প্রসঙ্গ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের
বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদের শানের খিলাফ বর্ণিত মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব (১০)
, ১২ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৫ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) বরকতময় জিবনী মুবারক
১. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক উনার খিলাফ বর্ণিত মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব:
গরানীক্ব ও তৎসংশ্লিষ্ট ঘটনা এবং মুসলমানদের সাথে মুশরিকদের সিজদাহ্ বিষয়ে মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব:
(৩) ‘বুখারী শরীফ’-এ বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَاَ سُوْرَةَ النَّجْمِ فَسَجَدَ بِهَا فَمَا بَقِىَ اَحَدٌ مِّنَ الْقَوْمِ اِلَّا سَجَدَ فَاَخَذَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ كَفًّا مِّنْ حَصًى اَوْ تُرَابٍ فَرَفَعَهٗ اِلٰى وَجْهِهٖ وَقَالَ يَكْفِيْنِىْ هٰذَا قَالَ حَضْرَتْ عَبْدُ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ فَلَقَدْ رَاَيْتُهٗ بَعْدُ قُتِلَ كَافِرًا
অর্থ: “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নজম শরীফ সম্মানিত তিলাওয়াত মুবারক করেন, অতঃপর সিজদাহ্ করেন। তখন ক্বওম বা সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন কেউ বাকী ছিল না, যে উনার সাথে সিজদাহ্ করেনি। কিন্তু এক ব্যক্তি এক মুঠো কঙ্কর বা মাটি হাতে নিয়ে মুখমন্ডল পর্যন্ত তুলে বলল, ‘এটাই আমার জন্য যথেষ্ট।’ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, পরে আমি তাকে দেখেছি, সে কাফির অবস্থায় নিহত হয়েছে।” (বুখারী শরীফ- হাদীছ শরীফ নং ১০৭০, ১০৬৭, ৩৯৭২)
এটি ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত শু’বা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সূত্রে হযরত আবূ ইসহাক্ব রহমতুল্লহি আলাইহি উনার মারফত বর্ণনা করেছেন। আর হযরত শু’বা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গরানীক্বের ঘটনা বর্ণনাকারীদের অন্যতম। যথাস্থানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এই হাদীছকেও ‘গ¦রানীক্বের ঘটনার’ সাথে সম্পৃক্ত করেছেন এবং মুশরিকদের সিজদার কারণ হিসেবে ‘গ¦রানীক্বের ঘটনা’ উল্লেখ করেছেন।
অপর বর্ণনায় এসেছে,
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اَوَّلُ سُوْرَةٍ اُنْزِلَتْ فِيْهَا سَجْدَةٌ وَالنَّجْمِ قَالَ فَسَجَدَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَجَدَ مَنْ خَلْفَهٗ اِلَّا رَجُلًا رَاَيْتُهٗ اَخَذَ كَفًّا مِّنْ تُرَابٍ فَسَجَدَ عَلَيْهِ فَرَاَيْتُهٗ بَعْدَ ذٰلِكَ قُتِلَ كَافِرًا وَهُوَ اُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ
অর্থ: “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সিজদাহ্ সম্বলিত অবতীর্ণ হওয়া সর্বপ্রথম সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শরীফ হলেন- তকসম্মানিত ও পবিত্র সূরা নজম শরীফ। হযরত ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (এই সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শরীফ সম্মানিত তিলাওয়াত মুবারক করার পর যখন) সম্মানিত সিজদাহ্ মুবারক করেন, তখন উনার পেছনে যত লোক ছিলো একজন ব্যতীত সকলেই সিজদাহ্ করল। ঐ ব্যক্তিকে আমি দেখলাম, এক মুঠো মাটি হাতে নিয়ে তাতে সিজদাহ্ করছে। এরপর আমি তাকে কাফের অবস্থায় নিহত হতে দেখেছি। আর সে হল ‘উমাইয়াহ্ ইবনে খলফ’।” (বুখারী- হাদীছ নং ৪৮৬৩)
এটি ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত ইসরাঈল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সূত্রে হযরত আবূ ইসহাক্ব রহমতুল্লহি আলাইহি উনার মারফত বর্ণনা করেছেন। উপরোক্ত দুটি বর্ণনা নিয়ে ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা অনেকে অনেক কথা বলেছেন। উনারা বলেছেন, হযরত শু’বা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং হযরত ইসরাঈল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অর্থাৎ উনারা দুজন নিজেদের কথা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার নামে চালিয়ে দিয়েছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! (ফাতহুল বারী, আল মুখতাছারুন নাছীহ ফী তাহযীবিল কিতাবিল জামিয়িছ ছহীহ, উমদাতুল ক্বারী, নাইলুল আওত্বার ইত্যাদি) এ বিষয়ে যথাস্থানে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ! এই বর্ণনা দিয়েও মুসলমান উনাদের সাথে মুশরিকদের সিজদাহ্ ছাবিত করা হয় এবং সিজাদার কারণ হিসেবে ‘গরানীক্বের ঘটনাকে’ সম্পৃক্ত করা হয়।
বিভিন্ন তাফসীরের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اِنَّ الرَّسُوْلَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا رَاٰى اِعْرَاضَ قَوْمِهٖ عَنْهُ وَشَقَّ عَلَيْهِ مَا رَاٰى مِنْ مُّبَاعَدَتِهِمْ عَمَّا جَاءَهُمْ بِهٖ تَمَنّٰى فِىْ نَفْسِهٖ اَنْ يَّأْتِيَهُمْ مِّنَ اللهِ مَا يُقَارِبُ بَيْنَهٗ وَبَيْنَ قَوْمِهٖ وَذٰلِكَ لِحِرْصِهٖ عَلٰى اِيْمَانِهِمْ فَجَلَسَ ذَاتَ يَوْمٍ فِىْ نَادٍ مِّنْ اَنْدِيَةِ قُرَيْشٍ كَثِيْرٍ اَهْلُهٗ وَاَحَبَّ يَوْمَئِذٍ اَنْ لَّا يَأْتِيَهٗ مِنَ اللهِ شَىْءٌ يَنْفِرُوْا عَنْهُ وَتَمَنّٰى ذٰلِكَ فَاَنْزَلَ اللهُ تَعَالٰى سُوْرَةَ وَالنَّجْمِ اِذَا هَوٰى [النَّجْمِ ১] فَقَرَاَهَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتّٰى بَلَغَ قَوْلَهٗ اَفَرَاَيْتُمُ اللّٰتَ وَالْعُزّٰى وَمَنٰوةَ الثَّالِثَةَ الْاُخْرٰى [النَّجْمِ ১৯، ২০] اَلْقَى الشَّيْطَانُ عَلٰى لِسَانِهٖ ্রتِلْكَ الْغَرَانِيْقُ الْعُلٰى وَاِنَّ شَفَاعَتَهُنَّ لَتُرْتَجٰىগ্ধ فَلَمَّا سَمِعَتْ قُرَيْشٌ ذٰلِكَ فَرِحُوْا وَمَضٰى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِىْ قِرَاءَتِهٖ فَقَرَاَ السُّوْرَةَ كُلَّهَا فَسَجَدَ وَسَجَدَ الْمُسْلِمُوْنَ لِسُجُوْدِهٖ وَسَجَدَ جَمِيْعُ مَنْ فِى الْمَسْجِدِ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ فَلَمْ يَبْقَ فِى الْمَسْجِدِ مُؤْمِنٌ وَلَا كَافِرٌ اِلَّا سَجَدَ سِوَى الْوَلِيْدِ بْنِ الْمُغِيْرَةِ وَاَبِىْ اُحَيْحَةَ سَعِيْدِ بْنِ الْعَاصِى فَاِنَّهُمَا اَخَذَا حَفْنَةً مِّنَ التُّرَابِ مِنَ الْبَطْحَاءِ وَرَفَعَاهَا اِلٰى جَبْهَتَيْهِمَا وَسَجَدَا عَلَيْهَا لِاَنَّهُمَا كَانَا شَيْخَيْنِ كَبِيْرَيْنِ فَلَمْ يَسْتَطِيْعَا السُّجُوْدَ وَتَفَرَّقَتْ قُرَيْشٌ وَقَدْ سَرَّهُمْ مَا سَمِعُوْا وَقَالُوْا قَدْ ذَكَرَ )سَيِّدُنَا مَوْلَانَا( مُحَمَّدٌ )صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ( اٰلِهَتَنَا بِاَحْسَنِ الذِّكْرِ فَلَمَّا اَمْسٰى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَتَاهُ حَضْرَتْ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَقَالَ مَاذَا صَنَعْتَ تَلَوْتَ عَلَى النَّاسِ مَا لَمْ اٰتِكَ بِهٖ عَنِ اللهِ وَقُلْتَ مَا لَمْ اَقُلْ لَكَ فَحَزِنَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُزْنًا شَدِيْدًا وَخَافَ مِنَ اللهِ خَوْفًا عَظِيْمًا حَتّٰى نَزَلَ قَوْلُهٗ تَعَالٰى وَمآ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رَّسُوْلٍ وَّلَا نَبِىٍّ اَلْاٰيَةَ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন দেখলেন উনার থেকে উনার সম্প্রদায়ের লোকজন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এবং তিনি তাদের নিকট যা নিয়ে এসেছেন তা থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নেয়াটা যখন উনার নিকট কষ্টকর হয়ে পড়লো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বীয় সম্প্রদায়ের ঈমানের বিষয়ে দয়াপরবশ হয়ে মনে মনে আকাঙ্খা মুবারক করলেন- মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে যদি এমন কিছু নাযিল হয় যা উনাকে এবং উনার সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিকটবর্তী করবে। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মনেপ্রাণে চাইতেন তারা হেদায়েত প্রাপ্ত হোক। এমতাবস্থায় একদিন কুরাইশদের অনেক লোকের এক মজলিসে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তখন তিনি ইচ্ছা করছিলেন যে, মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে যেন উনার নিকট এমন কিছু না আসেন, যাতে কুরাইশরা উনার থেকে দূরে চলে যায়। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এই আকাঙ্খা মুবারক উনার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নজম শরীফ নাযিল করেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তা পাঠ করতে করতে যখন এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ পর্যন্ত পৌঁছলেন-
اَفَرَاَيْتُمُ اللّٰتَ وَالْعُزّٰى وَمَنٰوةَ الثَّالِثَةَ الْاُخْرٰى
‘তোমরা কি লাত ও উয্যা সম্পর্কে লক্ষ্য করো না? ফিকির করো না? এবং ৩য় অপর একটি মানাত সম্পর্কে কি লক্ষ্য করো না? ফিকির করো না?’ তখন শয়তান উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যবান মুবারক-এ) নিক্ষেপ করলো,
تِلْكَ الْغَرَانِيْقُ الْعُلٰى وَاِنَّ شَفَاعَتَهُنَّ لَتُرْتَجٰى
‘এগুলো (এই মূর্তিগুলো) খুব সুন্দর, খুব ছূরত পাখির মতো এবং আশা করা যায় যে এগুলো অবশ্যই (মুশরিকদের জন্য) সুপারিশ করবে।’ না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!
কুরাইশরা এটা শুনে অত্যন্ত আনন্দিত হলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত তিলাওয়াত মুবারক করতে করতে পুরো সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শরীফ সম্মানিত তিলাওয়াত মুবারক করেন এবং সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শরীফ উনার শেষে সম্মানিত সিজদাহ্ মুবারক করেন। তখন উনার সাথে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারাও সিজদাহ্ করলেন এবং মুশরিকদের মধ্য থেকে যারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদে হারাম শরীফ উনার মধ্যে ছিলো তারা সকলেই সিজদাহ্ করলো। ঐ সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদে হারাম শরীফ উনার মধ্যে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা এবং মুশরিকরা যারা ছিলো কেউই সিজদাহ্ করা থেকে বিরত থাকেনি। একমাত্র ওলীদ ইবনে মুগীরা এবং আবূ উহাইহাহ্ সাঈদ ইবনে আছ তারা দুইজন সিজদাহ্ করলো না। তারা যমীন থেকে এক মুষ্টি মাটি নিয়ে কপালে ঠেকিয়ে সেটাতে সিজদাহ্ করলো। কারণ তারা দু’জনেই ছিলো অতিবৃদ্ধ, তাই তারা সিজদাহ্ করতে সক্ষম ছিলো না। কুরাইশরা বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের দেব-দেবীদের (প্রশংসামূলক) আলোচনা যা শুনেছে, সে জন্য খুশি প্রকাশ করে বলাবলি করছিলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের দেব-দেবীদের (প্রশংসামূলক) সর্বোত্তম আলোচনা করেছেন। তখন হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম তিনি এসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! একি করলেন আপনি? মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে আমি যা নিয়ে আসিনি, আপনি মানুষদের নিকট তা তিলাওয়াত মুবারক করেছেন। আর আপনি যা বলেছেন আমি তো আপনাকে তা বলিনি।’ তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত চিন্তিত হলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়ে অত্যন্ত ভীতসন্ত্রস্ত হলেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি وَمَآ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করেন।” (তাফসীরে কাবীর ২৩/২৩৭, তাফসীরে মাযহারী ৬/৩৩৬, তাফসীরে র্দুরে মানছূর, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম, তাফসীরে ত্ববারী, তাফসীরে ইবনে আব্বাস, তাফসীরে বাগভী, লুবাবুন নুকূল, তাফসীরে জালালাইন ইত্যাদি)
অনুরূপ বর্ণনা তাফসীরে জীলানী ও মকতূবাত শরীফেও রয়েছে।
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (২)
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (১)
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল কাওনাইন, ছাহিবু ক্বাবা ক্বাওসাইনি আও আদনা, ফখরুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত মুসলমান উনাদের ইহকালীন ও পরকালীন নাজাত লাভের সর্বোচ্চ মাধ্যম মুবারক (৩)
২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছামিনাহ্ আলাইহাস সালাম
০৩ জুন, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে, উনারই সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন
২১ মে, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মালিকুল কায়িনাত, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১২ মে, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র মু’জিযা শরীফ”
০৩ মে, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ বর্ণিত মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব (১)
২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
২৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদের শানের খিলাফ বর্ণিত মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব (১১)
০৬ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৫ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)