেদিনের সে রাজকারদের একজন আব্দুল আজিজ গাইবান্ধা জেলা জামাতের আমীর। হত্যা, নারীর সম্ভ্ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে শিবিরের আল-বাদর রাজাকাররা ইতোমধ্যে বহুবার তাদের মজ্জাগত নৃশংসতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। সাপ্তাহিক বিচিত্রার (১৪ বর্ষ ৪২ সংখ্যা, ১৪ মার্চ, ১৯৮৬, পৃ-২৩) প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের পর কোনো এক সময়ে গো’আযমের নেতৃত্বে এবং অন্যান্য জামাতী নেতার তত্ত্বাবধানে এই আর্মস ক্যাডার বাহিনী গঠিত হয়। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘মোমেনীন সালেহীন’। এই সালেহীনের ট্রেনিং দেয়া হয় ঝিনাইদহ ও নাটোর এলাকায়। নড়াইলের আল-বাদর কমান্ডার সোলায়মান নামে এক জামাতী পরিচালনা করে এই ট্রেনিং। ইতঃপূর্বে এই সশস্ত্র বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
লন্ডন থেকে নজরুল ইসলাম বাসন ৩০ জানুয়ারি ১৯৮৮ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদককে পত্র মারফত চৌধুরী মঈনুদ্দিনের সাম্প্রতিক তৎপরতার বিবরণ লিখেছে। সে লিখেছে- “চৌধুরী মঈনুদ্দিন বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের অপারেশন ইনচার্জ। বর্তমানে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সংস্থার সংগঠক, নেতা ও নীতি নির্ধারক। বর্তমানে লন্ডনে চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে ঘিরে শুরু হয়েছে আন্দোলন, বিতর্ক, সংঘর্ষ। চৌধুরী মুঈনুদ্দিনের সংগঠন ‘দাওয়াতুল ইসলাম’ সম্প্রতি তাকে বহিষ্কার করেছে। ইস্ট লন্ডন মসজিদে ম্যানেজিং কমিটির সচিব পদ থেকে তাকে সরানো হয়েছে। তবু বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
লন্ডন থেকে নজরুল ইসলাম বাসন ৩০ জানুয়ারি ১৯৮৮ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদককে পত্র মারফত চৌধুরী মঈনুদ্দিনের সাম্প্রতিক তৎপরতার বিবরণ লিখেছে। সে লিখেছে- “চৌধুরী মঈনুদ্দিন বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের অপারেশন ইনচার্জ। বর্তমানে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সংস্থার সংগঠক, নেতা ও নীতি নির্ধারক। বর্তমানে লন্ডনে চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে ঘিরে শুরু হয়েছে আন্দোলন, বিতর্ক, সংঘর্ষ। চৌধুরী মুঈনুদ্দিনের সংগঠন ‘দাওয়াতুল ইসলাম’ সম্প্রতি তাকে বহিষ্কার করেছে। ইস্ট লন্ডন মসজিদে ম্যানেজিং কমিটির সচিব পদ থেকে তাকে সরানো হয়েছে। তবু বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
গ্রেফতাররের পর ঘাতক আব্দুল খালেক মজুমদার স্বাক্ষরকৃত ও পেশকৃত এক বিবৃতিতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের সাথে জড়িত আরো ৯ জনের নাম পাওয়া গিয়েছিল; কিন্তু এদের অনেকেই সুপরিচিত হওয়ায় সংবাদপত্রগুলো সঙ্গতকারণেই’ এদের নাম প্রকাশে বিরত থাকে।
এছাড়া ঘাতক আব্দুল খালেকের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন কাগজপত্রে দেখা যায় যে, তার সাথে এবং জামাতের অন্যান্য নেতার সাথে টেলিফোনে বেশ কিছু সংখ্যক অফিসারের ঘনিষ্ঠতা ছিল।
আত্মগোপন অবস্থা থেকে ধরা পড়া এবং জেলে অবস্থান সম্পর্কে খালেক মজুমদার লিখেছে- ‘খ্যাতনামা না হলেও এবার আমার অখ্যাত ও বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রত্যেক ইউনিটের প্রায় প্রত্যেক নেতা একাত্তরের খুনি আল-বাদর। এই খুনিরাই বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারী। এদের নৃশংসতার পরিচয় কিছু কিছু ইতোমধ্যেই দেয়া হয়েছে; তবু আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলার জন্য এখানে ছাত্রশিবিরের ১৯৮০-৮১ সালের সাধারণ সম্পাদক এনামূল হক মঞ্জু কিভাবে ১৯৭১ সালে বাঙালি নির্যাতনের কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে তার সামান্য বর্ণনা দেয়া যেতে পারে।
এনামুল হক মঞ্জু ১৯৭১ সালে ছিল চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রসংঘ সভাপতি এবং আল-বাদর প্লাটুন কমান্ডার। চট্টগ্রাম শহরের টেলিগ্রাফ হিল বোটের বাকি অংশ পড়ুন...
৭ নভেম্বর তারিখেই প্রাদেশিক ছাত্রসংঘ প্রধান আলী আহসান মুজাহিদ সংঘের প্রাদেশিক পরিষদের নাম ঘোষণা করে। এরা হলোÑ শামসুল হক (ঢাকা শহর), আব্দুল হাই ফারুকী (রাজশাহী জেলা), সরদার আব্দুস সালাম (ঢাকা জেলা), মোস্তফা শওকত ইমরান (ঢাকা শহর), মতিউর রহমান খান (খুলনা), মীর কাশেম আলী (চট্টগ্রাম), আব্দুল জাহের মুহাম্মদ আবু নাসের (চট্টগ্রাম), আশরাফ হোসেন (মোমেনশাহী)। দু’জন মনোনীত সদস্য ছিল একে মুহাম্মদ আলী (ঢাকা শহর) এবং মাজহারুল ইসলাম (রাজশাহী জেলা)।
বিভিন্ন জেলা সদরে নিযুক্তিপ্রাপ্ত এই নেতারা স্ব স্ব জেলার আল-বাদর বাহিনীর প্রধান। বিভিন্ন বিভাগে বুদ্ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামের মৃত মালানা আব্দুর রহমানের দু’পুত্র ও চার কন্যার মধ্যে সোলায়মান ছিলো সবার বড়। সোলায়মানের পিতা আব্দুর রহমান কলকাতা একটি মাদরাসায় পড়াশোনার পর সেখানে একটি মাদরাসায় চাকরি করতো সোলায়মানকে সেখানেই ভর্তি করে। সেখান থেকে টাইটেল পাশের পর সোলায়মান দেশে ফিরে মাগুরা সদর উপজেলার বেরোইল হাইস্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়। ওই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশের পর নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক করে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে স্নøাতকোত্তর বাকি অংশ পড়ুন...
আাল ইহসান ডেস্ক:
মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, নড়াইলে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক বাহিনীর দোসর রাজাকার বাহিনীর নির্মম হত্যাকা-, ধর্ষণ ও লুটতরাজের সঙ্গে যে নামটি মিশে আছে তা হলো রাজাকার মালানা সোলায়মানের নাম। যার নির্দেশে তিন জল্লাদ জবাই করে হত্যা করেছে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মুক্তিকামী মানুষকে। এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ এনে মালানা সোলায়মান রেজিস্টারে যাদের নামের পাশে লালকালি দিয়ে “রিলিজ ফর ইভার” লিখে দিতো তাদের ইসকট পার্টি ও জল্লাদরা গভীর রাতে নড়াইল শহরের লঞ্চঘাট বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
মনসুর খালেদের ‘আল-বাদর’ গ্রন্থে বর্ণিত আল-বাদরদের বিভিন্ন অপারেশনের বিবরণ থেকে একটি তালিকা প্রণয়ন করা যায় এভাবেÑ
ঢাকা শহর: আসাদুজ্জামান- কমান্ডার, সদস্য- নূর মল্লিক, মোহাম্মদ আলী, আবু নসর ফারুকী, ইকরামুল হক, ফেদাউল ইসলাল, রেজাউল ইসলাম, এফ এম কামাল, মুস্তাফা শওকত ইমরান, হুসাইন খান, মুহম্মদ মাসুম।
চট্টগ্রাম: কমান্ডার- আবদুল জাহের আবু নাসের ও আবু জাফর; কমান্ডার- মুহাম্মদ নাঈমুর রহমান, ইফতেখারুল ইসলাম, সলিমুল্লাহ, আবু জাফর; কমান্ডার- এনামুল হক সন্তু; সদস্য- সৈয়দ আকরাম হোসাইন, আবু ওসমান, শাহ জামান, আবদুর রহমান, মীর হাসান, মু বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
বিভিন্ন সংগ্রহশালা থেকে উদ্ধৃত তৎকালীন আল-বাদর হাইকমান্ডের একটি তালিকা এখানে তা দেয়া হলো:
মওদুদীবাদী ছাত্রসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটি (আল-বাদর হাইকমান্ড)Ñ
৭। খুররম ঝা মুরাদ, লন্ডনে অবস্থানরত আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত জামাত নেতা। বিভিন্ন দেশে জামাতীদের তৎপরতা সমন্বয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত।
৮। আবদুল বারী (জামালপুর জেলা আল-বাদর প্রধান), ঢাকায় চাকরি করে।
৯। আবদুল হাই ফারুকী (রাজশাহী জেলা আল-বাদর প্রধান), দুবাইয়ে ব্যবসা করে।
১০। আবদুল জাহের আবু নাসের (চট্টগ্রাম জেলা আল-বাদর প্রধান), ঢাকায় সউদী রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত সহকারী বাকি অংশ পড়ুন...












