ঘুষ না দিলে যে স্কুলে মেলে না প্রশংসা-সনদ-নম্বরপত্র
, ১৫ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২৬ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১২ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) দেশের খবর
‘তুই এর আগে প্রশংসাপত্র নিয়ে গেছিস। সেটার টাকা এখনো দিসনি। স্কুল কোনো মাছের বাজার নয়। টাকাগুলো এক্ষুণি পরিশোধ করতে হবে। খালি হাতে সনদ ও নম্বরপত্র আর দেওয়া যাবে না।’
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ সদর উপজেলার ভীমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে হতদরিদ্র পরিবারের এক শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্য করে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষার্থী ও তার বাবার মান-সম্মান নেই বলেও কটুক্তি করেছে শিক্ষক হারুন অর রশিদ।
পরে এ ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী মারুফা আক্তার রিনা বলেন, ‘ওইদিন স্কুলে সনদ ও নম্বরপত্র নিতে গেলে স্যাররা রশিদ বহির্ভূত ১ হাজার ১০০ টাকা দাবি করেন। এই ঘুষের টাকা দেওয়ার মতো সক্ষমতা আমার কৃষক বাবার নেই। তাই টাকা ছাড়া আমার সনদ ও নম্বরপত্র দিতে অনুরোধ করেছিলাম। প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে আমার বাবা ঘুষের এই টাকা জোগাড় করে পরিশোধ করতেও চেয়েছে। এক পর্যায়ে আমার মায়ের সামনে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক হারুন।
পরে প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষক হারুন স্যারকে বলেন, ওদের কোনো মান সম্মান নেই। তুমি সার্টিফিটেক দিয়ে দাও।
স্কুলটিতে সনদ ও নম্বরপত্র বাবদ জোরপূর্বক ঘুষের টাকা আদায়ের চেষ্টা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুধুমাত্র মারুফার ক্ষেত্রেই হয়নি। এখন পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যত শিক্ষার্থী পাস করে বের হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের থেকেই এভাবেই জোরপূর্বক ঘুষের টাকা আদায় করেন শিক্ষকরা। এক্ষেত্রে প্রশংসাপত্র বাবদ ৬০০ টাকা এবং সনদ ও নম্বরপত্র বাবদ ৫০০ টাকা ঘুষ নির্ধারণ করেছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পাস করার পর প্রশংসা, সনদ ও নম্বরপত্র স্কুলে আটকে রাখেন শিক্ষকরা। এরপর শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এসব নিতে গেলে ঘুষ চাওয়া হয় ১ হাজার ১০০ টাকা। এই টাকা না দিলে শিক্ষকরা হুমকি-ধামকিসহ অকথ্য ভাষায় শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করেন। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় অনেক সহজ-সরল অভিভাবককে লাঞ্ছিত করা হয়। এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো তাদের অপমান করেন শিক্ষকেরা মিলে। এ কারণে অপমানজনক পরিস্থিতির শিকার হয়েও নীরবেই থাকতে হয় অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
‘বন্ধ চিনিকলগুলো পর্যায়ক্রমে চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে’
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
১৫ বছর পর দেশেই ছাপা হবে সব পাঠ্যবই
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ঘন কুয়াশা দিনাজপুরে, তাপমাত্রা নামল ১৬ ডিগ্রিতে
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কৃত্রিম খাদ্যে পুকুরে কোরাল মাছের চাষ
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাসভাড়া কমানোর দাবিতে হরতাল
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বকেয়ার দাবিতে বেক্সিমকো শ্রমিকদের অবরোধ
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
টিসিবির ট্রাকের সামনে দীর্ঘ সারি, হট্টগোল
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শিক্ষাঙ্গনে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সেপ্টেম্বরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- ৮টি’
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
র্যাব বলেছিল হত্যায় জড়িত ছেলে, পুলিশ বলছে ভাড়াটিয়া
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘মব ভায়োলেন্সে’ মৃত্যু বেড়েছে, সতর্ক পুলিশ
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের দৈনিক গড় আবেদন প্রায় ৫০ হাজার
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)