মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যমিনে যত প্রাণী রয়েছে সকলের রিযিকের মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি”।
যারা কিতাব উনার উপর দায়িম-ক্বায়িম থাকবে অর্থাৎ কিতাব উনার আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে উপর থেকে এবং পায়ের নিচ থেকে কুদরতী রিযিক দান করবেন।
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- খালিছভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করে, উনার শোকরগুজারী করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে হাক্বীক্বী মু’মিন-মুত্ত্বাক্বী হওয়া।
, ২৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০২ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হযরত আবূ মুসা আশয়া’রী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবূ মালেক আশয়া’রী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা এবং আরো কয়েকজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অনেক দূর থেকে এক মাসের জন্য হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে আসেন। আসার সময় উনারা এক মাসের পাথেয় সাথে নিয়ে আসেন। যখন এক মাস পার হলো, উনারা যা কিছু সঙ্গে করে এনেছিলেন, সব শেষ হয়ে গেল। উনারা চিন্তা করলেন যে আরো কিছুদিন ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করা দরকার। এমতাবস্থায় উনাদের খাবারের ব্যবস্থা কীভাবে হবে এ বিষয়ে ফায়সালার জন্য উনারা একজনকে প্রতিনিধি করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পাঠালেন। প্রতিনিধি যখন আসলেন, তখন তিনি শুনলেন যে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নছীহত মুবারক করছেন, “যমিনে যত প্রাণী রয়েছে সকলের রিযিকের মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি”। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, সে বিষয়টিই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করবে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে গাইরুল্লাহ থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন এবং এমন রিযিক দান করবেন যেটা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যারা মহান আল্লাহ পাক উনার উপর তাওয়াক্কুল করবেন মহান আল্লাহ পাক তিনিই তাদের জন্য যথেষ্ট হবেন এবং অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তাদেরকে রিযিক দান করবেন, যেমন পাখিকে রিযিক দান করেন। সুবহানাল্লাহ!
অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যমীনবাসী যদি ঈমান আনত এবং তাক্বওয়া হাছিল করত, অবশ্যই আমি তাদের জন্য আসমান এবং যমিনের বরকতসমূহ খুলে দিতাম। বরং তারা মিথ্যারোপ করেছে। আমি তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদেরকে পাকড়াও করেছি”।।)সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনাদের রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, যদি আমার বান্দারা আমার আনুগত্য করত, অবশ্যই আমি তাদের জন্য রাতে বৃষ্টি বর্ষণ করতাম, তাদের জন্য দিনে সূরে্যর কিরণ ছড়িয়ে দিতাম এবং তাদেরকে মেঘের গর্জন শুনাতাম না।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, বান্দা-বান্দী যদি মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করে, উনার শোকরগুজারী করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ইতমিনান দান করবেন এবং এমন কুদরতী রিযিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। কিন্তু বান্দা মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাক্বীক্বীভাবে বিশ্বাস করে না এবং উনার প্রতি তাওয়াক্কুলও করে না। তারা মনে করে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি দিবেন, কিন্তু আমাদেরকেই রিযিক অন্বেষণ করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক বলেন, ঠিক আছে! তোমরা তোমাদের রিযিক খুঁজে নাও।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “যদি তারা তাওরাত শরীফ, ইঞ্জিল শরীফ এবং মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে তাদেরকে যে কিতাব (পবিত্র কুরআন শরীফ) দেয়া হয়েছে উনাদের উপর ইস্তেকাম থাকত; তাহলে অবশ্যই তাদেরকে খাদ্য খাওয়াতাম, উপর থেকে এবং পায়ের নিচ থেকে”। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ যারা কিতাব উনার উপর দায়িম-ক্বায়িম থাকবে অর্থাৎ কিতাব উনার আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে উপর থেকে এবং পায়ের নিচ থেকে কুদরতী রিযিক দান করবেন। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু এখন মানুষ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ মানে না। মনগড়া চলে, নফসের অনুসরণ করে। আর নফসের অনুসরণ করতে গিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম-আহকাম মুবারক পালন করা থেকে বিরত থাকে। যার কারণে এখন আর কুদরতী রিযিক লাভ করা যায় না। আর কুদরতী রিযিক লাভ করার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করতে হবে এবং ছবর করতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যারা মহান আল্লাহ পাক উনার উপর তাওয়াক্কুল করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে অবশ্যই রিযিক দিবেন, যেমন পাখিকে দেন। পাখির বাচ্চা বাসায় থাকে, সে তো আর খাবার সংগ্রহ করতে পারে না, তাকেও মহান আল্লাহ পাক তিনি কুদরতী রিযিক দান করেন। সেটাই মহান আল্লাহ পাক বলেছেন, এমন অনেক প্রাণী আছে, যারা রিযিক সংগ্রহ করতে পারে না, মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকেও রিযিক দান করেন ,তাদেরকেও দান করেন। সুবহানাল্লাহ! তবে যে যত বেশি তাওয়াক্কুল করতে পারবে, তাকওয়া অবলম্বন করতে পারবে, তার তত তাড়াতাড়ি কুদরতী রিযিকের ফায়সালা হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- যারা কিতাব উনার উপর দায়িম-ক্বায়িম থাকবে অর্থাৎ কিতাব উনার আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে উপর থেকে এবং পায়ের নিচ থেকে কুদরতী রিযিক দান করবেন। সুবহানাল্লাহ! প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো-খালিছভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করে, উনার শোকরগুজারী করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে হাক্বীক্বী মু’মিন-মুত্ত্বাক্বী হওয়া।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আমি জ্বীন এবং ইনসানকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য। ” ইলমে তাসাউফ অর্জন করা ব্যতীত ইবাদত মূল্যহীন।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
“ইলম হচ্ছে আমলের ইমাম”। দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে।
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যদি তোমরা অর্থাৎ মুসলমানগণ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের উপর ইস্তিকামত থাকো এবং হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হও, তবে কাফির-মুশরিক অর্থাৎ ইহুদী, নাছারা, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসীসহ সমস্ত বিধর্মীদের কোনো ষড়যন্ত্রই তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ! বর্তমানে মুসলমানরা যে সারাবিশ্বে ইহুদী-নাছারাদের দ্বারা যুলুম ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তার একটাই কারণ- মুসলমানরা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
০৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আত্ তাসিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মুবারক শানে জঘন্য অপবাদ আরোপকারীদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ।
০২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উত্তম কথা উত্তম গাছরে ন্যায় ফলদায়ক। উত্তম কথা ব্যতীত অতিরিক্ত কথা বলার দ্বারা মানুষের অন্তর কঠিন হয়ে যায় এবং মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে দূরে সরে যায়।
০১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং অন্যদেরকেও পালন করার ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করেন ও উনার পবিত্র যিকির শরীফ বা পবিত্র আলোচনা মুবারক করেন।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সর্বোচ্চ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক সালিক বা মুরীদের জন্য নিজ ত্বরীক্বার পবিত্র শাজরা শরীফ সম্পর্কে অবহিত হওয়া বা জানা আবশ্যক।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হাক্বীক্বীভাবে পালন করা হলো সন্তুষ্টিপূর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ শুধু একটি বরকতময় আমলই নয় বরং এটা হলো নাজাতের সনদপত্র অর্থাৎ চূড়ান্ত কামিয়াবীর দলীল। সুবহানাল্লাহ!
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আখেরী যামানার ফিতনা ফাসাদ থেকে নাজাত লাভের একমাত্র উপায় হলো হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা তথা অনুসরণ অনুকরণ করা, জীবনের সকল ক্ষেত্রে উনাদেরকে আদর্শ রূপে গ্রহণ করা।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম” (সোমবার) পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা শ্রেষ্ঠ দিনসমূহেরও সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ!
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)