খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক এবং সুস্পষ্ট কিতাব এসেছেন।” সুবহানাল্লাহ
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘য়াত উনার বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ অর্থাৎ তিনি আপদমস্তক নূর মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
তাই সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘নূরে মুজাসসাম’ হিসেবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে নিজেদের ঈমান হিফাযত করা।
, ১২ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২

ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা মায়িদাহ্ শরীফ মংনভা ১৫নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক এবং সুস্পষ্ট কিতাব এসেছেন।” সুবহানাল্লাহ! এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র “নূর” মুবারক দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝিয়েছেন। যা অসংখ্য বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, (একবার) আমি আরজ করলাম- ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, দয়া করে আমাকে এ বিষয়ে সংবাদ মুবারক দান করুন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কিছুর পূর্বে সর্বপ্রথম আপনার যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী এবং রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক উনার সাথে সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ইচ্ছা মুবারক অনুযায়ী উনার মহাসম্মানিত কুদরত মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান মুবারক করছিলেন অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত কিছু দিয়ে সৃষ্টি মুবারক করে উনাকে উনার সাথে সংযুক্ত করেছেন এবং উনার কুদরত মুবারকে রেখেছেন। আর ঐ সময় লওহো-কলম, বেহেশ্ত-দোযখ, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা, আসমান-যমীন, সূর্য-চন্দ্র, জিন-ইনসান কোনো কিছুই ছিলো না।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেন এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেন।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, তাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনার বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ অর্থাৎ উনার আপদমস্তক নূর মুবারক অর্থাৎ সমস্ত কিছুই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, কিছু লোক বলে থাকে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাটির তৈরী। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! মূলত, এরূপ আক্বীদাহ্ পোষণকারীরা বাতিল ও জাহান্নামী ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভূক্ত। কারণ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মাটির তৈরী বলা বা উনার ‘নূরে মুজাসসাম’ শান মুবারক অস্বীকার করার অর্থ হলো পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা। যা সুস্পষ্ট কুফরীর অন্তর্ভূক্ত।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘য়াত উনার বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ অর্থাৎ তিনি আপদমস্তক নূর মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘নূরে মুজাসসাম’ হিসেবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে নিজেদের ঈমান হিফাযত করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ বা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিবসসমূহ পালন করা সকলের জন্য আবশ্যক। তাই, সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- অত্যাধিক ধৈর্য্য ও শুকুরগুজারী, যওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও সম্মানের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উদযাপন করা, পালন করা।
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মালিকুল মিনআম, ছহিবুল কারাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে নিয়মিত পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠকারীদের জন্য অপরিসীম সুসংবাদ
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
“আপনি বলুন, দুনিয়াবী সম্পদ সামান্য। আর মুত্তাকীগণ উনাদের জন্য পরকালই উত্তম এবং তোমাদের প্রতি সামান্য অবিচারও করা হবে না।" পরকালরে তুলনায় দুনযি়াবী সম্পদ অতি সামান্য।
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আখেরী যামানার ফিতনা ফাসাদ থেকে নাজাত লাভের একমাত্র উপায় হলো হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা তথা অনুসরণ অনুকরণ করা, জীবনের সকল ক্ষেত্রে উনাদেরকে আদর্শ রূপে গ্রহণ করা।
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রত্যকে মুসলমান পুরুষ-মহলিা, জ্বীন-ইনসান সকলরে জন্যই ইখলাছ র্অজন করা এবং ইখলাছরে সাথে প্রতটিি আমল করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! কনেনা ইখলাছ ব্যতীত কোন ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নকিট কবুল হয় না। ইখলাছ হাছিল করতে হলে অবশ্যই একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করতে হবে।
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
রঊফুর রহীম, হারীছুন আলাল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীর সমস্ত আরজী পূরণ করেন। তাই, প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে খাছভাবে রুজু হওয়া ও খাছ রেযামন্দি মুবারক হাছিল করা।
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বান্দা-বান্দী যদি মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করে, উনার শোকরগুজারী করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ইতমিনান দান করবেন এবং এমন কুদরতী রিযিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।..
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী ব্যক্তি জীবিত আর যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেনা সে ব্যক্তি মৃত। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- দুনিয়া পরিত্যাগ করে সম্মানিত শরীয়ত নির্দেশিত তারতীব অনুযায়ী দায়েমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাছিলের কোশেশ করা।
০৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যারা পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ-নিষেধ মুবারক অনুযায়ী জীবন পরিচালিত করে দুনিয়া হতে বিরাগ হয়ে পরকালের দিকে হাক্বীক্বীভাবে রুজু হওয়া।
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ইহসান উনার মাক্বামই শ্রেষ্ঠ মাক্বাম। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করে উনাদের দেয়া সবক অনুযায়ী আমল করার মাধ্যমে রূহানী কুওওয়াত অর্জন ও ইহসান উনার মাক্বাম হাছিল করতঃ ইখলাছ অর্জন করে হাক্বীক্বী ওলীআল্লাহ হওয়া।
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নেককারদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সুসংবাদ আর বদকারদের জন্য দুনিয়াতে লাঞ্চনা-গঞ্চনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি।
০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হায়াত, মাল-সম্পদ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হক্ব যারা আদায় করবেনা, তাদেরকে কিয়ামতের দিন অসহায় বকরীর ন্যায় উপস্থিত করা হবে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)