ভূমিকা:

যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে বিগত, আগত-অনাগত সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের প্রতি অশেষ সীমাহীন রহমত মুবারক এই যে, উনারা বর্তমান যামানায় দুনিয়ার যমীনে প্রেরণ করেছেন ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মহাসম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাকে। সুবহানাল্লাহ! মূলত মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাকে উনাদের পরিপূর্ণ অসীম ইলিম মুবারক হাদিয়া মুবারক করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি একক, অনন্য, বেমেছাল ও সীমাহীন শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী, মালিক। সুবহানাল্লাহ! তিনি একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা দুজন ব্যতীত সকলের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শায়েখ আলাইহিস সালাম। আর সকলে উনার মুরীদের অন্তর্ভুক্ত। চার মাযহাব ও চার ত্বরীক্বার ইমামগণসহ সকলে উনার ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ মুবারক লাভে ধন্য। সুবহানাল্লাহ! সকলেই উনার খিদমত মুবারক-এ নিবেদিত প্রাণ। তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সব। যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে উনার দায়িমীভাবে এমন এক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবত মুবারক রয়েছেন, যেখানে কারো কোনো স্থান সংকুলান হয় না। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! তিনি উনাদের হাক্বীক্বী দায়িমী দীদার, ছোহবত ও যিয়ারত মুবারক-এ ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! তাই পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র উনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে হাক্বীক্বী বিশুদ্ধ ইলিম মুবারক দান করা এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের হাক্বীক্বী বিশুদ্ধ আকীদাহ্ ও আদব মুবারক শিক্ষা দেয়া। সুবহানাল্লাহ! তিনি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে উনাদের বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে যেই হাক্বীক্বী বিশুদ্ধ ইলিম মুবারক দান করেছেন এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের হাক্বীক্বী বিশুদ্ধ আকীদাহ্ ও আদব মুবারক শিক্ষা দিয়েছেন এবং দিয়ে যাচ্ছেন, সেখান থেকে কিছু বিষয় নিম্নে তুলে ধরা হলো-

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল ফযীলত মুবারক এবং উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও আদব মুবারক:

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যাঁরা ঈমানের সাথে দেখেছেন, অবস্থান করেছেন এবং ঈমানের সাথে দুনিয়ার যমীন থেকে বিদায় নিয়েছেন উনারাই হচ্ছেন ‘হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম’। সুবহানাল্লাহ! উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক হচ্ছেন ঈমান। আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা সুস্পষ্ট কুফরী ও চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ। উনারা শুধু হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহ! কাজেই উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সমস্ত সৃষ্টির চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! উনাদেরকে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা মনোনীত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা সন্তুষ্ট এবং উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক হাক্বীক্বীভাবে অর্জন করতে পেরেছেন। সুবহানাল্লাহ! উনারা হচ্ছেন সমস্ত উম্মতের জন্য আদর্শ মুবারক। পরবর্তী উম্মত যদি উনাদের অনুসরণে ঈমান আনতে পারে এবং উনাদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করতে পারে, তবেই তারা হাক্বীক্বী ঈমানদ্বার হতে পারবে, নাজাত লাভ করতে পারবে এবং হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করতে পারবে। অন্যথায় পরবর্তী উম্মত কস্মিনকালেও ঈমানদ্বার হতে পারবে না, নাজাত লাভ করতে পারবে না; বরং কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! উনাদের বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে ইলিম অর্জন করা, উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক করা, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন মুবারক পোষণ করা এবং সর্বক্ষেত্রে উনাদের প্রতি চূড়ান্ত আদব মুবারক বজায় রাখা সমস্ত উম্মতের জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের ব্যাপারে কোনো কথা বলা, উনাদের ভুল-ত্রুটি হয়েছে, যাল্লাত হয়েছে, ইত্যাদি ইত্যাদি বলা উম্মতের জন্য কস্মিনকালেও জায়িয নেই; বরং চরম বেয়াদবী, কাট্টা কুফরী এবং চির মালঊন ও চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ।

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।