মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক রয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!
মু’মিন-মুসলমানদেরকে জীবনের প্রতিটি পদে পদে পরিপূর্ণভাবে সুন্নত মুবারক উনার রঙ্গে রঞ্জিত করতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে- “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র”। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেক মুসলমানেরই উচিত- “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র” উনার সাথে সংশ্লিষ্ট ও সম্পৃক্ত হওয়া এবং প্রতিটি এলাকায় এলাকায়, প্রত্যেকের ঘরে ঘরে “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র” প্রতিষ্ঠা করা।
, ১৬ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৭ ছানী ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৭ মে, ২০২৩ খ্রি:, ২৪ বৈশাখ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “কেউ যদি একটা সুন্নত পালন করে, তাহলে তাঁকে একশত শহীদের ছওয়াব দেয়া হবে।” কেমন একশত শহীদের সওয়াব? হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বদর-উহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়ে যে রকম মর্যাদা মুবারক হাছিল করেছেন, ঠিক সেই রকম মর্যাদা হাছিল করবে এই আখিরী যামানায় একটা সুন্নত মুবারক আদায় করলেই। সুবহানাল্লাহ! আখেরী যামানায় সুন্নত মুবারক পালনে বিশেষ মর্যাদা ও ফযীলতের লক্ষ-কোটি কারণের মাঝে একটি বিশেষ কারণ হলো- এই সময় সুন্নত মুবারক অনেক দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাবে এবং সুন্নত মুবারক পালনও অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আখেরী যামানার এই কঠিন সময়েও মুসলমানগণ যাতে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে বর্ণিত সুন্নত মুবারক পালনের বিশেষ মর্যাদা হাছিল করতে পারে, সে উদ্দেশ্য নিয়েই রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র”। এই পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সকল ধরণের সুন্নতী সামগ্রী। এমনকি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া অনেক দুষ্প্রাপ্য সুন্নতী বিষয়াদি এই “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্রে” সংগ্রহ করে প্রচার-প্রসার করা হচ্ছে। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিশেষ করে বর্তমান জামানায় কাফির, মুশরিক, নাস্তিক, ধর্মব্যবসায়ীরা আধুনিকতার নাম করে যেভাবে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন চালাচ্ছে, এতে করে মুসলমানদের মাঝ থেকে ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। এমনই এক সঙ্কটময় সময়ে পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাকে জিন্দা করতে, ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুনকে উড্ডীন রাখতে, “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র” উনার কোন বিকল্প নেই।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! মু’মিন-মুসলমানদেরকে জীবনের প্রতিটি পদে পদে পরিপূর্ণভাবে সুন্নত মুবারক উনার রঙ্গে রঞ্জিত করতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে- “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র”। তাই প্রত্যেক মুসলমানেরই উচিত- “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র” উনার সাথে সংশ্লিষ্ট ও সম্পৃক্ত হওয়া এবং প্রতিটি এলাকায় এলাকায়, প্রত্যেকের ঘরে ঘরে “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র” প্রতিষ্ঠা করা। একইসাথে “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র” থেকে যার যার প্রয়োজনীয় সকল ধরণের সুন্নতী সামগ্রী, সুন্নতী বিষয়াদি সংগ্রহ করা। তাহলে নিজেরও যেমন সুন্নত মুবারক উনার উপর আমল করা সহজ ও সম্ভব হবে, একই সাথে নিজের পরিবারবর্গের এবং পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনসহ সকলের মাঝে ব্যাপকভাবে পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার প্রচার-প্রসার করা সহজ হয়ে যাবে। এবং ছদকায়ে জারিয়ার ফযীলতও অর্জন করা যাবে। সুবহানাল্লাহ!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আত্বওয়ালু ইয়াদান, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মহান দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় ২২শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি খলীফায়ে ছানী, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার দায়িত্ব গ্রহণের সুমহান দিন। সুবহানাল্লাহ!
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ দিনটি সকলের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- শরাব বা মদসহ সর্বপ্রকার মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্যই হারাম। অথচ বাংলাদেশে সরাসরি শরাব বা মদ তো বিক্রি হচ্ছেই; এমনকি কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসের নামেও প্রকাশ্যে শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো মতেই কোনো মোড়কেই শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্য চলতে পারে না এবং শরাব বা মদ তৈরির অনুমতিও সরকার দিতে পারে না।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- গান-বাজনা করা ও শ্রবণ করা কবীরাহ গুনাহ। গান-বাজনার আসরে বসা ফাসিক্বী এবং গান-বাজনার স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সালাম আদান-প্রদান করা হচ্ছে ‘শিয়ারুল ইসলাম’। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া খাছ সুন্নত। আর ‘সালাম’ উনার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক সম্পর্কে কটূক্তির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ! কারণ পবিত্র মসজিদ ও মসজিদের জায়গা উনার একচ্ছত্র মালিক হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি। সুবহানাল্লাহ!
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম করতে পারলেই- দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা, সার্বিক শান্তি ও কল্যাণ লাভ করা এবং বিজয় দিবসের যথাযথ সম্মান করা সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ!
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফে” মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)