নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই দুআ মু’মিনের তরবারী বা অস্ত্র স্বরূপ।
ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা খাছ সুন্নত মুবারক ও জিহাদ স্বরূপ। বর্তমান সময়ে ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। তাই, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- প্রতিদিন প্রতি ওয়াক্তে মুসলমানদের জন্য নেক দুআ এবং ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে শক্ত বদ দুআ করা।
, ২৯ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই দুআ মু’মিনের তরবারী বা অস্ত্র, দ্বীনের ভিত্তি এবং আসমান-যমীনের জন্য নূর স্বরূপ।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাফির মুশরিকদের মধ্য হতে অত্যধিক সীমালঙ্ঘনকারীদের প্রতি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বদদোয়া দিতেন। প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বদদোয়ার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেন। যেমন, উহুদ যুদ্ধের পর বীরে মাঊনাহবাসীকে ইসলাম উনার দাওয়াত দেয়ার জন্য সত্তর জন ক্বারী ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রেরণ করলেন। কিন্তু রিল, যাকওয়ান ও আসিয়্যা গোত্রের লোকেরা উনাদেরকে শহীদ করে। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যধিক কষ্ট পেয়ে দীর্ঘ একমাস যাবৎ বদদোয়া করে বলেন, “আয় আল্লাহ পাক! আপনি রিল, যাকওয়ান এবং আছিয়্যা গোত্রের উপর লা’নত বর্ষণ করুন।” অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “আয় আল্লাহ পাক! আপনি মুদ্বার গোত্রকে কঠোর শাস্তি দিন এবং তাদের উপর দুর্ভিক্ষ দিয়ে দিন। যেমনটি দুর্ভিক্ষ হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার সময়ে হয়েছিলো।”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নাম ধরে ধরে মুশরিকদের বদদোয়া দিতেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ্ পাক উনার, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও সম্মানিত মুসলমান উনাদের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী, জুলুমকারী, অপবাদ লেপনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে বদদোয়া করা খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষ তা ফরয-ওয়াজিব।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে মুসলমানদের উপর জুলুম-নির্যাতনের কঠিনক্ষণে আমরা প্রতিদিন পবিত্র মুনাজাত শরীফে ও জুমুয়ার মুবারক খুতবায় কাফির-মুশরিকদের প্রতি বদদোয়া করি এবং এভাবেই বদ দুআ করার নির্দেশনা দেই যে, “আয় আল্লাহ পাক! আপনি কাফির, ইয়াহূদী, নাছারা এবং মুশরিকদেরকে ধ্বংস করুন। আয় আল্লাহ পাক! তাদের চক্রান্তসমূহ নস্যাৎ করে দিন। ইসলাম বিরোধীদের ঐক্য বিনষ্ট করে দিন। তাদের বাসস্থানগুলো গুঁড়িয়ে দিন। মুসলমানদের লাঞ্ছিতকারীদেরকে আপনি লাঞ্ছিত করুন। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দ্বীন অর্থাৎ ইসলামকে হেয় প্রতিপন্নকারীদেরকে আপনি অপমানিত করুন।”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা খাছ সুন্নত মুবারক ও জিহাদ স্বরূপ। বর্তমান সময়ে ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। তাই, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- প্রতিদিন প্রতি ওয়াক্তে মুসলমানদের জন্য নেক দুআ এবং ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে শক্ত বদ দুআ করা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- শরাব বা মদসহ সর্বপ্রকার মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্যই হারাম। অথচ বাংলাদেশে সরাসরি শরাব বা মদ তো বিক্রি হচ্ছেই; এমনকি কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসের নামেও প্রকাশ্যে শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো মতেই কোনো মোড়কেই শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্য চলতে পারে না এবং শরাব বা মদ তৈরির অনুমতিও সরকার দিতে পারে না।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- গান-বাজনা করা ও শ্রবণ করা কবীরাহ গুনাহ। গান-বাজনার আসরে বসা ফাসিক্বী এবং গান-বাজনার স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সালাম আদান-প্রদান করা হচ্ছে ‘শিয়ারুল ইসলাম’। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া খাছ সুন্নত। আর ‘সালাম’ উনার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক সম্পর্কে কটূক্তির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ! কারণ পবিত্র মসজিদ ও মসজিদের জায়গা উনার একচ্ছত্র মালিক হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি। সুবহানাল্লাহ!
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম করতে পারলেই- দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা, সার্বিক শান্তি ও কল্যাণ লাভ করা এবং বিজয় দিবসের যথাযথ সম্মান করা সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ!
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফে” মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)