সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান, খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য মুবারক সম্পর্কে ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ (৮)
, ১৫ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০১ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
অর্থাৎ এটাকে আয়াতে মুবাহালা বলা হয়। যখন কোনো বিষয় দলীল-আদিল্লাহ দিয়ে ফায়ছালা হয় না তখন মুবাহালা করার বিষয়টা এসে থাকে। এখন যারা উপস্থিত থাকে তারা থাকলেও চলবে, আল-আওলাদদেরকে ডাকলেও চলে, সেটার গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। সেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দেন। যখন মুবাহালার আয়াত শরীফ নাযিল হলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন ঠিক আছে, তোমাদের মধ্য থেকে যারা উপস্থিত তারা আসুক, আমরাও আসি। এখন মুবাহালা করা হবে। বলতে হবে কি? মহান আল্লাহ পাক! যে বিষয়ে আলোচনা হলো, এতে যারা মিথ্যাবাদী তাদের প্রতি যেনো আপনার লা’নত বর্ষিত হয়, তারা যেনো ধ্বংস হয়ে যায়। এটা হলো আয়াতে মুবাহালা। আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম যাঁরা উনাদেরকে ডাকতে হবে। এই আয়াত শরীফ প্রসঙ্গে হযরত সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন-
عَنْ حَضْرَتْ سَعْدِ بْنِ اَبِى وَقَّاصٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ دَعَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلَامُ وَفَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَحَسَنًا عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحُسَيْنًا عَلَيْهِ السَّلَامُ فَقَالَ اللَّهُمَّ هَؤُلَاءِ أَهْلُ بَيْتِى
হযরত সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, যখন এই আয়াত শরীফ নাযিল হলো তখন স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমরা আসো, আমরা আমাদের সন্তানদেরকে ডাকি, তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে ডাকো। তখন স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি করলেন-
دَعَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلَامُ وَفَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَحَسَنًا عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحُسَيْنًا عَلَيْهِ السَّلَامُ فَقَالَ اَللَّهُمَّ هَؤُلَاءِ أَهْلُ بَيْتِى
তিনি হযরত ইমামুল আউওয়াল র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে ডাকলেন, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে ডাকলেন, হযরত হাসান আলাইহিস সালাম উনাকে ডাকলেন, হযরত হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে ডাকলেন, ডেকে একত্রিত করে বললেন-
اَللَّهُمَّ هَؤُلَاءِ أَهْلُ بَيْتِى
আয় মহান আল্লাহ পাক! উনারা হচ্ছেন আমার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম।
এখন মুবাহালা করা যেতে পারে। এই খৃস্টানগুলো যখন দেখতে পেলো উনাদেরকে। যেটা কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, উনারা তো সবসময়ই নূরানী, উনাদের চেহারা মুবারক থেকে, জিসিম মুবারক থেকে সবসময়ই নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হয়। তখন এমন নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হচ্ছিলো উনাদের জিসিম মুবারক থেকে সেই খৃস্টান লোকগুলি সেটা দেখে তারা আতঙ্কিত, ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে গেলো। তাদের প্রধান ছিলো শুরাহ্বিল। সে তাদের লোকদেরকে বললো, সর্বনাশ! তোমরা ইস্তিগফার-তওবা করো। উনাদের সাথে মুবাহালা করা যাবে না। করলে নির্ঘাত আমাদের সমস্ত খৃস্টান সম্প্রদায় ধ্বংস হয়ে যাবে। উনারা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নবী-রসূল এবং উনার আহাল ও ইয়াল। কাজেই উনাদের সাথে বাহাছ করা যাবে না। মুবাহালা করা যাবে না। আমাদের আপোস করা উচিত। তার লোকজন বললো, তাহলে কি করতে হবে? সন্ধি করতে হবে, আপোস করতে হবে, জিযিয়া করের বিনিময়ে। সেটা করে তারা সেখান থেকে তাড়াতাড়ি সরে গেলো। আহলে বাইত উনাদের জিসিম মুবারক থেকে এমন নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হচ্ছিলো সেটা দেখে খৃস্টানদের এই তিন বিশেষ ব্যক্তি এবং তাদের যারা দলবল ছিলো তারা সকলে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে ইস্তিগফার-তওবা করে তারা আপোস করে জিযিয়া কর দেয়ার শর্তে সন্ধি করে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে সরে গেলো। কারণ আহলে বাইত উনাদের সাথে পরবর্তীতে আদবের খিলাফ কিছু করলে হতে পারে আযাব-গযব নাযিল হয়ে খৃস্টান ক্বওম ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা সত্যিই চলে গেলো। আহলে বাইত উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফযীলত, খুছূছিয়ত কতোটুকু রয়েছে? সুবহানাল্লাহ!
(পবিত্র ওয়াজ শরীফ অডিও রেকর্ড পেতে যোগাযোগ করুন- তাহযীব তামাদ্দুন বিভাগ, রাজারবাগ শরীফ ঢাকা)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাইতুল্লাহ বা পবিত্র মসজিদ ও বাইতুর রসূল বা পবিত্র মাদরাসা সম্পর্কে ইলিম (৩)
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদুয যামান, সুলত্বানুল আরিফীন, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক (৩)
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীর মহাসম্মানিত মুয়াল্লিমাহ্
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে জাদু করার কারণে উনার দাসীকে ক্বতল বা মৃত্যুদ-
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তা’লীম গ্রহণ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছিফত মুবারক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪৫)
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত মু’জিযাহ শরীফ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৭)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)