ইলমুত তাযকিয়্যাহ
কুফরী আক্বীদা পরিহার না করলে চির জাহান্নামী হতে হবে
, ০৮ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০২ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
هُوَ الَّذِيْ اَرْسَلَ رَسُوْلَهُ بِالْـهُدٰى وَدِيْنِ الْـحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّيْنِ كُلِّهِ ۚ وَكَفٰى بِاللهِ شَهِيْدًا
অর্থ: “তিনিই মহান আল্লাহ পাক যিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হিদায়েত এবং সত্য দ্বীন সহকারে পাঠিয়েছেন সকল দ্বীনের উপর প্রাধান্য দিয়ে। এক্ষেত্রে সাক্ষী হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনিই যথেষ্ট।” (পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯)
পবিত্র এ আয়াত শরীফ নাযিল করে মহান আল্লাহ পাক তিনি অতীতে ওহী দ্বারা নাযিলকৃত দ্বীন এবং অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতে উদ্ভাবিত বা প্রবর্র্ণিত মানবরচিত সকল ধর্ম, মতবাদ, তন্ত্র, নিয়ম-নীতি, আইন-কানুন বাতিল ঘোষণা করেন। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সর্বশেষ নবী এবং রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনার পর ক্বিয়ামত পর্যন্ত আর কোন নবী কিংবা রসূল আগমন করবেন না।
কাজেই, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে পবিত্র দ্বীন ইসলাম তথা পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিধান নিয়ে এসেছেন তা মেনে সকলকে সে মুতাবিক চলতে হবে। যারা মেনে সে মুতাবিক চলবে তারা ঈমানদার। আর যারা অস্বীকার করবে তারা কাফির।
খালিক্ব, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الْاِسْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ مِنَ الْـخَاسِرِيْنَ.
অর্থ: “যে ব্যক্তি পবিত্র ইসলাম ব্যতীত অন্য দ্বীন-ধর্ম, মতবাদ বা তন্ত্রমন্ত্রের নিয়ম-নীতি চায় বা গ্রহণ করে, তার থেকে সেটা কবুল করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে অর্থাৎ জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
كَيْفَ يَهْدِي اللهُ قَوْمًا كَفَرُوْا بَعْدَ اِيـْمَانِـهِمْ وَشَهِدُوْا اَنَّ الرَّسُوْلَ حَقٌّ وَجَاءَهُمُ الْبَيِّنَاتُ ۚ وَاللهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ ◌
অর্থ: “খালিক্ব, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি কী করে ওই সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করবেন, যারা ঈমান আনার পর এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সত্য (নবী-রসূল) হিসেবে সাক্ষ্য দেয়ার পর এবং তাদের নিকট সুস্পষ্ট দলীল (পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ) আসার পর কুফরী বা অস্বীকার করে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করেন না।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৬)
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, ঈমান আনার পর অর্থাৎ ঈমানদার বা মুসলমান দাবী করার পরও যারা খালিক্ব, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম বা আদেশ-নিষেধ মুবারক মানবে না, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ-নিষেধ মুবারক মানবে না, উনার আনুগত্য বা অনুসরণ মুবারক করবে না এবং পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্র্ণিত হুকুম-আহকাম বা বিধান তথা আদেশ-নিষেধসমূহ মেনে চলবে না, তারা যালিমদের অন্তর্ভুক্ত। এরা হিদায়েত থেকে বঞ্চিত পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়। এদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি পছন্দ করেন না। এরা জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত।
মোটকথা, খালিক্ব, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক উনার মত-পথ মুবারক উনার খিলাফ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সুন্নাহ বা আদর্শ মুবারক উনার খিলাফ এবং পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের সুস্পষ্ট বিধানের খিলাফ আক্বীদা, আমল-আখলাক্ব, নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা, তন্ত্র-মন্ত্র মতবাদ সবই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
যেমন- গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্রের নিয়ম-নীতি, ভোট, নির্বাচন, হরতাল, লংমার্চ, ছবি, টিভি বেপর্দা-বেহায়াপনা, খেলাধুলা, গান-বাজনা, নারী নেতৃত্ব ইত্যাদি সবই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, মুসলমানের জন্য সমস্ত কুফরী আক্বীদা ও আমল থেকে বেঁচে থাকা ফরয। অন্যথায় কেউ যদি কুফরী আক্বীদা আমল গ্রহণ করে ইন্তিকাল করে সে জাহান্নামের কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)