ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুসরণ করার গুরুত্ব ও ফযীলত (৭)
, ০৩ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ১০ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এ প্রসঙ্গে বলা হয়ে থাকে যে, হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা কতটুকু পবিত্র সুন্নত মুবারকের উনার প্রতি মজবুত ছিলেন, দৃঢ় ছিলেন। হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটা ওয়াকেয়া বলা হয় যে, হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ফক্বীহদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিলেন। উনার বুযুর্গী, উনার ফযীলত-ফাযায়েল সমস্ত ইমামগণ স্বীকার করে নিয়েছেন। হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন-
اَلْفُقَهَاءُ كُلُّهُمْ عِيَالُ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ
অর্থ: সমস্ত ফক্বীহ ইলিমের দিক দিয়ে হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সন্তানতুল্য।
সেই হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিশ বৎসরের নামায দোহরায়ে পড়েছেন। বিশ বৎসরের নামায দোহরায়ে পড়েছেন কেন? ওযূর সময় পা খিলাল করা মুস্তাহাব, সুন্নতে যায়েদা। তিনি বিশ বৎসর যাবৎ উনার পা মুবারকের আঙুল মুবারক উপর দিয়ে খিলাল করেছেন। যখন উনার তাহক্বীক্ব হলো যে, পায়ের উপর দিয়ে খিলাল করা মুস্তাহাব-সুন্নত নয়, সুন্নত হলো- আঙুলের তলের দিক দিয়ে খিলাল করা। তখন হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার সেই বিশ বৎসরের নামায আবার পুনরায় ওযূ করে পা মুবারকের আঙুলের তলের দিক দিয়ে খিলাল করে সেই সুন্নত মুবারক আদায় করে নামায দোহরায়ে পড়েছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আছে-
تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ، لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا: كِتَابَ اللهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: তোমরা যতদিন পর্যন্ত আমার দু’টো জিনিসকে আঁকড়ায়ে থাকবে, তোমরা কখনো গুমরাহ হবেনা, একটা মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব এবং আর একটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত।
কাজেই পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার উপরে প্রত্যেকটা লোককে ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, অবশ্যই মজবুত থাকতে হবে। এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বলেছেন-
وَمَنْ يَّبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
“সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম যারা তালাশ করে, তাদের থেকে সেটা কখনোই গ্রহণ করা হবে না। এবং পরকালে তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তের অন্তর্ভুক্ত হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিক্বাহ বা ফতওয়ার সকল কিতাবেই গান-বাজনা, বাদ্য-যন্ত্র ইত্যাদিকে হারাম ফতওয়া দেয়া হয়েছে
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪২)
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কদমবুছী করা খাছ সুন্নত মুবারক
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে সমস্ত উলামায়ে সূ’ ও তাদের শাগরেদ নামধারী মুসলমানরা মুশরিকদের মন্দির ও পূজায় পাহারা দিয়েছে তাদের ব্যাপারে শরঈ ফায়ছালা (৩)
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষের জন্য দাড়ি রাখা ফরয
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যে সমস্ত উলামায়ে সূ’ ও তাদের শাগরেদ নামধারী মুসলমানরা মুশরিকদের মন্দির ও পূজায় পাহারা দিয়েছে তাদের ব্যাপারে শরঈ ফায়ছালা (২)
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)