মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যেন লক্ষ্য করে, আগামী দিনের (পরকালের) জন্য সে কি (নেকী) পাঠিয়েছে।”
হায়াত, মাল-সম্পদ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হক্ব যারা আদায় করবেনা, তাদেরকে কিয়ামতের দিন অসহায় বকরীর ন্যায় উপস্থিত করা হবে।
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে গুনাহর কাজ করা থেকে বিরত থাকা। মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত নিয়ামতসমূহের যথাযথ হক্ব আদায় করা অর্থাৎ হায়াতকে নিয়ামত মনে করে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকা। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ অনুকরন করা, মাল-সম্পদকে মহান আল্লাহ পাক উনার পথে খরচ করা এবং দ্বীন ইসলাম মুতাবিক নিজেকে পরিচালিত করা।
, ২০ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ মে, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পরকালে নেককার ও বদকারদের অবস্থা কিরূপ হবে সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, হায়াত, মাল-সম্পদ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হক্ব যারা আদায় করবেনা, তাদেরকে কিয়ামতের দিন অসহায় বকরীর ন্যায় উপস্থিত করা হবে। পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “কিয়ামতের দিন আদম সন্তানকে অসহায় বকরীর ন্যায় আনা হবে। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মুখে দাঁড় করানো হবে। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে বলবেন, তোমাকে হায়াত দিয়েছি, মাল-সম্পদ দিয়েছি, তোমার প্রতি নিয়ামত দান করেছি অর্থাৎ দ্বীনে হক্ব দান করেছি। তুমি এই নিয়ামত মুবারক কি কাজে ব্যয় করেছো? তখন বান্দা বলবে, হে আমার রব! আমি সঞ্চয় করেছি ও উহা (ব্যবসা করে) বৃদ্ধি করেছি এবং যা ছিল তার চেয়ে বেশি রেখে এসেছি। অতঃপর আমাকে পুনরায় পাঠিয়ে দিন আমি সমুদয় সম্পদ নিয়ে আসবো। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে বলবেন, আমাকে দেখাও কি পাঠিয়েছো? অতঃপর সে বলবে, হে আমার রব! আমি জমা করেছি ও উহা (ব্যবসা করে) বৃদ্ধি করেছি এবং যা ছিল তার চেয়ে বেশি রেখে এসেছি। আমাকে পুনরায় পাঠিয়ে দিন আমি সমুদয় সম্পদ নিয়ে আসবো। যেহেতু বান্দা কোনো নেকী পাঠায়নি তাই তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।” নাঊযুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ক্বিয়ামতের দিন আদম সন্তানকে অসহায় বকরীর বাচ্চার ন্যায় মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মুখে এনে তিনটি নিয়ামত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। ১. হায়াত: সে তার হায়াতকে কীভাবে কাটিয়েছে নেক কাজে না বদ কাজে? ২. মাল-সম্পদ: সে তার মাল-সম্পদ কীভাবে উপার্জন করেছে এবং কোন পথে ব্যয় করেছে? মহান আল্লাহ পাক উনার পথে না গাইরুল্লাহর পথে? ৩. দ্বীন ইসলাম: সে কি দ্বীন ইসলাম অনুযায়ী জীবন পরিচালিত করেছে না করেনি? এগুলোর হক্ব সে কীভাবে আদায় করেছে? যে হক্ব আদায় করেনি সে বলবে, হে আমার রব! আমাকে পুনরায় পাঠিয়ে দিন এগুলোর হক্ব যথাযথভাবে আদায় করে ফিরে আসবো। তখন তার এ কথা গ্রহণযোগ্য হবে না যেহেতু সে কোনো নেক কাজ করেনি। তাই তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যেন ল্য করে, আগামী দিনের (পরকালের) জন্য সে কি (নেকী) পাঠিয়েছে। অর্থাৎ, নিজের আমল সম্পর্কে প্রত্যেককে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- হায়াত, মাল-সম্পদ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হক্ব যারা আদায় করবেনা, তাদেরকে কিয়ামতের দিন অসহায় বকরীর ন্যায় উপস্থিত করা হবে। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে গুনাহর কাজ করা থেকে বিরত থাকা। মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত নিয়ামতসমূহের যথাযথ হক্ব আদায় করা অর্থাৎ হায়াতকে নিয়ামত মনে করে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকা। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ অনুকরন করা, মাল-সম্পদকে মহান আল্লাহ পাক উনার পথে খরচ করা এবং দ্বীন ইসলাম মুতাবিক নিজেকে পরিচালিত করা। কাজেই, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদেরকে উনার মুহাব্বত-মা’রিফত, তাওয়াল্লুক-নিসবত, কুরবত মুবারক হাছিল করে উনার সন্তুষ্টি মুবারক অনুযায়ী আমল করার তাওফীক্ব দান করেন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন উনারা।
০৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করা ব্যতীত কেউ কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না। তাই, সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন- হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সমস্ত কিছু থেকে; এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি মুহব্বত করা, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক এবং সর্বোত্তম হুসনে যন বা সুধারণা পোষণ করা।
০২ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ) রাত্র মুবারক (এবং দিবস মুবারক) তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন উনার জন্য শাফা‘য়াতকারী হবো। ” সুবহানাল্লাহ!
০১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হায়াত, মাল-সম্পদ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হক্ব যারা আদায় করবেনা, তাদেরকে কিয়ামতের দিন অসহায় বকরীর ন্যায় উপস্থিত করা হব।
৩০ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
“আপনি বলুন, দুনিয়াবী সম্পদ সামান্য। আর মুত্তাকীগণ উনাদের জন্য পরকালই উত্তম এবং তোমাদের প্রতি সামান্য অবিচারও করা হবে না। " পরকালরে তুলনায় দুনযি়াবী সম্পদ অতি সামান্য।
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং অন্যদেরকেও পালন করার ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
২৮ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা বা বোরকা মুসলমানগণ উনাদের দ্বীনি অধিকার আর খাছ করে মুসলিম মহিলাগণ উনাদের সম্মান এবং ব্যক্তিত্বেরও প্রতীক। প্রত্যেক ঈমানদার পুরুষ ও মহিলার জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- শরীয়ত নির্দেশিত তারতীবে সঠিকভাবে পর্দা করা এবং সর্বপ্রকার বেপর্দা-বেহায়াপনা হতে বিরত থাকা। সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো-
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু”মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী।
২৬ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন তোমরা কাউকে আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালি দিতে দেখবে তখন তোমরা বলবে, তোমাদের এ মন্দ কাজের জন্য তোমাদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত।
২৫ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম” (সোমবার) পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা শ্রেষ্ঠ দিনসমূহেরও সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ!
২৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
“যদি তারা আপনাদের মতো (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো) ঈমান আনতে পারে; অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে। ” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি।
২৩ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
২২ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)