সম্মানিত খিলাফত মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া (৪)
, ০৮ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
স্মরণীয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
حُبُّ الْوَطَنِ مِنَ الْاِيْمَانِ
‘দেশের মুহব্বত ঈমানের অঙ্গ। ’
তাই একজন মুসলমান উনার জন্য ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে- দেশের সার্বিক কল্যাণ কামনা করা এবং এজন্য সার্বিক কোশেশ করা।
আর এই ঈমানী দায়িত্ববোধ থেকেই সম্মানিত মুসলমানগণ জান-মাল সমস্ত কিছু কুরবান করে দিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে যালিম বৃটিশদেরকে বিতাড়িত করেছেন। তারপর ভারতের যুলুম-নির্যাতন থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু এদেশবাসী যুলুম-নির্যাতনের যাতাকল থেকে মুক্তি পায়নি। ফলে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধের সূচনা হয়। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। কিন্তু বিনিময়ে এদেশবাসী কি পেয়েছে? যালিম বৃটিশদের যুলুম-নির্যাতনের অবর্তমানে ভারতের যুলুম-নির্যাতন, ভারতের যুলুম-নির্যাতনের অবর্তমানে পাকিস্তানের যুলুম-নির্যাতন, পাকিস্তানের যুলুম-নির্যাতনের অবর্তমানে গণতান্ত্রিক যালিম শাসকদের যুলুম-নির্যাতন। শুধু একের পর এক শাসকের পরিবর্তন হয়েছে এবং যুলুমের ধরণ পরিবর্তন হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। এদেশবাসী কখনও তাদের কাঙ্খিত ইনছাফ বা সুশাসন পায়নি; বরং একের পর যুলুম-নির্যাতনের যাতাকলে নিষ্পেষিত হয়েছে এবং হচ্ছে। আর এটাই স্বাভাবিক। কারণ এদেশবাসী অনেক বড় একটা ভুল করেছে। আর তা হচ্ছে- তারা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশিত শাসন ব্যবস্থা ‘সম্মানিত খিলাফত মুবারক’ বাদ দিয়ে কাফিরদের প্রবর্তিত শাসন ব্যবস্থা গণতন্ত্রকে আঁকড়িয়ে ধরেছে। অথচ গণতেন্ত্রর অপর নাম হচ্ছে যুলুমতন্ত্র। তারা যতদিন পর্যন্ত এই গণতন্ত্র নামক যুলুমতন্ত্রকে আঁকড়িয়ে ধরে রাখবে, ততদিন পর্যন্ত যুলুম-নির্যাতনের যাতাকলে নিষ্পেষিত হতেই থাকবে। তাই দেশেবাসী সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে গণতন্ত্র নামক যুলুমতন্ত্র বাদ দিয়ে ‘সম্মানিত খিলাফত মুবারক’ উনার জন্য কোশেশ করা। তবেই তারা প্রকৃত শান্তি ও ইনছাফ মুবারক লাভ করতে পারবে। কারণ সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার অপর নাম- শান্তি ও ইনছাফ। সম্মানিত খিলাফত মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থ হলো দুনিয়ার যমীনটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আস সাফফাহ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যদি এই দেশে ইনছাফ প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে সোনার বাংলাকে স্বর্ণ দ্বারা পরিপূর্ণ করে দেয়া সম্ভব। ” সুবহানাল্লাহ!
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “এই দেশে কোনো কিছুর অভাব নেই। অভাব হচ্ছে শুধু ইনছাফগার শাসকের। বাংলাদেশে যেই সম্পদ রয়েছে, তার যথাযথ ব্যবহার করলে, বাংলাদেশের মানুষ টাকার উপর গড়াগড়ি করতে পারবে, টাকার উপর ঘুমাতে পারবে এবং তাদের কোনো প্রকার অভাব অনটন থাকবে না। ” সুবহানাল্লাহ!
আর এই বিষয়টি তিনি হিসাব করে, হাতে-কলমে আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। প্রয়োজনে পরবর্তীতে এই বিষয়ে বিস্তারিত লেখা হবে। ইনশাআল্লাহ!
কাজেই, সম্মানিত খিলাফত মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া। সুবহানাল্লাহ! তাই এদেশবাসীসহ বিশ্বের সমস্ত মুসলমান যদি যুলুম-নির্যাতনের যাতাকলের নিষ্পেষণ থেকে চির তরে মুক্তি পেতে চায় এবং প্রকৃত শান্তি, ইনছাফ ও সমৃদ্ধি লাভ করতে চায়, তাহলে সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত গণতন্ত্র নামক যুলুমতন্ত্র বাদ দিয়ে সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার জন্য কোশেশ করা এবং ১০ম খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক উনার নিচে জমায়েত হওয়া।
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে ক্ববূল করুন। আমীন!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
একমাত্র হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসরণে ‘খিলাফত’ ব্যবস্থা জারী করার মাধ্যমেই এদেশবাসী প্রকৃত সুখ-শান্তি ও ইনছাফ লাভ করতে পারবে (২)
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
এক নজরে উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ: ‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (১)
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১১)
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
একমাত্র হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসরণে ‘খিলাফত’ ব্যবস্থা জারী করার মাধ্যমেই এদেশবাসী প্রকৃত সুখ-শান্তি ও ইনছাফ লাভ করতে পারবে (১)
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার দায়িমী ক্বিবলা মুবারক
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (১)
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কাফির মুশরিকদের বিরুদ্ধে যখন আমি বদদো‘আ করি, প্রতিদিন আমি দেখতে পাই যে, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো আছেনই, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও খুব খুশি মুবারক প্রকাশ করেন। উনারা বলেন যে, ‘এদের বিরুদ্ধে ধ্বংসের জন্য আরো দো‘আ করা হোক’
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা মহান আল্লাহ পাক উনার দায়িমী শান মুবারক (২)
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৯)
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা মহান আল্লাহ পাক উনার দায়িমী শান মুবারক (১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৮)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)