নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ উনাকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ বিষয়ে আপত্তি ও তার খণ্ডনমূলক জবাব (৭)
, ১৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৯ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ০৮ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
২. প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
‘প্রতি দমে বা শ্বাস—প্রশ্বাসে ২টি করে ঈদ’ যা আলোচনা করা হলো। তাছাউফের পরিভাষায় কারো যদি পাছ আনফাছ যিকির জারী হয়ে যায়, তাহলে তার ২৪ ঘন্টা আপছে আপ শ্বাস ছাড়ার সময় لَا اِلٰهَ‘লা ইলাহা’ এবং শ্বাস গ্রহণের সময় اِلَّا اللهُ ‘ইল্লাল্লাহ’ এই যিকির চলতে থাকে। সুবহানাল্লাহ! তখন ২৪ ঘণ্টাই সে মহান আল্লাহ পাক উনার স্মরণে, ধ্যানে, খেয়ালে ও মুহব্বতে মশগুল থাকে। ফলে ২৪ ঘন্টাই দায়িমীভাবে তার প্রতি দমে দুটি ঈদ হয় অর্থাৎ শ্বাস ছাড়ার সময় ১টি এবং শ্বাস গ্রহণের সময় ১টি মোট ২টি ঈদ হয়। সুবহানাল্লাহ!
তাছাউফের পরিভাষায় এটা হচ্ছে ঐ সালিক বা মুরীদের অবস্থা যার পাছ আনফাছ বা শ্বাস—প্রশ্বাসের যিকির জারী হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! আর কারো যদি ‘সুলত্বানুল আযকার’ যিকির জারী হয়, তখন তার সমস্ত শরীরে যে ১ লাখ ২৫ হাজার লতীফা আছে, সমস্ত লতীফাগুলো দায়িমীভাবে ‘আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ’ যিকির করতে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, কোনো সালিক বা মুরীদের যদি ‘সুলত্বানুল আযকার’ যিকির জারী হয়ে যায়, তাহলে তার প্রতি সেকেন্ডে লক্ষ লক্ষ ঈদ হয়। সুবহানাল্লাহ! আর মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে উক্ত সালিক বা মুরীদের নিসবত মুবারক অনুযায়ী প্রত্যেকটা ঈদ আবার ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর বা তার চেয়েও বড় ঈদ হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ!
প্রতি সেকেন্ডে লক্ষ লক্ষ ঈদ হয়, এটা হচ্ছে যিকিরের মাধ্যমে। অর্থাৎ কারো যদি ‘সুলত্বানুল আযকার’ যিকির জারী হয়ে যায়, তার প্রতি সেকেন্ডে লক্ষ লক্ষ ঈদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর বা তার চেয়েও বড় ঈদ হয়। সুবহানাল্লাহ!
ঠিক একইভাবে প্রত্যেকটি নেক আমলে একটি করে ঈদ এবং প্রত্যেকটা বদ আমল বা নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকা একটি করে ঈদ। সুবহানাল্লাহ! কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা বান্দা—বান্দী, উম্মতদেরকে নেক আমল করার জন্য সম্মানিত আদেশ মুবারক করেছেন এবং বদ আমল বা নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। কাজেই কেউ যদি কোনো নেক আমল করে, তাহলে সে মূলত মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ মুবারক পালন করে, ফলে উনারা তার প্রতি সন্তুষ্ট হন। সুবহানাল্লাহ! আবার ঠিক একইভাবে কেউ যদি ১টি বদ আমল বা নাফরমানী থেকে বাঁচতে পারে, তাহলে সে মূলত মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক পালন করে, ফলে উনারা তার প্রতি সন্তুষ্ট হন। সুবহানাল্লাহ! আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاللهُ وَرَسُوْلُهٗۤ اَحَقُّ اَنْ يُّرْضُوْهُ اِنْ كَانُوْا مُؤْمِنِيْنَ
অর্থ: “তারা যদি ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে তাদের জন্য দায়িত্ব—কর্তব্য হচ্ছে— মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে সন্তুষ্ট করা। উনারাই সন্তুষ্টি পাওয়ার সমধিক হক্বদার। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬২)
কাজেই, একজন বান্দা—বান্দী, উম্মত যখন ১টি নেক আমল করার মাধ্যমে এবং ১টি বদ আমল বা নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ—নির্দেশ মুবারক পালন করে, তখন উনারা তার প্রতি সন্তুষ্ট হন। সুবহানাল্লাহ! তাহলে অবশ্যই এটা তার জন্য ঈদ বা খুশির কারণ। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, প্রত্যেকটি নেক আমলে একটি করে ঈদ এবং প্রত্যেকটা বদ আমল বা নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকা একটি করে ঈদ। সুবহানাল্লাহ! তাহলে কেউ যদি দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামায সঠিকভাবে আদায় করে, তাহলে দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাযের সময়গুলোতে তার জন্য রয়েছে অনেক ঈদ। এছাড়া কেউ যদি সুন্নত এবং নফল নামায আদায় করে, তাহলে সে সময়গুলোতে তার জন্য রয়েছে অনেক ঈদ। অনুরূপভাবে কেউ যদি ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল রোযা রাখে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা মুবারক অনুযায়ী প্রত্যেক রোযাদারের জন্য প্রত্যেকটি রোযায় ২টি খুশি বা ঈদ। ১টি ইফতারের সময় আরেকটি মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতের সময়। সুবহানাল্লাহ!
আর একজন বান্দা—বান্দী, উম্মতের জন্য সবচেয়ে বড় নেক আমল হচ্ছেন— মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা বা অনুসরণ—অনুকরণ করা। সুবহানাল্লাহ! কেননা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُـحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِىْ يُـحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত মুবারক করে থাক, তাহলে আমার ইত্তিবা’ অর্থাৎ অনুসরণ—অনুকরণ কর। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন এবং তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত বান্দা—বান্দীদেরকে দুটি বিষয় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন— ১. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা বা অনুসরণ—অনুকরণ করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত ব্যক্তিকে মুহব্বত করবেন এবং ২. তার গুণাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ تَمَسَّكَ بِسُنَّتِىْ عِنْدَ فَسَادِ اُمَّتِىْ فَلَهٗ اَجْرُ مِائَةِ شَهِيْدٍ
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মতের ফিতনা—ফাসাদের সময় আমার একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক আঁকড়ে ধরে রাখবেন, তিনি একশত শহীদের ফযীলত মুবারক লাভ করবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আয যুহ্দ লিল বাইহাক্বী ১/২২১, ২০৭, আল কামিল লি ইবনে আদী ৪৬০)
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা আরো কয়েকজন রাবী থেকে বিভিন্ন রেওয়াতে বর্ণিত রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
তাহলে এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, কেউ যদি মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত পরিপূর্ণরূপে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা করেন, তাহলে তিনি কোটি কোটি শহীদের ছাওয়াব লাভ করবেন। কেননা ১টি টুপির মধ্যে কমপক্ষে ১৩শত শহীদের ছাওয়াব রয়েছেন। যেমন— (১) টুপি হিসেবে ১টি সুন্নত, (২) টুপির রং সাদা হিসেবে ১টি সুন্নত, (৩) টুপির কাপড় সূতি হওয়ার মাধ্যমে ১টি সুন্নত, (৪) টুপি গোল হওয়া হিসেবে ১টি সুন্নত, (৫—৮) টুপি চার টুকরো হওয়া হিসেবে চার টুকরোয় ৪টি সুন্নত, (৯) টুপি মাথার সাথে লেগে থাকা হিসেবে ১টি সুন্নত, (১০) সুন্নতী তরতীবে পরিধান করা হিসেবে ১টি সুন্নত। (কেননা টুপির ২টি সেলাই কপালের দুই দিকে থাকা এবং ১টি সেলাই পিছনের দিকে ঘাড়ের মাঝ বরাবর থাকা সুন্নত। ) (১১) চারদিকে তিন টুকরা হওয়া, (১২) উপরে এক টুকরা হওয়া, (১৩) মাথা থেকে উঁচু না হওয়া। তাহলে দেখা যাচ্ছে— সুন্নতী টুপি সুন্নতী কায়দায় পরিধান করার মাধ্যমে (১) কমপক্ষে ১৩শত শহীদের ছাওয়াব পাওয়া যাচ্ছে। (২) এছাড়া মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রহমত মুবারক উনার উপর বর্ষিত হচ্ছেন, (৩) উনার গুনাহ ক্ষমা হচ্ছে, (৪) বিদয়াত আমল থেকে তিনি বাঁচতে পারতেছেন, (৫) মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারক তিনি পাচ্ছেন, (৬) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্মরণে তিনি থাকতে পারছেন এবং (৭) উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারক তিনি পাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!
তারপর পাগড়ী পরিধান করা দায়িমী সুন্নত মুবারক। সেখানেও ১১শত শহীদের ছাওয়াব রয়েছেন। যেমন— (১) পাগড়ী হিসেবে ১টি সুন্নত, (২) পাগড়ীর রং (সবুজ বা কালো অথবা সাদা) হিসেব ১টি সুন্নত, (৩) পাগড়ীর কাপড় সূতি হওয়া হিসেবে ১টি সুন্নত, (৪) পাগড়ী লম্বায় কয় হাত হবে (তিন বা সাত অথবা বারো হাত) সে হিসেবে ১টি সুন্নত, (৫) পাগড়ী পাশে কয় হাত হবে (আধা হাত বা এক হাত অথবা দুই হাত) সে হিসেবে ১টি সুন্নত, (৬) পাগড়ী সুন্নতী তরতীবে বাঁধা ১টি সুন্নত, (৭) পাগড়ী দাঁড়িয়ে বাঁধতে হয় সে হিসেবে ১টি সুন্নত, (৮) পাগড়ীর শিমলার পরিমাণ কতটুকু হবে, সে হিসেবে ১টি সুন্নত, (৯) শিমলা পিছনে ঝুলিয়ে দেয়া হিসেবে ১টি সুন্নত, (১০) টুপির উপর পাগড়ী বাঁধা ১টি সুন্নত, (কেননা শিখ সম্প্রদায় টুপি ছাড়া খালি মাথায় পাগড়ী পরিধান করে। না‘ঊযুবিল্লাহ!) (১১) পাগড়ীর নীচে কেনায়া পরিধান করা ১টি সুন্নত। তাহলে দেখা যাচ্ছে— পাগড়ী সুন্নতী কায়দায় পরিধান করার মাধ্যমে কমপক্ষে (১) ১১শত শহীদের ছাওয়াব পাওয়া যাচ্ছে। (২) এছাড়া মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রহমত মুবারক পাগড়ী পরিধানকারী উনার উপর বর্ষিত হচ্ছেন, (৩) উনার গুণাহ ক্ষমা হচ্ছে, (৪) বিদয়াত আমল থেকে তিনি বাঁচতে পারতেছেন, (৫) মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারক তিনি পাচ্ছেন, (৬) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্মরণে তিনি থাকতে পারছেন এবং (৭) উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারক তিনি পাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!
এভাবে সুন্নতী কেনায়া, সুন্নতী রুমাল, সুন্নতী কোর্তা, সুন্নতী ইযার বা লুঙ্গী, সুন্নতী সেন্ডেল, সুন্নতী মোজা, সুন্নতী জুব্বা, সুন্নতী চাদর পরিধান করা ইত্যাদির মাধ্যমে হাজার হাজার শহীদের ছাওয়াব পাওয়া যাচ্ছে অর্থাৎ হাজার হাজার নেক আমল হচ্ছে। সুবহানাল্লাহ!
এটা তো হলো পরিধানের সুন্নত মুবারক। তারপর রয়েছেন, পরিষ্কার—পরিচ্ছন্নতার সুন্নত, চুল রাখার সুন্নত, দাড়ি রাখার সুন্নত, নখ কাটার সুন্নত, ওযূ—গোসলের সুন্নত, খাওয়া—দাওয়ার সুন্নতী তরতীব, সুন্নতী খাবার, সুন্নতী আসবাব পত্র, কথাবার্তার সুন্নত, চালচলনের সুন্নত, হাটা—চলার সুন্নত, ঘুমানোর সুন্নত, ব্যবসা—বানিজ্যের সুন্নত, লেনদেনের সুন্নত, বিভিন্ন ইবাদত—বন্দেগীর সুন্নত, নামায—রোযার সুন্নত, ওয়ায—নছীহতের সুন্নত ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে দেখা যাচ্ছে— কেউ যদি দায়িমীভাবে পরিপূর্ণরূপে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনাদের ইত্তিবা করেন, তাহলে প্রতি সেকেন্ডে উনার লক্ষ লক্ষ নেক আমল হচ্ছেন। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে উনার জন্য লক্ষ লক্ষ ঈদ। আর কেউ যদি লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি লোককে সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার তা’লীম—তালক্বীন দেন এবং উনার উছীলায় লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি লোক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা করেন, তাহলে উনার প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি নেক আমল হচ্ছেন। তাহলে নিসবত মুবারক অনুযায়ী উনার জন্য প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর বা তার চেয়েও বড় ঈদ হন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
—মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৭)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)