মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
, ১৭ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ سَـمُرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰی عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ لَا يَزَالُ الْاِسْلَامُ عَزِيْزًا اِلَى اثْنَىْ عَشَرَ خَلِيْفَةً كُلُّهُمْ مّـِنْ قُرَيْشٍ وَفِىْ رِوَايَةٍ لَا تَزَالُ أُمَّتِىْ عَلَى الْحَقِﹼ ظَاهِرِيْنَ ولَا يَزَالُ اَمْرُ أُمَّتِىْ صَالِـحًا لَا يَضُرُّهُمْ عَدَاوَةُ مَنْ عَادَاهُمْ حَتّٰى يَلِيَهُمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيْفَةً كُلُّهُمْ مّـِنْ قُرَيْشٍ وَفِىْ رِوَايَةٍ لَا يَزَالُ الدِّيْنُ قَائِمًا حَتّٰى تَقُوْمَ السَّاعَةُ أَوْ يَكُوْنَ عَلَيْهِمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيْفَةً كُلُّهُمْ مّـِنْ قُرَيْشٍ
অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে সামুরাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, দ্বীন ইসলাম ততদিন পর্যন্ত পরাক্রমশালী থাকবে, কুওওয়াতশালী থাকবে যতদিন পর্যন্ত ১২জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক আবির্ভাব ঘটবেন। উনারা প্রত্যেকেই সম্মানিত কুরাইশ বংশীয় হবেন। ” সুবহানাল্লাহ!
অন্য বর্ণনায় এসেছেন, “আমার সম্মানিত উম্মত উনারা ততদিন পর্যন্ত সম্মানিত হক্ব উনার উপর অবিচল থাকবেন, উনাদের সম্মানিত শাসন ব্যবস্থা অর্থাৎ সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবরক ততদিন পর্যন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে এবং উনাদের শত্রুরা উনাদের বিরোধিতা করে কোনো ক্ষতি সাধন করতে পারবে না, যতদিন পর্যন্ত উনাদের মাঝে ১২জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক পরিচালনা করবেন। উনারা প্রত্যেকেই সম্মানিত কুরাইশ বংশীয় হবেন। ” সুবহানাল্লাহ!
অন্য বর্ণনায় এসেছেন, “ক্বিয়ামত অবধি সময়ের মধ্যে দ্বীন ইসলাম শক্তিশালী থাকবেন ১২জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমে। উনারা প্রত্যেকেই সম্মানিত কুরাইশ বংশীয় হবেন। ” সুবহানাল্লাহ! {দলীল সমূহ : (১) বুখারী শরীফ, (২) মুসলিম শরীফ, (৩) আবূ দাউদ শরীফ, (৪) তিরমিযী শরীফ, (৫-১০) মুসনাদে আহমদ ৫/৮৭, ৮৮, ৮৯, ৯২, ১০৬, ১০৭, (১১-১৪) মুসনাদে বাযযার ৫/৩২০, ১০/১৫৮, ১৯৪, ১৯৭, (১৫) মুসনাদে আবূ ইয়া’লা ১৩/৩৭৯, (১৬Ñ১৭) মু’জামুছ ছাহাবাহ্ ১/১৪৪, ৩/২৩৪, (১৮-২২) মুসতাখরাজে আবী আওয়ানা ৮/১৪০, ১৪২, ১৪৫, ১৪৬, ১৪৭, (২৩-২৪) মুস্তাদরকে হাকিম ৩/৭১৫, ৭১৬, (২৫) মুসনাদে ইবনে জা’দ ১/৩৯০, (২৬-২৭) মুসনাদে ত্বয়ালসী ১/১০৫, ১৮০, (২৮) দায়লামী ৫/১০২, (২৯) আবী শায়বাহ্ ৬/৩৬৩, (৩০) দালাইলুন নুবুওওয়াহ্ লিল বাইহাক্বী ৬/৫২০, (৩১-৩৯) আল মু’জামুল কাবীর ২/২৭৪, ২৭৫, ২৭৮, ২৭৯, ২৯৩, ৩০৩, ৩৬৩, ৩৬৭, ১৫/৪৯৫, (৪০) আল মু’জামুল আওসাত্ব ৬/২৬৮, (৪১) মু’জামুশ শুয়ূখ ১/৩২৭, (৪২) আল আহাদ ওয়াল মাছানী ৩/১৫৩, (৪৩) আস সুন্নাহ্ ২/৫৩২, (৪৪) শরহুস সুন্নাহ্ ১৫/৩০, (৪৫) মা’রিফাতুছ ছাহাবাহ্ লিআবী নাঈম ১/৭৭, (৪৬) তাসমিয়াতু মা রওয়াহু সাঈদ ইবনে মানছূর লিআবী নাঈম ১/১৫, (৪৭) হাদীছুল আনছারী ১/৭১, (৪৮) ফাদ্বাইলুল খুলাফাইর রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম লিআবী নাঈম ১/৩২৩, (৪৯) কিতাবুল ফাওয়াইদ ১/৪১১, (৫০-৫১) সুনানুল ওয়ারিদা ফিল ফিতান ২/৪৯২, ৫/৯৫৫, (৫২-৫৩) ইবনে হিব্বান ১৫/ ৪৩-৪৪, (৫৪) ইবনে জা’দ, (৫৫-৬০) জামিউল আহাদীছ ১৬/১২৯, ১৭/১২৯, ১৩৩, ১৪৭, ১৫১, ১৯০, (৬১-৬৮) জামউল জাওয়ামি’ ১/১৮০৪৪, ১৯৩৮৮, ১৯৩৮৯, ১৯৩৯৮, ১৯৩৯৯, ১৯৪৪১, ১৯৪৪৮, ১৯৫৫৬, (৬৯-৭০) আল ইস্তিয়াব ১/১৯৮, ২/৬৫৬, (৭১) জামি’উল উছূল ৪/২০২২, (৭২) খছাইছুল কুবরা ২/১৭৫, (৭৩) তারীখুল খুলাফা ৮ নং পৃষ্ঠা, (৭৪-৭৬) মুখতাছারু তারীখি দিমাশক্ব ১/৩৯২, ৩/৩২১, ৮/১৪৮, (৭৭) তারীখে বাগদাদ, (৭৮) ফাতহুল কাবীর ৩/৩৪৮, (৭৯) মাজমাউয যাওয়াইদ ৫/২২৮, (৮০) মাত্বালিবুল আলিয়া, (৮১) দালাইলুন নুবুওওয়াহ্ লিআবী নাঈম ২/৭৯, (৮২-৮৩) সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১০/৮৩, ১২৩, (৮৪) ক্বছাছুল আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম লিইবনে কাছীর ১/২০১, (৮৫) আছ ছওয়াইকুল মুহরিক্বাহ্ ১/৫৪, (৮৬) ইযালাতুল খফা ১/৩২৩, (৮৭-৯১) বিদায়া-নিহায়া ১/১৭৭, ৬/২১৫, ২২১, ২৭৮, ২৭৯, (৯২-৯৩) আন নিহায়া ফিল ফিতান ১/৫, ১৫, (৯৪) তারীখ লিআবী নাঈম ১/২৭৩, (৯৫) তারীখে ইবনে খালদুন ১/৩২৫, (৯৬) মিশকাত শরীফ ৫৫০ নং পৃষ্ঠা, (৯৭) মিরকাত শরীফ, (৯৮) আশয়াতুল লুমাত, (৯৯) শরহুত ত্বিবী, (১০০-১০১) আত তারীখুল কাবীর লিল বুখারী ১/৪৪৬, ৮/৪১১, (১০২) আছ ছিক্বাত ৭/২৪২, (১০৩) তাহযীবুল কামাল ৩/২২৪, (১০৪) সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ১৯/৩৯৮, (১০৫) আল হাওই ২/৮০, (১০৬-১০৭) ফাতহুল বারী ১৩/২১১, ২১২, (১০৮) উমদাতুল ক্বারী ৩৫/৩২৭, (১০৯) আল ইকমাল ৬/১১১, (১১০) আল মুফহিম ১২/৬৮, (১১১) শরহুন নববী ৬/২৮৫, (১১২) আদ দীবাজ ৪/৪৪০, (১১৩) কাশফুল মুশকিল ১/২৮৯, (১১৪-১১৫) তুহ্ফাতুল আহওয়ায ৬/৫, ৮, (১১৬) ফখরিল আরব ১/৩, (১১৭) আওনুল মা’বূদ ৯ম খ-, (১১৮) ‘উরফ ১/১৫১, (১১৯) ফী কিতাবিল আহকাম ২/৫৩৮, (১২০-১২২) তুহ্ফাতুল আশরাফ ২/১৪৮, ১৫১, ১৬১, (১২৩-১২৬) কানযুল উম্মাল ১১/১৩৫, ১৫২, ১২/৩২, ১২/৩৩, (১২৭) তারীখুল খুলাফা ৪৬ নং পৃষ্ঠা। এছাড়াও পৃথিবীর আরো অন্যান্য বিশ্বখ্যাত কিতাব মুবারক উনাদের মধ্যে আলোচ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!}
সুতরাং উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে প্রতিভাত হলো যে, ক্বিয়ামত অবধি সময়ের মধ্যে এই উম্মত উনাদের মাঝে ১২জন মহাসম্মানিত বিশেষ খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক আবির্ভাব ঘটবেন। এখানে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কেননা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে ১২জন মহাসম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের কথা বলা হয়েছে। আর এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ ছহীহ হওয়ার ব্যাপারে সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ইজমা অর্থাৎ ঐকমত্য পোষণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তাই এ ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করলে ঈমানদার থাকা যাবে না। ১২জন মহাসম্মানিত বিশেষ খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক আলোচনা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে তো অবশ্যই; এমনকি পূর্ববর্তী সম্মানিত আসমানী কিতাব মুবারক উনাদের মধ্যেও রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৭)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (১)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৪)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৬)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক (৩)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৩)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)