সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
, ০২রা জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২০ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পরিপূর্ণ অনুসরণ মুবারক করেই হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক পরিচালনা করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে তখন পৃথিবীবাসী প্রকৃত সম্মানিত ইনছাফ বা ন্যায়বিচার লাভ করতে পেরেছিলো। সুবহানাল্লাহ! যেমন-
(১)
عَنْ حَضْرَتْ اَلنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيْرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقَ الْاَعْظَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ فِـىْ مَـجْلِسٍ وَحَوْلَهُ الْـمُهَاجِرُوْنَ وَالْاَنْصَارُ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمْ اَرَاَيْتُمْ لَوْ تَرَخَّصْتُ فِـىْ بَعْضِ الْاُمُوْرِ مَا كُنْتُمْ فَاعِلِيْنَ فَسَكَتُوْا فَقَالَ ذٰلِكَ مَرَّتَيْنِ اَوْ ثَلَاثًا فَقَالَ حَضْرَتْ بِشْرُ بْنُ سَعْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ لَوْ فَعَلْتَ ذٰلِكَ قَوَّمْنَاكَ تَقْوِيْـمَ الْقِدْحِ فَقَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنْتُمْ اِذًا اَنْتُمْ اِذًا
অর্থ: “হযরত নু’মান ইবনে বশীর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই একবার আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এক মজলিসে উপস্থিত হয়েছিলেন। উনার চারপাশে হযরত মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা এবং হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা অবস্থান মুবারক করছিলেন। আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, যদি আপনারা আমাকে কোনো কাজে শৈথিল্য করতে দেখেন, তাহলে আপনারা কী করবেন? তখন সকলে চুপ থাকলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এই কথা দুই বার অথবা তিন বার বললেন। অতঃপর হযরত বিশর ইবনে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, ‘আপনি যদি এমন করেন, তাহলে আমরা আপনাকে তীরের মতো সোজা করে দিবো’। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, তবেই তো আপনারা কাজের লোক, তবেই তো আপনারা কাজের লোক। ” সুবহানাল্লাহ! (জামি‘উল আহাদীছ ২৬/১৩৫, আল ওয়াফী বিল ওয়াফায়াত ৩/৩৮২, কানযুল উম্মাল ৫/৬৮৭, মুখতাছরু তারীখে দিমাশক্ব ২/১৯২ ইত্যাদি)
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কোনো কাজে কোনো প্রকার শৈথিল্য দেখানোর তো প্রশ্নই উঠে না। বরং হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা তো অবশ্যই; এমনকি সম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে এই পর্যন্ত যতজন সম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত যতজন সম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিবেন, উনাদের দ্বারা কোনো প্রকার শৈথিল্য দেখানো কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। কেননা উনারা দায়িমীভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিক নির্দেশনা মুবারক অনুযায়ী চলে থাকেন। তবে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এই সম্মানিত ওয়াকেয়া মুবারক উনার মাধ্যম দিয়ে সম্মানিত ইনছাফ মুবারক উনার বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ সম্মানিত খলীফা উনাদের দ্বারা কস্মিনকালেও সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার খিলাফ বা সম্মানিত ইনছাফ মুবারক উনার খিলাফ কোনো কাজ সংঘটিত হওয়া আদৌ সম্ভব নয়, সেই বিষয়টিই তিনি এই ওয়াকেয়া মুবারক উনার দ্বারা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। সুবহানাল্লাহ!
তাহলে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য কত বড় রহমত, বরকত, সাকীনাহ্ ও নিয়ামত মুবারক উনার কারণ, তা এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। এ কারণেই যতদিন দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত ছিলেন, ততদিন মানুষ দুনিয়ার যমীনে থেকেই জান্নাতী অমীয় সুখ-শান্তি লাভ করেছিলো। সুবহানাল্লাহ! আবার যখন দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন মানুষ দুনিয়ার যমীনে থেকেই জান্নাতী অমীয় সুখ-শান্তি লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ মুঈনুদ্দীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুলি মুবারক করা পানি কূপে পতিত হওয়ার কারণে কুপ থেকে মেশকের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক উনার মাঝে দায়িমীভাবে নূর মুবারক চমকানো
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাসি মুবারককালে পাশ্ববর্তী দেয়ালসমূহ আলোকিত হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত যায়িদ বিন হারেছাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বেমেছাল মুহব্বত মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)