হত্যা সম্ভ্রমহরণ লুটতরাজের হোতা জামাত নেতা ঘোড়ামারা আজিজ (খ)
, ১৮ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ১১ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) বিশেষ প্রতিবেদন
আল ইহসান ডেস্ক:
মালানা আব্দুল আজিজ মুক্তিযোদ্ধাদের ত্রাস ছিল। সে মুক্তিযোদ্ধাদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করত। এ কারণে পাক বাহিনী এই রাজাকার কমান্ডার আব্দুল আজিজকে পুরস্কার হিসেবে একটি পিস্তল দিয়েছিল। এই পিস্তল দিয়ে সে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। একদিন সন্ধ্যার দিকে মাঠেরহাটের পাশে কমান্ডার আব্দুল আজিজ কয়েকজন রাজাকার নিয়ে একটি ব্রিজ পাহারা দিচ্ছিল। কারণ এই ব্রিজটি ভাঙ্গার পরিকল্পনা করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। হঠাৎ কিছু দূরে খটখট শব্দ ও কিছু একটা এগিয়ে আসতে দেখতে পায় ওরা। সঙ্গে সঙ্গে রাজাকারদের পজিশন নিতে নির্দেশ দিয়ে গুলি ছুঁড়তে থাকে এবং রাজাকারদেরও গুলির নির্দেশ দেয়। কিছুক্ষণ পর ঐ অদৃশ্য বস্তুটিকে দেখতে গিয়ে সে দেখতে পায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একটি ঘোড়া মারা গেছে।
সেই রাজাকার কমান্ডার আব্দুল আজিজ তার রাজাকার বাহিনী নিয়ে কোনো গ্রামে ঢুকলে সে গ্রাম মানুষশূন্য হয়ে পড়তো। যে যেদিকে যেখানে পারে লুকিয়ে পড়তো। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু, নারী কেউই তার হাত থেকে রেহাই পেত না। সন্দেহ হলেই তাকে রাজাকার দিয়ে পিঠমোড়া করে বেঁধে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে নিয়ে গিয়ে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করতো। ঘাতক আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে নারীর সম্ভ্রমহরণ ও নির্যাতনের বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। সে নিজে এবং তার রাজাকাররা বহু নারীর ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে এবং বহু নারীকে পাক বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে বিকৃত ভোগের জন্য।
এলাকাবাসী জানায়, (২০০১ সালের তথ্য) এই আব্দুল আজিজ তার বাড়ির কাজের মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তাকে সন্তানসম্ভাবা করে। এ নিয়ে অনেক দেন-দরবার এবং গ্রামে সালিশ বেঠকও হয়েছে বলে তারা জানায়। এই ঘটনা এবং পার্টির অর্থ ও মোটর সাইকেল আত্মসাতের দায়ে সে আমিরী পদ থেকে কিছুদিনের জন্য বরখাস্তও হয়েছিল। বর্তমানে আবার সে জামাতের জেলা আমীর পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ভারতীয় পানি আগ্রাসন, ফারাক্কা ও তিস্তা ব্যারেজ : বাংলাদেশের মরণ ফাঁদ (২)
২৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঘাদানি কমিটির শাহরিয়ার কবিরও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার (৫)
০৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঘাদানি কমিটির শাহরিয়ার কবিরও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার (৪)
০৬ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ঘাদানি কমিটির শাহরিয়ার কবিরও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার (৩)
০৫ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘাদানি কমিটির শাহরিয়ার কবিরও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার (৩)
০৫ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘাদানি কমিটির শাহরিয়ার কবিরও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার (২)
০৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ঘাদানি কমিটির শাহরিয়ার কবিরও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার (১)
০৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উপজাতি-পাহাড়িদের ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘রাজাকারগিরি’র উপাখ্যান (পর্ব-৬)
০১ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
উপজাতি-পাহাড়িদের ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘রাজাকারগিরি’র উপাখ্যান (পর্ব-৫)
৩১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উপজাতি-পাহাড়িদের ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘রাজাকারগিরি’র উপাখ্যান (পর্ব-৪)
৩০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতি-পাহাড়িদের ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘রাজাকারগিরি’র উপাখ্যান (পর্ব-৩)
২৯ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
উপজাতি-পাহাড়িদের ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘রাজাকারগিরি’র উপাখ্যান (পর্ব-২)
২৮ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)