ইসলামের ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য:
জিহাদের ময়দানে দোয়া কবুলের একটি ঈমানদীপ্ত কাহিনী
, ২৩ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২১ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এরপর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু দোয়া শুরু করে বলেন- “আয় মহান আল্লাহ পাক! আগামীকাল জিহাদের ময়দানে আমাকে একজন বীর কাফিরের সম্মুখীন করুন। সে যেন আমাকে প্রচ-গতিতে আক্রমণ করে এবং আমিও যেন তাকে মহাবিক্রমে আক্রমণ করি। এ অবস্থায় সে যেন আমাকে শহীদ করে ফেলে এবং আমার নাক কান যাতে কেটেও ফেলে। কাল কিয়ামতের ময়দানে আমি যখন আপনার দরবারে হাজির হবো তখন আপনি জিজ্ঞেস করবেন - হে আব্দুল্লাহ! তোমার নাক-কান কিসে কাটা পড়লো? তখন যেন আমি আরজ করতে পারি- এগুলি আপনার এবং আপনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতের রাস্তায় কাটা গেছে। তখন আপনি বলবেন-তুমি সত্য বলেছ, আমার রাস্তায়ই তোমার নাক-কান কাটা গিয়েছে।” এবারে হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আমীন বললেন।
উল্লেখ্য, পরদিন জিহাদ আরম্ভ হলে উভয় ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা যেভাবে দোয়া-মুনাজাত করেছিলেন ঠিক সেভাবেই উনাদের দোয়া কবুল হলো। সুবহানাল্লাহ!
হযরত সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন- আমার দোয়ার চেয়ে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দোয়া অধিক উত্তম ছিলো। আমি সন্ধ্যা হলে দেখলাম, উনার নাক-কান এক সারিতে পড়ে আছে। উহুদের জিহাদে উনার তরবারী ভেঙ্গে পড়েছিলে তখন নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে গাছের উত্তম একটি ডালা প্রদান করেন; সেটি উনার হাতে যাওয়া মাত্রই একটি ধারালো তরবারীতে পরিণত হলো যা পরবর্তীতে সূদীর্ঘকাল ব্যাপী বিদ্যমান ছিলো। সুবহানাল্লাহ!
উক্ত ঘটনায় উম্মাহর জন্য রয়েছে ঈমানদীপ্ত ইবরত:
উহুদের ময়দানে সংঘটিত উপরোক্ত ঈমানদীপ্ত কাহিনীতে দুই মর্যাদাবান ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনাদের মাঝে একজন মহাশত্রুর সাথে সম্মুখ লড়াইয়ে লড়াই করে গাযী হয়ে বিজয়ীর বেশে বীরত্বের নিদর্শন রাখার আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছিলেন।
অপরজন মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে স্বীয় দেহ টুকরা-টুকরা হয়েই শহীদ হওয়ার কামনা ব্যক্ত করেছিলেন। যা উনাদের খুলুছিয়ত-ইখলাছ এবং ঈমানদীপ্ত দৃঢ়তার ফলে অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবেই কবুল হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ!
অথচ আজ মুসলিম জাহানসহ গোটা বিশ্বে ইসলাম ও মুসলমানদের উপর, উনাদের ঈমান-আমলের উপর ইহুদী, মুশরিক, নাছারা, মুনাফিকদের যে সন্ত্রাসী আগ্রাসন চলছে এ অবস্থায় যদি বর্তমান বিশ্বের ২৫০ কোটির অধিক মুসলমান হযরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আব্দুল্লাহ বিন জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ন্যায় নব প্রেরণায় জেগে উঠে তাহলে আবারো জমিনের বুকে ইসলামের ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্যের পুনঃপ্রতিষ্ঠা অবশ্যই সহজ এবং সম্ভব হবে। (ওয়ামা তাওফীক্বি ইল্লা বিল্লাহি ওয়া বি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খেলাধুলা নাজায়িয ও হারাম হওয়া সম্পর্কে সম্মানিত ইসলামী শরীয়তের ফায়সালা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মানুষকে আমলের প্রতি নিরুৎসাহিত করতেই পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে মওজু-জয়ীফ ইত্যাদি অপপ্রচার করছে বাতিল ফিরক্বারা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
একটা আদেশ মুবারক অমান্য করে আরেকটা মান্য করা জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩০)
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মাজার শরীফে হামলাকারী বেয়াদব ও লানতপ্রাপ্ত
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে -৪
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৬)
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)