‘রহমতুল্লিল আলামীন’ লক্বব মুবারক সম্পর্কে কুফরীর অপবাদ দিয়ে এক চরম জাহিল, গণ্ড মূর্খ, রাজাকার জামাতীদের কিনা গোলাম ও দালাল,ভন্ড, প্রতারক নিজেকেই কাফির হিসেবে সাব্যস্ত করলো- কোনো মুসলমান নামধারী ব্যক্তি কুফরী করলে, তাকে মুরতাদ বলা হয়। তিন দিনের মধ্যে তওবা না করলে, সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। রাষ্ট্রদ্বীন ইসলামের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে রাজাকার জামাতীদের দালাল সমস্ত মুরতাদের সম্মানিত শর‘য়ী শাস্তি কার্যকর করা -৪
, ০৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৩ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ২২ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সমস্ত সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত স্বরূপ তথা ‘রহমতুল্লিল আলামীন’ কি কারণে- সে সম্পর্কে হযরত ইমাম আবূ মানছূর মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন,
رَحْمَةً مِّنَّا لِلْخَلْقِ لِاَنَّ مَنِ اهْتَدٰى وَاتَّبَعَهٗ كَانَ لَهٗ بِهٖ نَـجَاةٌ
অর্থ: “জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আমার পক্ষ থেকে সমস্ত সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত স্বরূপ তথা ‘রহমতুল্লিল আলামীন’। কেননা যে ব্যক্তি হেদায়াত লাভ করেছে বা করবে এবং (হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম) উনাকে অনুসরণ করেছে বা করবে, সে ব্যক্তি উনার কারনে নাজাত লাভ করবে। ” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে মাতুরীদী শরীফ ৭ম খন্ড ২২৮ পৃষ্ঠা)
তাহলে বুঝা গেলো যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করার কারণে যেহেতু উম্মত নাজাত লাভ করে থাকে, সে জন্য উনারা সমস্ত সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত স্বরূপ তথা ‘রহমতুল্লিল আলামীন’। সুবহানাল্লাহ! আর হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা যেহেতু হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্বায়িম-মাক্বাম, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের অবর্তমানে হযরত আউলিয়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মাধ্যমে, উনাদের ইতায়াত তথা অনুসরণ-অনুকরণের মাধ্যমে জিন-ইনসান হিদায়াত লাভ করতে থাকে, নাজাত লাভ করে থাকে, সেজন্য উনারাও নি:সন্দেহে সমস্ত সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত স্বরূপ তথা ‘রহমতুল্লিল আলামীন’। সুবহানাল্লাহ!
এ জন্যই যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّ رَحْـمَتَ اللهِ قَرِيْبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِيْنَ
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুহসিন বান্দা তথা ওলীআল্লাহ উনাদের নিকট রয়েছে। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
সুতরাং নি:সন্দেহে অবশ্যই অবশ্যই হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম, হযরত মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ‘রহমতুল্লিল আলামীন’। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো অবশ্যই ‘রহমতুল্লিল আলামীন’। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, উনার সম্মানার্থে উনার ক্বায়িম মাক্বাম হিসেবে সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম, হযরত মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও ‘রহমতুল্লিল আলামীন’। সুবহানাল্লাহ!
অতএব চরম জাহিল, গ- মূর্খ, রাজাকার জামাতীদের কিনা গোলাম ও দালাল, ভন্ড, প্রতারক লোকটি যে বলেছে, ‘পূর্বের কোনো নবীও রহমতুল্লিল আলামীন ছিলো না’। তার এই বক্তব্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের খিলাফ হওয়ার কারণে কাট্টা কুফরী হয়েছে। না‘ঊযুবিল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে মানছূর।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুলি মুবারক করা পানি কূপে পতিত হওয়ার কারণে কুপ থেকে মেশকের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক উনার মাঝে দায়িমীভাবে নূর মুবারক চমকানো
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাসি মুবারককালে পাশ্ববর্তী দেয়ালসমূহ আলোকিত হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)