ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরা সম্পর্কে (২০)
, ০৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ মে, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এখন হজ্জ করতে গেল সে অশ্লিল-অশালীন কাজ যদি করে, নাফরমানীমূলক কাজ করে এবং ঝগড়া-ঝাটি, মারামারি, কাটা-কাটি করে তার হজ্জে মাবরূর নছীব হবে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, তিনিতো জানেন বান্দা কি করে থাকে। কাজেই সে শরীয়তের খিলাফ কাজ করবে আর সে হজ্জে মাবরূরের আশা করবে সেটা হতে পারে না। সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
وَتَزَوَّدُوْا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوٰى وَاتَّقُوْنِ يَا أُوْلِي الْأَلْبَابِ
তোমরা পাথেয় অবলম্বন করো, উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাক্বওয়া। হে জ্ঞানী ব্যক্তিরা! যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। তোমাদের জন্য কামিয়াবী রয়েছে।
যেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِـيْ هُرَيْـرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ، قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ حَجَّ لِلّٰهِ فَـلَمْ يَـرْفُثْ وَلَـمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَـوْمِ وَّلَدَتْهُ أُمُّهٗ
হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ حَجَّ لِلّٰهِ
যে মহান আল্লাহ পাক যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব উনার রেজামন্দি সন্তুষ্টির জন্য এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারকের জন্য হজ্জ করলো। তিনি
فَـلَمْ يَـرْفُثْ وَلَـمْ يَـفْسُقْ
সে অশ্লীল-অশালীন কোন কাজ করলো না। নাফরমানীমূলক কোন কাজ করলো না। সে কি হলো?
رَجَعَ كَيَـوْمِ وَّلَدَتْهُ أُمُّهٗ
সে এমনভাবে ফিরে আসবে বা প্রত্যাবর্তন করবে যেন আজকেই তার জন্ম হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ সে মা’ছূম নিস্পাপ হিসাবে প্রত্যাবর্তন করবে। সুবহানাল্লাহ! তারই হজ্জে মাবরূর নছীব হবে যে কোন নাফরমানীমূলক কাজ করলো না। কোন অশ্লীল-অশালীন, বেপর্দা, বেহায়ী কোন কাজ করলো না। তার গুনাহ-খ¦তাগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে। মা’ছূম হিসাবে সে প্রত্যাবর্তন করবে তার হজ্জে মাবরূর নছীব হবে। সুবহানাল্লাহ! এটা স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে।
কাজেই যারা হজ্জে মাবরূর করতে চায় তাদের সমস্ত বদ আমল থেকে বেঁচে থাকতে হবে। বেঁচে থাকলে তখন তার হজ্জ কবুল হবে, হজ্জে মাবরূর নছীব হবে। এখন যারা হজ্জে মাবরূর করতে চায় সে হিসাবে তার আমলগুলো করতে হবে। আর এ ব্যতিক্রম করলে, হজ্জে মাবরূর নছীব হবে না বরং সেটা লা’নতের কারণ হবে। নাউযুবিল্লাহ!
এবং হজ্জ করার যে তাক্বীদ করা হয়েছে।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَلِىٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কি বলেন? মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ مَّلَكَ زَادًا وَّرَاحِلَةً
যে মালিক হলো, পাথেয় এবং বাহনের যে মালিক। অর্থাৎ যার পাথেয় তার ব্যবস্থা হয়ে গেল, টাকা-পয়সার ব্যবস্থা হলো। পাথেয় বাহন তারও ব্যবস্থা হলো। সব ব্যবস্থা তার হয়ে গেল।
تُـبَلِّغُهٗ إِلٰى بَـيْتِ اللهِ
সে মহাপবিত্র কা’বা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এ ব্যবস্থা তার হলো সব দিক থেকে সঠিক ভাবে। সেখানে সে কোন নাফরমানীমূলক কাজ করবে না। অশ্লীল, বেপর্দা, বেহায়ী কোন কাজ করবে না এবং মারা-মারি, কাটা-কাটি করবে না, এ অবস্থায় সে পৌঁছার ব্যবস্থা হয়ে গেল। এরপরও যে হজ্জ করলো না। সমস্ত ব্যবস্থা থাকার পরও যে হজ্জ করলো না
وَلَـمْ يَـحُجَّ فَلَا عَلَيْهِ أَنْ يَّـمُوتَ يَهُوْدِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, এরপরও কেউ যদি হজ্জ না করে তাহলে সেটা আমি জানি না। অর্থাৎ এখানে বলা হচ্ছে, সে ইহুদী বা নাছারা হয়ে মারা যাবে। নাউযুবিল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জানেন, এটার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য। সে ইহুদী হয়ে মারা যাক অথবা নাছারা হয়ে মারা যাক, সে আমার উম্মত দাবি করার পরও যখন সে আমার আদেশ পালন করলো না তাহলে তার কোন দায় দায়িত্ব আমার উপর থাকবে না। সেটাই তিনি স্পষ্ট করে বলে দিলেন। এরপর তিনি বললেন-
وَذٰلِكَ أَنَّ اللهَ يَـقُوْلُ فِى كِتَابِهٖ وَلِلّٰهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَـيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيْلًا
যেহেতু মহান আল্লাহ পাক যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব তিনি নিজেও বলে দিয়েছেন। যাদের পথ এবং পাথেয় সমস্ত ব্যবস্থা থাকবে তারা যেন মহান আল্লাহ পাক যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যিনি রব উনার রেজামন্দি সন্তুষ্টির লক্ষ্যে হজ্জ আদায় করে নেয়। এখানে যেন কোন প্রকার গাফলতী না করে, সেটাই তাকীদ করা হয়েছে। এখন সব ব্যবস্থা থাকলে তাকে হজ্জ করতেই হবে। এখানে কোন অবস্থাতেই বিরত থাকতে পারবে না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
গোল্ডেন রাইস (২)
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে -১১
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০)
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৭)
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৬)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৬)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)