‘পবিত্র সূরা দুখান শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’-ই হচ্ছেন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত “লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান”। সুবহানাল্লাহ!
এ বছরের জন্য আগামী ৭ই আশির ১৩৯০ শামসী, ৭ই মার্চ ২০২৩ খৃঃ, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত হচ্ছেন ‘পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ’। সুবহানাল্লাহ! প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- দোজাহানে কামিয়াবী হাছিলে অত্যন্ত জওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত ও ইখলাছের সাথে আসন্ন পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ পালন করার জন্য এখন থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
আর বাংলাদেশ সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উপলক্ষে ১৩, ১৪ ও ১৫ শা’বান শরীফ ৩ দিন বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা এবং তা পালনে এখন থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা ও ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
, ০৬ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৯ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ই ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আসন্ন পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ সম্পর্কে আলোচনাকালে তিনি উপরোক্ত নছীহত মুবারক পেশ করেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, লাইলাতুল বরাত শরীফ মুসলমানদের জন্য দোয়া কবুলের রাত, ক্ষমা বা মাগফিরাতের রাত, তওবা কবুলের রাত, বিপদ-আপদ থেকে নাজাত পাওয়ার রাত এবং এক বছরের হায়াত ও রিযিকের ফায়ছালার রাত। সুবহানাল্লাহ! তাই, বান্দা-বান্দীরা যদি এ মহান রাতে খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করে, তবে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দা-বান্দীদেরকে ক্ষমা করে দিবেন এবং পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার সকল রহমত, বরকত ও নিয়ামত দান করবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি কাউকে ক্ষমা করার জন্যে, রহমত করার জন্যে, তার মর্যাদা-মর্তবা দেখেন না। বরং মহান আল্লাহ পাক তিনি একটা উসীলা পেলেই বান্দা-বান্দি উনাদেরকে ক্ষমা করে দেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ২৯শে রজব বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যাওয়ায় এ বছরের জন্য আগামী ৭ই আশির ১৩৯০ শামসী, ৭ই মার্চ ২০২৩ খৃঃ, ইয়াওমুছ ছুলাছা দিবাগত রাত হচ্ছেন ‘পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ’। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- সকল প্রকার আযাব-গযব, বালা-মুছীবত, বিপদ-আপদ ও রোগ-শোক থেকে বাঁচতে হলে অত্যন্ত জওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত ও ইখলাছের সাথে আসন্ন পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ পালন করার জন্য এখন থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আর বাংলাদেশ সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উপলক্ষে ১৩, ১৪ ও ১৫ শা’বান শরীফ ৩ দিন বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা এবং সকল প্রকার আযাব-গযব, বালা-মুছীবত, বিপদ-আপদ ও রোগ-শোক থেকে বাঁচতে হলে তা পালনে এখন থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা ও ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আর এ দেশের ৩০ কোটিরও অধিক মুসলমানরা যেন পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ যথাযথভাবে পালন করতে এবং রোযা রাখতে পারে, সে জন্য সার্বিক ইন্তিজাম ও পৃষ্ঠপোষকতা করা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সর্বাবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণ করা। অর্থাৎ মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক মুতাবিক চলে শতভাগ সুন্নতী জিন্দেগী বাস্তবায়ন করার সাথে সাথে সুন্নতী পোশাক পরিধান করে হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হওয়ার কোশেশে মশগুল থাকা।
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের পরিপূর্ণ মিছদাক হচ্ছেন উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রত্যেক মুসলমান জ্বিন-ইনসান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে সর্বাধিক মুহব্বত করা, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন বা সুধারণা পোষণ করা এবং উনাদেরকে অনুসরণ করা। সুবহানাল্লাহ!
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশেষ আইয়্যামুল্লাহ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আসতে আর মাত্র ৬ দিন বাকি। এ মহান দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র মহাসম্মানিত আযীমুশ্শান নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই বাল্যবিবাহ মুবারক করেছেন। যা মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র ওহী মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী-
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের বিশুদ্ধ আক্বীদাহ হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই অর্থাৎ উনার মহাসম্মানিত নূরুল কুদরত মুবারক বা নূর মুবারকই মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বপ্রথম সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! উক্ত মহাসম্মানিত নূর মুবারক উনার থেকেই কায়িনাতের সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। এমনকি আগুন, পানি, মাটি, বাতাস ইত্যাদি উপাদানসমূহও উনার থেকে এবং উনার বহু পরে সৃষ্টি হয়েছে।
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ” মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সেহেতু প্রতি আরবী মাসের এ মুবারক তারিখটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ঈমানদার হিসেবে দাবিকারী প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- সম্মানিত শরীয়ত উনার প্রতিটি বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করা এবং প্রতিটি আমল পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী করা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ- আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! যিনি আখাছ্ছুল খাছ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলমানদের প্রত্যেক ক্বওম বা সম্প্রদায় থেকে কেন একটি দল বের হয় না এজন্য যে, তারা সম্মানিত দ্বীনী ইলমে ফক্বীহ হবে এবং স্বীয় ক্বওমের নিকট প্রত্যাবর্তন করে তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ নিষেধ মুবারক উনার ব্যাপারে সতর্ক করবে; যাতে তারা সতর্ক হতে পারে বা পরিত্রাণ পেতে পারে।’
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক উনার আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ বা আগমণ দিনটিও যমীনবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)