যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৯)
, ১০ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৬ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সেটাই ‘ফতওয়ায়ে শামীসহ’ আরো অন্যান্য কিতাবে উল্লেখ রয়েছে-
قَالَ حَضْرَتْ اَبُوْ حَفْصٍ الْكَبِيرُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ لَوْ اَنَّ رَجُلًا عَبَدَ اللهَ خَمْسِيْنَ سَنَةً ثُمَّ اَهْدى لِمُشْرِكٍ يَوْمَ النَّيْرُوْزِ بَيْضَةً يُرِيْدُ تَعْظِيْمَ الْيَوْمِ فَقَدْ كَفَرَ وَحَبِطَ عَمَلُهٗ
অর্থ: “হযরত ইমাম আবূ হাফস কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি ৫০ বছর মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগী করে, তারপর সে নওরোজ বা পূজাকে তা’যীম করে সেদিন কোনো মুশরিক বা অন্য কাউকে একটি ডিমও দান করে, তাহলে অবশ্যই সে কুফরী করবে এবং তার জিন্দেগীর সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে। ” নাঊযুবিল্লাহ! (ফতওয়ায়ে শামী ২৯/৩৩৮, তাবঈনুল হাক্বাইক্ব ৬/২৮৮, আল বাহ্রুর রাইক্ব ২৫/৫ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُصَافَحَ الْمُشْرِكُونَ أَوْ يُكَنَّوْا أَوْ يُرَحَّبَ بِهِمْ
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুশরিকদের সাথে মুছাফাহা করতে বা তাদেরকে সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করতে বা মারহাবা জানাতে, শুভেচ্ছা-স্বাগত জানাতে নিষেধ মুবারক করেছেন। ” (হিলইয়াতুল আউলিয়া ৯/২৩৬)
‘আল আশবাহ্, তানভীরুল আবছার, রদ্দুল মুহ্তার, ফতওয়ায়ে শামীসহ’ অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
لو سلم علي الذمي تبجيلا يكفر لان تبجيل الكافر كفر
অর্থ: “কেউ যদি কোনো কাফির-মুশরিক যিম্মীকে সম্মানসূচক অভিবাদন জানায়, তাহলে সে কুফরী করলো। কারণ কাফিরকে সম্মান করাও কুফরী। ” নাঊযুবিল্লাহ!
‘আল আশবাহ্’ কিতাবে আরো বলা হয়েছে-
لو قال لمجوسي يا استاذ تبجيلا كفر
অর্থ: “কেউ যদি কোনো মজূসীকে (অগ্নি উপাসককে) সম্মান করে ‘ইয়া ওস্তায’ বলে সম্বোধন করে, তাহলেও সে কাফির হয়ে যাবে। ” নাঊযুবিল্লাহ!
তাহলে যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে, সমর্থন করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তাদের ফায়ছালা কি? তারা কি আদৌ মুসলমান আছে? কস্মিনকালেও নয়; বরং সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী তারা প্রত্যেকেই কাট্টা কাফির, মূর্তিপূজারী ও মুশরিক।
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ سيدنا حضرت الفاروق الاعظم عليه السلام لَا تَدْخُلُوا عَلَى الْمُشْرِكِينَ فِي كَنَائِسِهِمْ يَوْمَ عِيدِهِمْ فَإِنَّ السَّخْطَةَ تَنْزِلُ عَلَيْهِمْ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তোমরা মুশরিকদের উৎসবের দিনে তাদের উপাসনালয়ে, মন্দিরে প্রবেশ করো না। কেননা, নিশ্চয়ই তাদের উপর (এই দিনসমূহে মহান আল্লাহ পাক উনার) অসন্তুষ্টি, আযাব-গযব, লা’নত বর্ষিত হয়। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ৯/৩৯২)
‘মুছান্নাফে আব্দুর রায্যাক’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ سيدنا حضرت الفاروق الاعظم عليه السلام إِنَّا لَا نَدْخُلُ كَنَائِسَكُمْ مِنْ أَجْلِ الصُّوَرِ الَّتِي فِيهَا يَعْنِي التَّمَاثِيلَ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের (ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিকদের গির্জায়, মন্দিরে, প্যাগোডায়) উপাসনালয়ে প্রবেশ করি না, সেখানে থাকা প্রতিকৃতিগুলির কারণে অর্থাৎ মূর্তি, ভাস্কর্য ও ছবিগুলোর কারণে। ” (মুছান্নাফে আব্দুর রায্যাক্ব ১/৪১১)
এখান থেকে ফিক্বহী মাসয়ালা বর্ণনা করা হয়েছে যে, বিধর্মীদের উপসনালয়ে যাওয়া সম্পূর্ণরূপে হারাম। যেমন- কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
أما الحنفيَّة فكان تحريمهم مطلقا وعللوه بأنها مأوى الشياطين
অর্থ: “হানাফীগণ উনাদের নিকট সাধারণভাবেই সেটা হারাম। উনারা হারাম হওয়ার কারণ বর্ণনা করেছেন এটা যে, বিধর্মীদের উপসনালয় অর্থাৎ মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা শয়তানদের বাসস্থান। ” নাঊযুবিল্লাহ! (হাশিয়াতু ইবনে আবিদীন ২/৪৩) (চলবে)
-মুহাদ্দিস মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ: চোগলখোরের খারাবী ও লাঞ্ছিত পরিণতি
১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাইতুল্লাহ বা পবিত্র মসজিদ ও বাইতুর রসূল বা পবিত্র মাদরাসা সম্পর্কে ইলিম (৩)
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদুয যামান, সুলত্বানুল আরিফীন, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক (৩)
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীর মহাসম্মানিত মুয়াল্লিমাহ্
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে জাদু করার কারণে উনার দাসীকে ক্বতল বা মৃত্যুদ-
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তা’লীম গ্রহণ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছিফত মুবারক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪৫)
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)