মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেকী ও পরহেযগারীর মধ্যে সাহায্য-সহযোগিতা করো, পাপ ও নাফরমানীর মধ্যে সাহায্য-সহযোগিতা করো না।
৯৮ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- রাজধানীর দুই সিটিতে অবশ্যই কমপক্ষে ২০০টি হাটসহ সারাদেশের প্রত্যেক গ্রামে ও মহল্লায় পশুর হাটের ব্যবস্থা করে পবিত্র কুরবানীতে সাহায্য-সহযোগিতা করা। পাশাপাশি পবিত্র কুরবানী বিরোধী সমস্ত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয়া।
স্মরণীয় যে, ৯৮ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের মুসলমানরা পবিত্র কুরবানী বিরোধী কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র ও অসহযোগীতা কখনোই বরদাশত করবে না।
, ২৩ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৪ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১৩ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ৩০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অথচ সরকার গতবছরের মতো এবারও বিভিন্ন মিথ্যা অজুহাত দিয়ে রাজধানীতে লাখ লাখ মানুষের কুরবানির বিপরীতে মাত্র ১৬টি অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বসবে ৮টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বসবে ৮টি পশুর হাট। বিশেষজ্ঞরা বলছে, যেখানে ঢাকা শহরে প্রতি কুরবানির সময় গরু, খাসি, ভেড়া ইত্যাদি মিলিয়ে দেড় কোটি পশু জবাই হয়ে থাকে সেখানে মাত্র ১৬টি পশুর হাটের অনুমোদন দেয়া কোনোক্রমেই পবিত্র কুরবানিবান্ধব নীতি হতে পারে না। গুটিকয়েক কুরবানির হাটের কারণে প্রতিবছর ভোগান্তির শিকার হয় কুরবানিদাতারা। অল্প হাটের কারণে সুযোগ নেয় সিন্ডিকেট মহল। তাদের কারসাজিতে দাম বেড়ে যায় কুরবানির পশু। এমনিতেই বিগত কয়েক বছর ধরে দেশে মানুষের আয় কমে গেছে। তার উপর যদি কুরবানি নিয়ে বহুরূপী ষড়যন্ত্র চলে, মানুষ ভোগান্তির শিকার হয় তাহলে মানুষ পবিত্র কুরবানিতে নিরুৎসাহিত হবে। আর এটাই চাচ্ছে পবিত্র কুরবানিবিরোধী ইসলামবিদ্বেষী মহল।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে একটি মহল রয়েছে যারা মুশরিক ভাবাপন্ন ও মুশরিক তোষণকারী। তাদের প্রশ্রয় আস্কারা ও উস্কানীতে মুশরিকরা মাত্র ১.৫% হয়েও এদেশের ৯৮ ভাগ মুসলমানদের উপর আধিপত্য বিরাজ করতে চাইছে। সরকারি চাকরিতে ও সংস্কৃতিতে তাদের আগ্রাসন চালাচ্ছে। এরাই মূলত পবিত্র কুরবানীর বিরুদ্ধে একেক সময় একেক ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে। এ বছরেও তার ব্যাত্যয় ঘটেনি। এতে করে যেকোনো সময় মুসলমান জনসাধারণের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরবানী হলো ‘শিয়ারে ইসলাম’। এদেশের ৯৮ ভাগ মুসলমানরা উনাদের জীবনের চাইতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে বেশি ভালোবাসেন, প্রাধান্য দেন। কাজেই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার উপর আঘাত, পবিত্র কুরবানীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এদেশের ৯৮ ভাগ মুসলমান যে কোন মূল্যে অবশ্যই রুখে দিবে। ইনশাআল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- সরকার এবারও বিভিন্ন মিথ্যা অজুহাতে রাজধানীতে পবিত্র কুরবানীর পশুর হাট কমিয়ে দিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! যা স্পষ্টতই পবিত্র কুরবানীতে অসহযোগিতা ও পবিত্র কুরবানীর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের শামিল। নাউযুবিল্লাহ! তাই ৯৮ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- অতিসত্বর উক্ত কুফরী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়ে। রাজধানীর দুই সিটিতে কমপক্ষে ২০০টি হাটসহ সারাদেশের প্রত্যেক গ্রামে ও মহল্লায় পশুর হাটের ব্যবস্থা করে পবিত্র কুরবানীতে সাহায্য-সহযোগিতা করা। পাশাপাশি পবিত্র কুরবানী বিরোধী সমস্ত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয়া। স্মরণীয় যে, ৯৮ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের মুসলমানরা পবিত্র কুরবানী বিরোধী কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র ও অসহযোগীতা কখনোই বরদাশত করবে না।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ সুমহান ও বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবস্থায় পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! উনার পবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য।
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জ্বীন-ইনসান সকলের জন্যই ইখলাছ অর্জন করা ফরয। কেননা ইখলাছ ব্যতীত কোন ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কবুল হয় না। আর ইখলাছ হাছিল করতে হলে একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয।
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পূজা করা সুস্পষ্ট কুফরী-শিরকী। পহেলা বৈশাখ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ই বিধর্মীদের পূজার অন্তর্ভূক্ত। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে, কুফরী ও শিরকী সম্বলিত পহেলা বৈশাখ ও তৎসংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয় হতে নিজেকে সার্বিকভাবে বিরত রাখা।
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূল আর রবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এবং নকশবন্দিয়া-মুজাদ্দিদিয়া তরীক্বা উনার ইমাম, আফদ্বালুল আউলিয়া হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া মুতাবিক- মুসলমানদের জন্য পহেলা বৈশাখসহ যেকোনো নববর্ষ পালন করা কাট্টা হারাম, কুফরী ও ঈমান নষ্টের কারণ। নওরোজ বা নববর্ষ তথা কথিত বাংলা প্রকৃতপক্ষে ফসলী নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ মজুসী-মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধদের পূজার অংশ এবং তর্জ-তরীক্বা। এতে মুসলমানদের কোন অংশ নেই।কাজেই, পহেলা বৈশাখ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় হারাম ও কুফরী কার্যক্রম, পূজা-পার্বন এবং শরীয়ত বিরোধী এ হারাম কাজ উপলক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খুশি প্রকাশ করা হতে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরযে আইন।
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শাওওয়াল শরীফ। অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, মহাসম্মানিত ১২ই শরীফে” পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সেহেতু প্রতি আরবী মাসের এ মুবারক আ’দাদ শরীফ বা তারিখটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ছেলে-মেয়ের বিবাহের বয়স নির্দিষ্ট করে দেয়া বা বাল্য বিবাহে বাধা সৃষ্টি করা কাট্টা কুফরী। মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ঈমানদারদের বিবাহের কোন বয়স নির্দিষ্ট করে দেননি।
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা খাছ সুন্নত মুবারক ও জিহাদ স্বরূপ। বর্তমান সময়ে ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক।
০৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিধর্মীরা তাদের পণ্যদ্রব্যগুলো মুসলমান দেশে বিক্রি করে তার লভ্যাংশ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যয় করে। নাউযুবিল্লাহ! যার সাক্ষাত প্রমাণ হচ্ছে- পরগাছা ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী ইসরাইলের কর্মকাণ্ড।
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মু’মিন-মুসলমানরা যেন তাদের ছিরত-ছুরতে, খাওয়া-দাওয়ায়, উঠা-বসায় অর্থাৎ জীবনের প্রতিটি পদে পদে পবিত্র সুন্নত মুবারক পালন করতে পারে- সে উদ্দেশ্যেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে- “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র”। সুবহানাল্লাহ! কাফির-মুশরিকদের তর্জ-তরীক্বা, রীতি-নীতি বাদ দিয়ে একজন মুসলমানকে পরিপূর্ণ সুন্নত মুবারক উনার রঙ্গে রঞ্জিত হতে হলে “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র” উনার বিকল্প নেই।
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক বেমেছাল ফযীলতযুক্ত ৭ই শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি এই সুমহান দিন হচ্ছেন- মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দ্বিতীয় জিহাদ পবিত্র উহুদ জিহাদ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তাক্বওয়া হাছিল বা মুত্তাক্বী হওয়াই পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মূল শিক্ষা। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মাধ্যমে অর্জিত তাক্বওয়া পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার পরবর্তী মাসগুলোতেও বজায় রাখতে হবে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)