গ্রীনিচকে ০ (শূন্য) ডিগ্রি দ্রাঘিমায় ধরে মূল মধ্যরেখা স্থির করার কোন ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই: পবিত্র কা’বা শরীফ উনার অবস্থান ০ (শূন্য) ডিগ্রি ০ (শূন্য) মিনিট ০ (শূন্য) সেকেন্ড ডিগ্রি দ্রাঘিমা ধরে ১৫ ডিগ্রি অন্তর অন্তর সময় অঞ্চলে ভাগ করাই সর্বোত্তম (৩)
, ১৩ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৯ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
(গ) যে স্থানটি পূর্ব-পশ্চিমে সবার কাছেই অতি পরিচিত এবং গুরুত্বসহকারে বিবেচিত:
পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে মুসলমান কম-বেশি নেই। তাদের ইবাদতের পদ্ধতিগুলো দেখেও মানুষ জানে মুসলমানরা পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দিকে মুখ ফিরিয়ে ছলাত আদায় করে। ইহুদী-খ্রিস্টানদের প্রচার মাধ্যমেও পবিত্র ৯ই যিলহজ্জ শরীফে হজ্জ অনুষ্ঠানের বিশদ বিবরণ পেশ করে। শুধু তাই নয়, পবিত্র তাওরাত শরীফ ও পবিত্র ইঞ্জিল শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র কা’বা শরীফ উনার এবং হযরত ইবরাহীম আলাইহিস্্ সালাম উনার বর্ণনা থাকার কারণে তারা পবিত্র কা’বা শরীফ উনার অবস্থান, মান-মর্যাদা, ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিফহাল। এছাড়াও ইহুদী খ্রিস্টানরা জানে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে তারা যেতে পারলেও একমাত্র পবিত্র মক্কা ও পবিত্র মদীনা শরীফে তাদের প্রবেশ নিষেধ। এই নিষেধাজ্ঞা শুধু তাদের কাফির হবার কারণে, কারণ তাদের কুফরী তাদেরকে অপবিত্র করে দিয়েছে আর অপবিত্রদের স্থান পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ এ নেই। যেহেতু পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ অতি পবিত্র স্থান। সুতরাং গ্রীনিচ নয়, পবিত্র কা’বা শরীফই সর্বোত্তম স্থান যেখান থেকে সময় গণনা শুরু করা উচিত।
(ঘ) সকল আহলে কিতাবের কাছেই যে স্থানের গুরুত্ব রয়েছে:
সাইয়্যিদুনা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার বন্যার সময় পবিত্র কা’বা শরীফ মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমানে উঠিয়ে নেন। পরবর্তীতে হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস্্ সালাম তিনি এই পবিত্র কা’বা ঘর উনার পুনঃনির্মাণ করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস্্ সালাম উনার দুই সন্তান সাইয়্যিদুনা হযরত ইসমাইল যবীহুল্লাহ আলাইহিস্্ সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইসহাক আলাইহিস্্ সালাম উনাদেরকেও মহান আল্লাহ পাক তিনি নবী হিসেবে কবুল করেছিলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস্্ সালাম উনার বংশধরদের মধ্য থেকে আসেন আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইসহাক আলাইহিস্্ সালাম উনাদের বংশধরদের থেকে আসেন সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস্্ সালাম এবং পরে সাইয়্যিদুনা হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস্্ সালাম।
সুতরাং সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস্্ সালাম উনার অনুসারীরা অর্থাৎ ইহুদী সম্প্রদায় আর সাইয়্যিদুনা হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস্্ সালাম উনার অনুসারীরা অর্থাৎ নাছারা বা খ্রিস্টান সম্প্রদায় এবং আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসারীরা অর্থাৎ মুসলমানগণ অর্থাৎ সবারই মূলে রয়েছেন সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস্্ সালাম তিনি। আর যেহেতু সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস্ সালাম তিনি স্বয়ং সম্মানিত কা’বা শরীফ উনার পূনঃনির্মাণ করেন। শুধু তাই নয় এখনও উনার পবিত্র ক্বদম মুবারক উনার ছাপ পবিত্র কা’বা শরীফ উনার পার্শ্বেই রক্ষিত আছে, যাকে আমরা মাক্বামে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম বলি, সেই পবিত্র কা’বা শরীফ উনার গুরুত্ব যে কত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সুতরাং সকল আহলে কিতাবের কাছেই এই পবিত্র কা’বা শরীফ উনার অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে।
(ঙ) যে স্থানটি ছাড়া আর কোনো স্থানের এতটা ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই:
সমস্ত পৃথিবীতে আজ প্রায় ৬০০ কোটি মানুষ। এই পৃথিবীতে গত হয়ে গেছে হাজার হাজার বছরের সভ্যতা। চলে গেছে অগণিত অসংখ্য মানুষ। পৃথিবীতে রয়েছে অনেক দেশ, অনেক জাতি, অনেক ভাষা। নানা বর্ণের নানা আকৃতির অসংখ্য অগণিত মানুষ। এই সকল বর্ণের, সকল গোত্রের, সকল জাতির যিনি আদি পিতা তিনি প্রথম মানুষ, প্রথম নবী সাইয়্যিদুনা হযরত ছফীউল্লাহ আলাইহিস্্ সালাম। যিনি প্রথম মানুষ উনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কিছুর ইতিহাসের চেয়ে পুরনো কোনো ইতিহাস নেই, থাকতে পারে না। তথাপি বলা চলে পবিত্র কা’বা শরীফ বা বাইতুল্লাহ শরীফ উনার ইতিহাস তার চেয়েও পুরনো কেননা সৃষ্টির দু’হাজার বছর পূর্ব থেকেই পবিত্র কা’বা শরীফ উনার এলাকা তাওয়াফ করেছেন ফেরেশ্্তাকুল। যদি কোনো কারণে কোন স্থানকে ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে নির্বাচন করা হয় তবে প্রথম গুরুত্ব পাবে বায়তুল্লাহ শরীফ বা পবিত্র কা’বা শরীফ যার চেয়ে ঐতিহাসিক কোনো স্থান এই যমীনে নেই। তাহলে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, পবিত্র কা’বা শরীফ এর অবস্থান ০ (শূন্য) ডিগ্রী ০ মিনিট ০ সেকেন্ড ডিগ্রি দ্রাঘিমা ধরে ১৫ ডিগ্রি অন্তর অন্তর সময় অঞ্চলে ভাগ করাই সর্বোত্তম।
-আবুল বাশার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (২৯)
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (১০)
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গ্রীনিচকে ০ (শূন্য) ডিগ্রি দ্রাঘিমায় ধরে মূল মধ্যরেখা স্থির করার কোন ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই: পবিত্র কা’বা শরীফ উনার অবস্থান ০ (শূন্য) ডিগ্রি ০ (শূন্য) মিনিট ০ (শূন্য) সেকেন্ড ডিগ্রি দ্রাঘিমা ধরে ১৫ ডিগ্রি অন্তর অন্তর সময় অঞ্চলে ভাগ করাই সর্বোত্তম (২)
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)