পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِّنْ مَّالٍ
অর্থ: দানে সম্পদ কমেনা। (মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اَلصَّدَقَةُ تَرَدُّ الْبَلَاءُ
অর্থ: “দান-ছদকা বালা-মুছীবত দূর করে।” (দারিমী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মৃত্যুর জন্যে সদা প্রস্তুতি নিতে হবে। হযরত আযরাইল আলাইহিস সালাম তিনি চলে আসলে আর প্রস্তুতি নেয়ার সময় পাওয়া যাবেনা। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَنَبْلُوَكُمْ بِالشَّرِّ وَالْـخَيْرِ فِتْنَةً ۖ وَإِلَيْنَا تُرْجَعُوْنَ
অর্থাৎ- প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস বাকি অংশ পড়ুন...
পড়ালেখা শিখাচ্ছেন- সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। যেন বড় হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, ভালো কোনো চাকরি বা ব্যবসার মাধ্যমে সচ্ছলভাবে থাকতে পারে এই আশায়। কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে এটাই কি আপনার এবং আপনার সন্তানদের ভবিষ্যৎ? না, কখনোই নয়। বরং আমাদের আসল ভবিষ্যৎ হলো ‘পরকাল’। এই দুনিয়ার সচ্ছলতা, একটু সুখ সেটা কত বছরের জন্য? এরপর কি হবে, কোথায় যেতে হবে, কোথায় থাকতে হবে? মুসলিম হিসেবে তা আপনাকে যেমন অনুভব করতে হবে, তেমনি সেই অনুভূতি আপনার সন্তানদের মাঝেও সৃষ্টি করে দিতে হবে। সঠিক মত-পথ তথা ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক চললে জান্নাতের অবারিত বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিল ফিরকারা বলে থাকে- পবিত্র লাইলাতুম মুবারাকাহ বা লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান পবিত্র শবে বরাত শরীফ বিদয়াত। খইরুল কুরূনে কেউ পবিত্র শবে বরাত শরীফ পালন করেন নাই। কেউ এ রাতে ইবাদত-বন্দেগী করেন নাই। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
অথচ ইতিহাস সাক্ষী- খাইরুল কুরূনে পবিত্র লাইলাতুম মুবারাকাহ বা লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান পবিত্র শবে বরাত শরীফ পালন হয়েছে। আজ থেকে প্রায় ১২শ বছর আগে মুহম্মদ ইবনে ইসহাক আল মক্কী আল ফাকেহী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২৭২ হিজরী) কর্তৃক পবিত্র মক্কা শরীফ উনার আমল ও ইতিহাস নিয়ে রচিত কিতাব “আখবারুল বাকি অংশ পড়ুন...
২০৬ পর্:
وَعَلَّمَ آدَمَ الأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلاَئِكَةِ فَقَالَ أَنبِئُونِي بِأَسْمَاء هَؤُلاء إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কি বললেন-
وَعَلَّمَ آدَمَ الأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلاَئِكَةِ فَقَالَ أَنبِئُونِي بِأَسْمَاء هَؤُلاء إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
হযরত আবুল বাশার হযরত ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সমস্ত ইলম মুবারক হাদিয়া মুবারক করলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! হাদিয়া মুবারক করে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সামনে উপস্থিত করলেন এবং বললেন, হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সা বাকি অংশ পড়ুন...
(বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী
হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তাক্বওয়া ও পরহেযগারীতা
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
হযরত মক্কী ইবনে ইবরাহীম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ‘আমি কুফাবাসীদের সাথে ওঠা-বসা করেছি অনেক; কিন্তু আমি হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার চেয়ে অধিক মুত্তাকী কাউকে দেখিনি।’ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও এরূপই বলেছেন। (আল-কামার : পৃষ্ঠা ৩৫৮)
হযরত ইয়াহইয়া ইবনে কাত্তান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- ‘আমি হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়া বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত যাকাত কাকে দিবেন
মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত যাকাত পাওয়ার হক্বদারদের ব্যাপারে অর্থাৎ যে খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করা ফরয সে খাতগুলো সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّـمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِيْنِ وَالْعَامِلِيْنَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوْبُـهُمْ وَفِي الرّقَابِ وَالْغَارِمِيْنَ وَفِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَابْنِ السَّبِيْلِ ط فَرِيْضَةً مّنَ اللهِ ط وَاللهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ.
অর্থ : “নিশ্চয়ই সম্মানিত যাকাত কেবল ফক্বীর, মিসকীন ও সম্মানিত যাকাত আদায়কারী কর্মচারীদের জন্যে, যাদের মন আকর্ষণ করা প্রয়োজন তাদের জন্যে অর্থাৎ নও মুসলিমের বাকি অংশ পড়ুন...
২০৫ পর্ব:
এখন এক কথায় যদি বলা হয় তাহলে বলতে হয়, যেহেতু আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে যে সৃষ্টি করা হলো। যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন-
وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلاَئِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الأَرْضِ خَلِيفَةً قَالُواْ أَتَجْعَلُ فِيهَا مَن يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لاَ تَعْلَمُونَ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সবাইকে বললেন-
إِنِّي جَاعِلٌ فِي الأَرْضِ خَلِيفَةً
নিশ্চয়ই আমি খলীফা পাঠাবো যমীনে। আসলে খলীফা হয়ে আছেন মালিক যিনি ম বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ মাস: যদি আকাশ মেঘলা থাকে তাহলে সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ মাসে শুধু একজন পুরুষ বা একজন মহিলা চাঁদ দেখলেই যথেষ্ট হবে। আর যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে তাহলে বহুসংখ্যক লোক চাঁদ দেখা আবশ্যক। এ প্রসঙ্গে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
وَإِذَا كَانَ بِالسَّمَاءِ عِلَّةٌ قَبِلَ الْإِمَامُ شَهَادَةَ الْوَاحِدِ الْعَدْلِ فِي رُؤْيَةِ الْهِلَالِ رَجُلًا كَانَ أَوْ امْرَأَةً حُرًّا كَانَ أَوْ عَبْدًا
অর্থ: “আর যখন আকাশে কোন ত্রুটি থাকবে অর্থাৎ আকাশ যখন মেঘলা থাকবে তখন ইমাম সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ মাসের চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে একজন ন্যায় পরায়ণ ব্যক্তির সাক্ষি গ্রহণ করবেন, হোক সেই ব্য বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: লংমার্চ জায়িয। কারণ, নবীজি তাবুকের জিহাদের সময় লংমার্চ করেছেন। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: লংমার্চকে তাবুকের জিহাদের সাথে তুলনা করা সুস্পষ্ট কুফরী। কেননা, লংমার্চ হচ্ছে কমিউনিষ্ট মাওসেতুং-এর পলায়ন পদ্ধতির নাম। আর এই পলায়ন পদ্ধতিকে জিহাদের সাথে তুলনা করা কাট্টা কুফরী। অতএব, লংমার্চকে জিহাদের সাথে তুলনা করা ও বিধর্মীদের পদ্ধতি লংমার্চকে অনুসরণ করা হারাম ও কুফরী।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ৯, ১১, ১৭, ১৮, ২৫, ৫০, ৮২, ৯৩, ৯৪, ৯৭ ও ১০৬ তমসংখ্যাগুলো পাঠ করুন]
[দলীলসমূহ: তাফস বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্য তারিখের রাত তথা পবিত্র শবে বরাত উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাতে সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং দিনের বেলা রোযা রাখবে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাতে সূর্যাস্তের সময় প বাকি অংশ পড়ুন...
(২১২ পর্ব)
আব্বা-আম্মা উনাদের বুযুর্গী
পূর্ব প্রকাশিতের পর
অনেকদিন কাজ করার পর আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ছালেহ মূসা জঙ্গী দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ছাওমাই রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বললেন, হুযূর আমার ফলের মূল্য কি এখনও পরিশোধ হয়নি? তিনি বললেন, হ্যাঁ হয়েছে। তবে আর একটি শর্তে আপনাকে মুক্তি দিতে পারি। আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ছালেহ মূসা জঙ্গী দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, কি সেই শর্ত? আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ছাওমাই রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বল বাকি অংশ পড়ুন...
২০৪
পবিত্র সূরা তাহরীম শরীফ উনার যখন ৫ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়ে গেলো, এরপরে এক মাস অতিবাহিত হলেন। এটাকে মানুষ ইলা’ বলে। পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস শেষ হলো। পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস শেষ হওয়ার পর পবিত্র ছফর শরীফ মাস শুরু হলো। এরপর আসার পরে এই তা’খীরের পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হলো, মানুষকে জানানো হলো, বুঝানো হলো। এরপরে উনাদের খুছূছিয়ত মুবারক বর্ণনা করার জন্য আবার বাকি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করা হলো এবং এরপরে নাযিল হলো এই শেষ আয়াত শরীফ খানা যে, আপনারা মানুষকে তা’লীম মুবারক দেন। এখন এটা তাছাউফের পরিভাষায় বলা হয় যিনি খ¦ বাকি অংশ পড়ুন...












