মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা জারিয়াত উনার ৫৬নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
“আমি জ্বীন এবং ইনসানকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য। ” ইলমে তাসাউফ অর্জন করা ব্যতীত ইবাদত মূল্যহীন।
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- যামানার মুজাদ্দিদ ও কামিল শায়েখ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের মাধ্যমে ইলমে ফিকাহ্ ও ইলমে তাছাউফ উভয় প্রকার ইলম অর্জন করে মু’মিনে কামিল হওয়া।
, ০১ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তাদের কাছে যে কিতাব আছে তার সত্যায়ণকারী স্বরূপ আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি হিফাযতকারীরূপে। অতঃপর আপনি তাদের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব অনুসারে ফায়ছালা করুন। আপনার কাছে হক্ব আসার পর তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। অর্থাৎ আপনার উম্মত যেন তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ না করে। আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য শরীয়ত ও ত্বরীকত দিয়েছি। ” এই মহাসম্মানিত আয়াত শরীফ উনার মধ্যে দু’টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে: (১) শরীয়ত (২) ত্বরিক্বত। শরীয়ত হল- যাহিরী বিধান। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা জারিয়াত উনার ৫৬নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি জ্বীন এবং ইনসানকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য। ” আর এই ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য যেই খুলুছিয়াত বা হুজুরী প্রয়োজন সেই খুলুছিয়াত বা হুজুরী পয়দা করার ইলম হল- ইলমে তাসাউফ বা মা’রিফাত বা ত্বরিক্বত।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাসাউফ একটি অপরটির পরিপূরক। তাই কোন ব্যক্তি যদি শুধু ইলমে ফিক্বাহ অর্জন করে কিন্তু ইলমে তাসাউফ অর্জন না করে তাহলে এটা তার জন্য হবে হিজাবে আকবর অর্থাৎ সবচেয়ে বড় পর্দা। আর যদি উভয়টি অর্জন করে তবে ইহা তার জন্য হবে হিদায়েতে আকবর। অর্থাৎ সবচেয়ে বড় হিদায়েত। তরীক্বত বা ইলমে তাসাউফ ছাড়া শুধুমাত্র শরীয়ত বা ইলমে ফিক্বাহ অর্জন করার মাধ্যমে কখনই পরিপূর্ণ ইলম বা হিদায়েত লাভ করা সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,“আর যদি তারা তরীক্বতের উপর ইস্তেকামত থাকত তাহলে আমি তাদেরকে প্রচুর পানি দ্বারা সিক্ত করতাম। অর্থাৎ যে ব্যক্তি ইলমে ফিক্বাহর পাশাপাশি তরীক্বত বা ইলমে তাসাউফ অর্জন করতে পারবে তাকে পর্যাপ্ত ইলম দানের মাধ্যমে সিক্ত করা হবে অর্থাৎ ইতমিনান করা হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মিদের মাঝে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করে শুনাবেন, তাযকিয়া করবেন, কিতাব এবং হিকমত শিক্ষা দিবেন যদিও ইতিপূর্বে তারা স্পষ্ট গোমরাহীর মধ্যে ছিল অর্থাৎ হিদায়েতের উপর ছিল না। উনাদের পরে আরো অনেকে আসবেন যারা এখনো উনাদের সাথে মিলিত হন নি। তিনিই পরাত্রুমশীল, প্রজ্ঞাময়। এটা মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল বা অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই দান করেন। মহান আল্লাহ পাক সবচেয়ে বড় অনুগ্রহশীল। ” এই মহাসম্মানিত আয়াত শরীফ উনার থেকে যে বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি যুগে যুগে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে যমীনের বুকে প্রেরণ করেছেন। যেন উনারা উনাদের উম্মতদেরকে কিতাব, হিকমত অর্থাৎ ইলমে ফিক্বাহ এবং ইলমে তাসাউফ শিক্ষা দেন এবং তাদেরকে তাযকিয়া অর্থাৎ অন্তর পরিশুদ্ধ করেন। আর উনারাও সেই সম্মানিত কাজের যথাযথ আঞ্জাম দিয়েছেন এবং উনাদের পরে উনাদের ক্বায়িম-মাক্বাম হিসেবে যুগে যুগে নায়িবে রসূল, ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া উনারা এসেছেন, আসবেন। উনারাও অনুরূপ করেছেন, করবেন। কিয়ামত পর্যন্ত এ ধারা বলবৎ থাকবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,“হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে এ উম্মতের জন্য একজন মুজাদ্দিদ উনাকে পাঠিয়ে থাকেন। যিনি দ্বীন-ইসলাম উনার মধ্যে তাজদীদ করেন। ”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ইলমে তাসাউফ অর্জন করা ব্যতীত ইবাদত মূল্যহীন। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- যামানার মুজাদ্দিদ ও কামিল শায়েখ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের মাধ্যমে ইলমে ফিকাহ্ ও ইলমে তাছাউফ উভয় প্রকার ইলম অর্জন করে মু’মিনে কামিল হওয়া।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করা ব্যতীত কেউ কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না।
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সর্বোচ্চ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পরকালের তুলনায় দুনিয়াবী সম্পদ অতি সামান্য। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে-দুনিয়ার পিছনে না ঘুরে পরকালের দিকে মনোনিবেশ করা।
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে ঘরে পবিত্র ছলাত শরীফ অর্থাৎ পবিত্র মীলাদ শরীফ-পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করা হবেনা সেই ঘর অন্ধকার কবরের মত হয়ে যাবে অর্থাৎ বিরান হয়ে যাবে।
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা পবিত্র জীবনী মুবারক জানা ও বেশি বেশি সর্বত্র আলোচনা করা এবং প্রতিক্ষেত্রে উনাকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করা সকলের জন্যই ফরয।
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হায়াত, মাল-সম্পদ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হক্ব যারা আদায় করবেনা, তাদেরকে কিয়ামতের দিন অসহায় বকরীর ন্যায় উপস্থিত করা হবে।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী ব্যক্তি জীবিত আর যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেনা সে ব্যক্তি মৃত।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- সম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ বা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিবসসমূহ পালন করা সকলের জন্য আবশ্যক।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম” (সোমবার) পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা শ্রেষ্ঠ দিনসমূহেরও সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ!
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রত্যেক ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের জন্য ফরয হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা রেখে উনাদের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মুবারক পরিপূর্ণরূপে পালন করা। আর ইহুদী, মুশরিক, নাছারা তথা বিধর্মীদের সর্বপ্রকার নিয়মনীতি, তর্জ-তরীক্বা, তন্ত্র-মন্ত্র অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকা।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন উনারা।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আখেরী যামানার ফিতনা ফাসাদ থেকে নাজাত লাভের একমাত্র উপায় হলো হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা তথা অনুসরণ অনুকরণ করা, জীবনের সকল ক্ষেত্রে উনাদেরকে আদর্শ রূপে গ্রহণ করা।
০৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)