আজ সুমহান বেমেছাল বরকতময় ২রা রজবুল হারাম শরীফ।
যিকরুল্লাহ, খইরু খলক্বিল্লাহ, সিরাজুম মুনীর, ইমামুল মুত্তাকীন, মালিকুল জান্নাহ, আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আশবাহুল খলক্বি বিরসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরয।
, ০২ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাদেরকে (উম্মাহকে) আমার বিশেষ বিশেষ দিনগুলো স্মরণ করিয়ে দিন।”
বলাবাহুল্য, সব বিশেষ দিনের বিশেষ দিন বা মূল দিন হচ্ছেন- পবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ। যেদিন সব ঈদেরও শ্রেষ্ঠ ঈদ তথা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। যেদিনের মহিমান্বিত স্মরণ কুল-মাখলুক তথা মুসলমানের অস্তিত্বের জন্য অনিবার্য। পাশাপাশি মুসলমানের জন্য রহমত, মাগফিরাত ও ফযীলতের সর্বাধিক ও সর্বোচ্চ প্রাচুর্যের কারণ। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
মুসলমান। পরিণতি দোযখ থেকে নাজাত। পবিত্র বেহেশত লাভ। পবিত্র বেহেশত উনার আরাম-আয়েশ আস্বাদন অনন্তকালের জন্য। অপরদিকে কাফির, মুশরিক, নাস্তিক। পরিণতি দোযখের আগুন ও আযাব। নিকৃষ্ট আবাসস্থল জাহান্নামের পরিবর্তে মুসলমানরা পবিত্র জান্নাত উনার মেহমান হবে- এ মহাসুখানুভূতি আজ মুসলমানের অন্তরে উদ্বেলিত হয় না। মুসলমানের অন্তর আজ বিবশ। এর একটি প্রধান কারণ, মুসলমান এখন পবিত্র কুরআন শরীফ পড়ে না। ফিকির করে না। মুসলমান কার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান নিবেদন করতে হবে এবং কার প্রতি চরম বিদ্বেষ পোষণ করতে হবে ও হুঁশিয়ার থাকতে হবে, মোকাবিলা করতে হবে- সে বিষয়ে সচেতন ও সক্রিয় নয়। নাঊযুবিল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ উনার ১৫নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “উনার প্রতি শান্তি-সালাম মুবারক অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক, যেদিন তিনি দুনিয়ায় আগমন মুবারক করেন অর্থাৎ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন ও যেদিন তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন আবার যেদিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবেন।” সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ-এ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ওয়ালিদ সাইয়্যিদুনা হযরত আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস উপলক্ষে পৃথিবীতে সর্বপ্রথম মাহফিল মুবারক অনুষ্ঠিত করেছেন এবং প্রতি বছরই তা করছেন। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি প্রকাশ করছেন ‘দৈনিক আল ইহসান শরীফ’ উনার বিশেষ সংখ্যা। সুবহানাল্লাহ! যা ইতিহাসের সর্বপ্রধান ও সর্বশ্রেষ্ঠ তাজদীদ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মতকে জানিয়ে দিয়েছেন, সতর্ক করেছেন এবং দৃষ্টান্ত মুবারক স্থাপন করেছেন তথা নির্দেশনা দিয়েছেন যে- কী করে হযরত আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মান, তা’যীম-তাকরীম ও খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দিতে হবে। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যদি আমার মহাসম্মানিত হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা দু’জন অথবা উনাদের দু’জনের একজন আমাকে সম্মানিত ই’শার নামায মুবারক আদায় করা অবস্থায় আহ্বান মুবারক করতেন, তাহলে আমি অবশ্য অবশ্যই ওই অবস্থায় থেকেও (নামায ছেড়ে দিয়ে) উনাদের সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিতাম।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত এই এক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমেই আবু রসূলিনা, খইরুল বাশার, সাইয়্যিদুল আরব, ছহিবু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার আযমত এবং উনার সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস উনার মহা ফযীলত বুঝার জন্য যথেষ্ট। সুবহানাল্লাহ!
পাশাপাশি উল্লেখ্য, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার প্রায় সাড়ে ১২ বছর পূর্বে পবিত্র ২রা রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা’ শরীফ মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াতী ও রিসালাতী শান মুবারক প্রকাশের প্রায় ১০ বছর ৮ মাস পূর্বে পবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। দুনিয়ার যমিনে তিনি পূর্ণ ২২ মাস অবস্থান মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত যিক্রুল্লাহ, খইরু খলক্বিল্লাহ, সিরাজুম মুনীর, ইমামুল মুত্তাক্বীন, মালিকুল জান্নাহ, আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবসের স্মরণ, মূল্যায়ন, তথা আজ মহিমান্বিত পবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ দিবস অত্যন্ত মুহব্বত, খুলুছিয়ত, জওক, শওক, সাখাওয়াতী ও আদবের সাথে পালন করলে তা উম্মাহর জন্য কত ফযীলত, নাজাত, নিয়ামতের কারণ হবে তা কল্পনা করা দুঃসাধ্য। বিপরীত দিকে যারা উনাদের সম্পর্কে অজ্ঞতা ও আদবহীনতার পরিচয় দিবে তারাও যে কত হালাক তা চিন্তা করাও দুঃসাধ্য। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক!
বলার অপেক্ষা রাখে না, সরকার অথবা জনগণ তথা সাধারণ মুসলমানগণ এসব বিষয় উপলব্ধি না করার কারণেই আজ ওৎপ্রোতভাবে বিবিধ খোদায়ী আযাব-গযবে ভারাক্রান্ত। এর থেকে রক্ষা পেতে হলে আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনাদের মূল্যায়ন ব্যতিরেকে দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)