প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর আহলু বাইতি রসূলল্লিাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়মি মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্ললি আলামীন মামদূহ র্মুশদি ক্ববিলা সাইয়্যদিুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহসি সালাম উনার মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি নূরুস সালাম মুবারক-এ মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে র্বণতি اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দ মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ (১)
, ২০ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ১৩ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاَمَّا بِـنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ
অর্থ: “আর আপনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে যেই সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন, সেই সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক সম্পর্কে আপনি বর্ণনা করুন। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা দ্বুহা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১১)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ওহী মুবারক অনুযায়ী প্রাপ্ত নি‘য়ামত মুবারক সম্পর্কে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের মাঝে বর্ণনা মুবারক করেছেন, ঠিক একইভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাত মুবারক আদায়ের লক্ষ্যে উনার একক ও অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছামাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সম্মানিত ইচ্ছা মুবারক অনুযায়ী উনাদের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে প্রাপ্ত নিয়ামত মুবারক সম্পর্কে কখনও কখনও কিছু কিছু বিষয় মুরীদদের মাঝে, কায়িনাতবাসীর মাঝে বর্ণনা মুবারক করে সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলকে ধন্য করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! তেমনিভাবে ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার ৯ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতুস সাবত শরীফ (শনিবার রাত্রে) একটি বিশেষ বিষয় বর্ণনা মুবারক করে সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলকে ধন্য করেছেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! যা সৃষ্টি জগতের কারো জানা ছিলো না।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার ৬ জায়গায় অর্থাৎ সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৪, সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইঊনুস শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত ৩, সম্মানিত ও পবিত্র সূরা র’দ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২, সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফুরক্বান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৯, সম্মানিত ও পবিত্র সূরা সিজদাহ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪ এবং সম্মানিত ও পবিত্র সূরা হাদীদ শরীফ উনার ৪ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-এ
ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ
(ছুম্মাস্তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ) উল্লেখ রয়েছেন। আর সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ত্বহা শরীফ উনার ৫ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-এ
اَلرَّحْـمـٰـنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَـوٰى
(আর রহমানু ‘আলাল ‘আরশিস্তাওয়া) উল্লেখ রয়েছেন। এ সকল জায়গায় اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ কি হবে সৃষ্টির কারো জানা ছিলো না, কুল-কায়িনাতের কারো জানা ছিলো না।
এ সম্পর্কে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনিসহ আরো বড় বড় ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে সুওয়াল করা হয়েছিলো যে, اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ কি? উনারা বলেছেন যে, اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের শাব্দিক অর্থ আমাদের জানা রয়েছে, ‘উপবেশন করা, বরাবর হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি’। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি কিভাবে اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) হয়েছেন, এটা আমাদের জানা নেই। ”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, ‘اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ কি হবে সৃষ্টির কারো জানা নেই, কুল-কায়িনাতের কারো জানা নেই। ’
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি কায়িনাতবাসীকে ইলিম মুবারক উনার গুরুত্ব অনুধাবনের লক্ষ্যে ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার ৮ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ শরীফ (জুমু‘আহ্বার রাত) ইরশাদ মুবারক করেন, “মাসআলার জওয়াব দিলে, ফতওয়া দিলে টাকা লাগবে না? হ্যাঁ, টাকা দিতে হবে। এই যে ১৪০০ বছরে اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ কি হবে, কেউ এটা ফায়ছালা দিতে পারলো না। আমি দিবো; টাকা দিতে হবে না? ১৪০০ বছরে ১৪০০ কোটি টাকা দিতে হবে। তাহলে আমি বলবো। ” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَلنُّـعْمَانِ بْنِ بَشِيْـرٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلتَّحَدُّثُ بِـنِعْمَةِ اللهِ شُكْرٌ وَّتَـرْكُهَا كُفْرٌ وَّمَنْ لَّا يَشْكُرِ الْقَلِـيْلَ لَا يَشْكُرِ الكَثِيْـرَ وَمَنْ لَّا يَشْكُرِ النَّاسَ لَا يَشْكُرِ اللهَ
অর্থ: “হযরত নু’মান ইবনে বশীর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সম্মানিত নিয়ামত মুবারক সম্পর্কে বর্ণনা করা শুকরিয়া হিসেবে গণ্য এবং বর্ণনা না করা কুফরী। যে ব্যক্তি সামান্য সম্মানিত নিয়ামত মুবারক পেয়ে শুকরিয়া আদায় করে না, সে অধিক সম্মানিত নিয়ামত মুবারক পেয়েও শুকরিয়া আদায় করবে না। যে ব্যক্তি মানুষের শুকরিয়া আদায় করে না, সে মহান আল্লাহ পাক উনারও শুকরিয়া আদায় করতে পারবে না। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (শু‘আবুল ঈমান, মুসনাদে আহমদ, আত ত্ববারনী, মাজমা‘উয যাওয়ায়িদ, মুসনাদে বায্যার, কাশফুল খফা, আল ফাতহুল কাবীর ইত্যাদি)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৭)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)