চাঁদ এবং ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদীদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত (১৬)
, ০৩ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৫ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১৪ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّـمَا النَّسِيءُ زِيَادَةٌ فِي الْـكُفْرِ ۖ يُضَلُّ بِهِ الَّـذِيْنَ كَفَرُوا يُـحِلُّونَهُ عَامًا وَيُـحَرِّمُونَه عَامًا لِّيُوَاطِئُوا عِـدَّةَ مَا حَرَّمَ اللهُ فَيُحِـلُّوا مَا حَرَّمَ اللهُ ۚ زُيِّنَ لَـهُمْ سُوءُ اَعْـمَالِـهِمْ ۗ وَاللهُ لَا يَـهْدِي الْقَوْمَ الْـكَافِرِيْـنَ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই নাসী বা মাসকে আগে পিছে করা কুফরীকে বৃদ্ধি করে থাকে। এর দ্বারা কাফিরেরা গুমরাহীতে নিপতিত হয়। তারা (ছফর মাসকে) এক বছর হালাল করে নেয় এবং আরেক বছর হারাম করে নেয়, যেন মহান আল্লাহ পাক উনার হারামকৃত মাসগুলোর গণনা পূর্ণ করতে পারে। অতঃপর তারা সে সমস্ত মাসকে হালাল করে নেয়, যে সমস্ত মাসকে মহান আল্লাহ পাক তিনি হারাম ঘোষণা করেছেন। তাদের বদ আমলগুলো তাদের জন্যে তাদের নিকট সৌন্দর্য্যম-িত করে দেয়। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফির সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করেন না। অর্থাৎ এর ফলশ্রুতিতে কাফির সম্প্রদায় হিদায়েত লাভের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৭)
চাঁদের তারিখ ঘোষণায় সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের খামখেয়ালী ও মুনাফেকী বহুবার প্রমাণিত
উপসংহার
রাতে সূর্য দেখা যায় না, তাই কেউ রাতে সূর্য দেখতে পাওয়ার দাবিও করে না। চাঁদ দেখতে পাওয়া নিয়েই জটিলতা। পূর্ণ জোৎস্নার চাঁদ সবাই দেখলেও বাঁকা চাঁদ বা হিলাল কেউ দেখতে পায় আর কেউ দেখতে পায় না। কিন্তু মহাকাশ বিজ্ঞানের মাধ্যমে বাঁকা চাঁদ দৃশ্যমান হওয়ার আকৃতিতে আসার বিষয়ে নিশ্চিত জানা যায়। তাই চাঁদ যখন দেখা যাওয়ার আকৃতিতেই আসে না, তখন দেখার দাবি করা হচ্ছে চরম মিথ্যাচারিতা। আর সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার এই কাজটিই করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। নাঊযুবিল্লাহ!
যেমন, এই পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসও চাঁদ না দেখে একদিন আগেই মাস গণনা শুরু করেছে। নাঊযুবিল্লাহ! অনেক দর্শক ও অধিবাসীরা ১১ মার্চ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সউদী সময় অনুযায়ী সন্ধ্যার পর নতুন চাঁদ দেখতে পায়। যা কখনো ২ দিনের চাঁদের বয়স হতে পারে না। অথচ তখন সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী তার আগের দিন রাতে অর্থাৎ ১০ মার্চ রোববার রাতে তারাবীহ নামায পড়েছে। এবং ১১ মার্চ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) রোযাও রেখেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
সঙ্গত কারণেই বলতে হয়, সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের উচিত তারা যেন প্রকাশ্যে বিশ্ববাসীকে এই বিষয়ে ঘোষণা দেয় যে, তারা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার যে নির্দেশ চাঁদ দেখে মাস শুরু করা তা মান্য না করে বরং তাদের রচিত ‘উম্মুল কুরা’ ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে আরবী মাসের তারিখ গণনা করছে।
তারা আরবী মাস শুরু করবে নিজেদের ইচ্ছামতো আর মিথ্যা সাক্ষী যোগাড় করে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে, চাঁদ দেখা গেছে। নাঊযুবিল্লাহ! কেন এই মিথ্যাচারিতা? প্রতি বছর রিয়াদে কয়েকটি ভাড়া করা সাক্ষীর কোর্টে এসে সাক্ষ্য দেওয়ার নাটক সাজিয়ে মাস গণনা করে যাচ্ছে। কেন এই প্রহসন? মাস সঠিক তারিখে গণনা শুরু হলে সউদী ওহাবীদের কি সমস্যা?
সউদী ওহাবীরা চাঁদ নিয়ে যে জালিয়াতি করছে তা সাধারণ মানুষের উপলব্ধির বাইরে। ফলে তারা যখন চাঁদ দেখার মিথ্যা দাবি করে, তখন অনেক মানুষ চাঁদ না দেখলেও বলে বসে আমরা চাঁদ দেখেছি। কারণ তারা ভাবে সউদী আরব কি মিথ্যা বলতে পারে? কিন্তু ১৪২৫ হিজরী সনে ৮০ বছরের বৃদ্ধের সাক্ষ্য অনুযায়ী মাস শুরুর ঘোষণা দিলে তাদের গেজেট পত্রিকা “আল ওয়াতান” এর সাংবাদিক এই বিষয়ে “ঞবংঃরসড়হু ওসঢ়ড়ংংরনষব” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে তাকে যে শাস্তি দেয়া হয়, সাধারণ মানুষের কাছেও তা গোপন করা হয়। কেন তারা এসব করছে? মানুষের হজ্জ নষ্ট করে তাদের কি লাভ হচ্ছে?
মূলত তারা যেহেতু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শত্রু অর্থাৎ তারা জাতিগতভাবে ইহুদী বলেই এ সমস্ত কুকর্মগুলো বছরের পর বছর ধরে করে যাচ্ছে। আর তাদের বংশ ধারার ইতিহাস গোপন করতেও তারা চরম কুটকৌশল অবলম্বন করেছে। তাদের পূর্বপুরুষ ইহুদী হওয়া সত্ত্বেও তাদের জাতীয় গ্রন্থাগারের প্রধান মিশরীয় ব্যক্তিকে দিয়ে মিথ্যা ইতিহাস রচনা করিয়েছে এবং তাকে পুরস্কৃতও করেছে। সুতরাং এটা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, তাদের দেহে ইহুদী রক্ত প্রবাহিত বলেই অর্থাৎ তারা খোলশধারী মুসলমান হলেও জাতিগতভাবে ইহুদী বলেই এই কুকর্মগুলো অহরহ করে যাচ্ছে।
কাজেই সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের মুসলমানদের সোচ্চার হতে হবে, তাদের এসব অপকর্ম বন্ধে জোড়ালো প্রতিবাদ করতে হবে। কারণ তারা কোটি কোটি মুসলমান উনাদের পবিত্র হজ্জ, রোযা, পবিত্র ঈদসহ বহু আমল বরবাদ করে দিচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! (সমাপ্ত)
-এবিএম রুহুল হাসান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)