হত্যা সম্ভ্রমহরণ লুটতরাজের হোতা জামাত নেতা ঘোড়ামারা আজিজের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে
, ১৬ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৫ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২০ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) বিশেষ প্রতিবেদন
‘একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের যে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করত; এমনকি মুক্তিযোদ্ধা ভেবে ঘোড়াকে গুলি করে হত্যা করায় ঘোড়ামারা আজিজ নামে যে ব্যাপক পরিচিত, সেই রাজাকার কমান্ডার মালানা আব্দুল আজিজ জামাতের গাইবান্ধা জেলার আমীর। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গাইবান্ধা জেলায় পাক বাহিনীর একনিষ্ঠ দোসর হিসেবে রাজকাররা যে অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যা, নারীর সম্ভ্রমহরণ ও লুটতরাজ চালিয়েছিল এলাকার লোকজন সে কথা ভেবে আজও শিউরে উঠে। সেদিনের সে রাজকারদের একজন আব্দুল আজিজ গাইবান্ধা জেলা জামাতের আমীর। হত্যা, নারীর সম্ভ্রমহরণ আর বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে এলাকায় সে ত্রাসের রাজত্ব কায়িম করেছিল।
সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে গাইবান্ধার চন্ডিপুর, মাঠেরহাট, দারিয়াপুর, পাঁচপীর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষজানান, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ সমর্থক তথা স্বাধীনতকামীদের বাড়িঘর লুটপাট, জ্বালানো, মা-বোনের ইজ্জতহরণ, নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার নেতৃত্বদানকারী গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার তারাপুর গ্রামের মালানা আব্দুল আজিজ মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলার রাজাকার কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা আর লুটপাট, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়িম করেছিল। এই রাজাকার কমান্ডার তাদের সহযোগীদের মারফত গ্রামের মধ্যে কে মুক্তিযোদ্ধা, কারা মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক খোঁজ নিয়ে নির্বিচারে তাদের উপর অত্যাচার চালাত। তাদের জোরপূর্বক ধরে এনে হত্যা অথবা পঙ্গু করে দিত।
রাজাকার কমান্ডার আব্দুল আজিজ ও তার সহযোগীরা একদিন সুন্দরগঞ্জে এক এলাকার বধ্যভূমিতে ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে গুলি করে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে রেখেছিল। সেদিনের সেই গুলির শব্দে আশপাশের এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল। আরেকদিন মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া একই পরিবারের ৭ জনকে ধরে ব্রহ্মপুত্র পাড়ে দাঁড় করিয়ে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছিল। বেয়োনেটের আঘাতে সেদিন ঐ ৭ জনের আর্তচিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছিল। এরকম শত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদের ধরে এনে সে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে অথবা গুলি করে হত্যা করেছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ভারতীয় পানি আগ্রাসন, ফারাক্কা ও তিস্তা ব্যারেজ : বাংলাদেশের মরণ ফাঁদ (২)
২৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঘাদানি কমিটির শাহরিয়ার কবিরও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার (৫)
০৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঘাদানি কমিটির শাহরিয়ার কবিরও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার (৪)
০৬ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ঘাদানি কমিটির শাহরিয়ার কবিরও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার (৩)
০৫ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘাদানি কমিটির শাহরিয়ার কবিরও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার (৩)
০৫ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘাদানি কমিটির শাহরিয়ার কবিরও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার (২)
০৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ঘাদানি কমিটির শাহরিয়ার কবিরও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার (১)
০৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উপজাতি-পাহাড়িদের ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘রাজাকারগিরি’র উপাখ্যান (পর্ব-৬)
০১ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
উপজাতি-পাহাড়িদের ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘রাজাকারগিরি’র উপাখ্যান (পর্ব-৫)
৩১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উপজাতি-পাহাড়িদের ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘রাজাকারগিরি’র উপাখ্যান (পর্ব-৪)
৩০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতি-পাহাড়িদের ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘রাজাকারগিরি’র উপাখ্যান (পর্ব-৩)
২৯ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
উপজাতি-পাহাড়িদের ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘রাজাকারগিরি’র উপাখ্যান (পর্ব-২)
২৮ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)