পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “হে মানবজাতি! অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে তোমাদের মধ্যে তাশরীফ মুবারক এনেছেন মহান নছীহত মুবারক দানকারী, তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ শিফা মুবারক দানকারী, কুল-কায়িনাতের মহান হিদায়েত মুবারক দানকারী ও খাছভাবে ঈমানদারদের জন্য, আমভাবে সমস্ত কায়িনাতের জন্য মহান রহমত মুবারক দানকারী। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ফদ্বল বা অনুগ্রহ মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন-
وَسَطَعَتْ مِنْهُ رِيْحٌ طَـيِّـبَةٌ لَّـمْ نَـجِدْ مِثْـلَهَا قَطُّ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) থেকে যেই সুঘ্রাণ মুবারক বের হতেন, আমি সেই ধরণের সুরভি মুবারক অন্য আর কোনো সুগন্ধির মধ্যে পাইনি।” সুবহানাল্লাহ! (শিফা’ শরীফ ১/৬৪)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
وَمِنْهُ شُرْبُ مَالِكِ بْنِ سِنَانٍ رَضِىَ ا বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পূর্বপুরুষ ও পূর্বমহিলা আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রত্যেকের সম্মানিত কপাল বা চেহারা মুবারক-এ ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পূর্ণ চাঁদের ন্যায় দৃশ্যমান ছিলেন:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
اِنَّ ذٰلِكَ النُّوْرَ كَانَ ظَاهِرًا فِىْ مَنْ يَّنْتَقِلُ اِلَيْهِ مِنْ اٰبَائِهٖ
অর্থ: “নিশ্চয়ই সেই ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল বাকি অংশ পড়ুন...
আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত ক্বওল শরীফ-
قَالَ حَضْرَتْ اَبُوْ بَكْرِ ۣ الصِّدِّيْقُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا عَلـٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ رَفِيْقِىْ فِـى الْـجَنَّةِ.
অর্থ: আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিল উপলক্ষে, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে এক দিরহাম ব্যয় করবেন, তিনি জান্নাতে আমা বাকি অংশ পড়ুন...
উবাই ইবনে খলফ:
উবাই ইবনে খলফ, উমাইয়া বিন খলফের আপন ভাই। পবিত্র মক্কা শরীফ উনার আরেক পাতিনেতা। মহাসম্মানিত রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঘোরতর দুশমন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নূরুর রহমত বা চেহারা মুবারকে থুথু নিক্ষেপ করার মতো চরম বেয়াদবীর জঘন্য নজির স্থাপন করেছে সে। এমনকি সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতো। নাঊযুবিল্লাহ! শুধু তাই নয়; রীতিমতো সে উনাকে শহীদ করারও হুমকি দিতো বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত বংশীয় পবিত্রতা মুবারক
মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শু‘আরা শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَتَقَلُّبَكَ فِـى السّٰجِدِيْنَ
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শু‘আরা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৯)
‘তাফসীরে কবীর’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছেন,
فَالْاٰيَةُ دَالَّةٌ عَلـٰى اَنَّ جَمِيْعَ اٰبَاءِ سَيِّد বাকি অংশ পড়ুন...
৭৯ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘুম মুবারক نُوْرُ الْـمُطْمَئِنَّةِ مُبَارَكٌ নূরুল মুত্বমাইন্নাহ্ মুবারক
৮০ জিহাদে আহত হওয়া শান মুবারক نُوْرُ الْاِسْتِقَامَةِ مُبَارَكٌ নূরুল ইস্তিক্বামত মুবারক (দৃঢ়চিত্ত)
৮১ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ نُوْرُ التَّشْرِيْفِ/ نُوْرُ الْوِلَادَةِ شَرِيْفٌ নূরুত তাশরীফ/ নূরুল বিলাদত শরীফ (আগমন)
বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিল ফিরক্বার লোকেরা বলে থাকে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ নাকি এই সেদিন থেকে প্রচলিত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! হারামাইন শরীফে এ দিবস পালন হতো না! নাউযুবিল্লাহ! অথচ ইতিহাস সাক্ষী- সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শুরু থেকেই হারামাইন শরীফে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন হতো। নিম্নে কয়েকজন প্রখ্যাত ইমাম-মুজতাহিদ উনাদের লিখনীতে যার প্রমাণ দেয়া হলো।
(১) হযরত আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন- “মদীনা শরীফবাসী পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ খুবই আগ্রহ, উৎসাহ ও আনন্দের সহিত বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমান মাত্রই পবিত্র কালিমায়ে ত্বইয়্যিবাহ শরীফ সম্পর্কে জানেন, মানেন, স্বীকার করেন উচ্চারণ করেন। কিন্তু উক্ত পবিত্র কালিমায়ে ত্বইয়্যিবাহ শরীফ উনার হাকীকত সম্পর্কে কতজনে জানেন? পবিত্র কালিমায়ে ত্বইয়্যিবাহ শরীফ হচ্ছেন- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
উক্ত পবিত্র কালিমাহ শরীফ উনার মধ্যে দুটি বিষয়ের সমন্বয় সাধিত হয়েছে।
এক. তাওহীদ তথা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতিত কোন ইলাহ নেই।
দুই. রিসালাত তথা মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ وَهُوَ لَيْلَةُ اثْنَـىْ عَشَرَ مِنْ شَهْرِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ بِاتِّـخَاذِهٖ فِيْهَا طَعَامًا كُنْتُ لَهٗ شَفِيْعًا يَّوْمَ الْقِيَامَةِ
অর্থ: যে ব্যক্তি খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে, মেহমানদারী করার মাধ্যমে আমার মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার মহাসম্মানিত তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) রাত্র মুবারক (ও দিবস মুবারক) উনাকে সম্মান করবেন, আমি ক্বিয়াম বাকি অংশ পড়ুন...
যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশী উনাদেরকে নিয়ে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কিত মুবারক ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ لَـمْ يَكُنِ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـمُرُّ فِـىْ طَرِيْقٍ فَـيَـتْـبَـعُهٗ اَحَدٌ اِلَّا عَرَفَ اَنَّهٗ سَلَكَهٗ مِنْ طِـيْبِهٖ
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেই রাস্তায় গমন করতেন, সেই রাস্তা উনার সুগন্ধ মুবারক-এ সুরভিত হয়ে যেতেন, উনার পিছনে গমনকারী ব্যক্তি সহজে অনুভব করতে পরতো যে, এই রাস্তা দিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হু বাকি অংশ পড়ুন...












