আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ!
যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
উম্মাহর উচিত- এ দিনের মা’রিফত অর্জন ও হক্ব আদায়ে নিবেদিত হওয়া।
, ২১ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২০ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা যেভাবে পবিত্র ঈমান; অনুরূপভাবে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারকও হচ্ছে পবিত্র ঈমান। সুতরাং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ও উনাদের মুহব্বত মুবারক হাছিল করতে না পারলে কোনো মুসলমান ঈমানদার হতে পারে না।
কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো মুসলমান ব্যক্তির অন্তরে পবিত্র ঈমান দাখিল হবে না (হাক্বীক্বীভাবে ঈমানদার হবে না), যতক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য আমার সম্মানিত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত না করবে।” (মুসনাদে আহমদ শরীফ, তাফসীরে ইবনে কাছীর)
উল্লেখ্য, হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে সর্বপ্রথম তাশরীফ মুবারক এনেছেন সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহললিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার পর দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তখন দুনিয়াবী জিন্দেগী মুবারক-এ নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বয়স মুবারক ২৯ বছর পার হয়ে ৩০ বছর চলছিলেন। আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৪৪ বছর। সময়টি ছিলো আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত রিসালাত মুবারক প্রকাশের প্রায় ১১ বছর পূর্বে ২১শে জুমাদাল উখরা শরীফ জুমুয়াবার। সুবহানাল্লাহ! প্রসঙ্গত আজ মহিমান্বিত সেদিন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি ‘শি’বে আবী তালিব’ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল খিদমত মুবারকের আনজাম দিয়েছেন। মূলত, উনার থেকেই সমস্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা শিক্ষা মুবারক গ্রহণ করেছেন যে- কিভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিতে হয়। সুবহানাল্লাহ! উনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকের চিন্তায় সর্বদা এমন ব্যাকুল থাকতেন যে, স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে সান্ত¡না দিয়ে ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনার পিতার জন্য এতো অধিক চিন্তা করা থেকে বিরত থাকুন।” সুবহানাল্লাহ!
উনার মহিমান্বিত শান মুবারক-এ স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহললিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি আমার শ্রেষ্ঠ বানাত আলাইহাস সালাম। আমাকে মুহব্বত মুবারক করার কারণে দুনিয়ায় উনাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত, ‘পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ উনার ১০৯ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘আমার সম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, আমার রব মহান আল্লাহ পাক উনার শান-মান মুবারক লেখার জন্য যদি সমুদ্রের পানিকে কালি বানানো হয় তবুও মহান আল্লাহ পাক উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক শেষ হওয়ার পূর্বেই সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে। আরো অনুরূপ যোগ করা হলেও।
বলাবাহুল্য, এটা যেমন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার শান মুবারকে তেমনি উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানেও এবং সাথে সাথে হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের শান মুবারকেও যথাযোগ্যভাবে প্রযোজ্য।
উল্লেখ্য, সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা গ্রহণের ফলে এখন আর সরকারিভাবে বিশ্বাস করা হয় না নাঊযুবিল্লাহ! যে- “মহান আল্লাহ পাক তিনিই রিযিক, দৌলত, হায়াত, মৃত্যুর মালিক। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই সবকিছু বণ্টনের মালিক এবং উনার পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি নিসবত মুবারক, তায়াল্লুক মুবারক, খিদমত মুবারকের আলোকেই এ বণ্টন হয়।” সুবহানাল্লাহ!
অথচ অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামগণ উনারা যমীনবাসীকে নিরাপত্তা প্রদানকারী তথা সার্বিক ফায়দা বিতরণকারী।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
সংবিধানে ‘রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম’ বিধিবদ্ধ থাকলেও সরকার মহিমান্বিত এ বিষয়টি আমলে নেয় না। নাঊযুবিল্লাহ! এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান; কিন্তু মুসলমানদের মাঝে মৌলিক ঈমানী ইলম ও আমলের চেতনা বিস্তার করে না। সর্বোপরি মহিমান্বিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস পালনের প্রতি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা করে না। নাউযুবিল্লাহ! যা যুগপৎভাবে গভীর দুঃখজনক ও চরম সংক্ষুব্ধমূলক।
অথচ খোদ সরকারসহ প্রত্যেক মুসলমানের উচিত- এই ঐতিহাসিক ও বরকতময় পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবসটি অত্যন্ত জওক-শওক্ব ও মুহব্বতের সাথে পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মোনাজাত শরীফ উনার মাহফিল এবং উনার বরকতময় সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করে অতিবাহিত করা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)