সড়ক দুর্ঘটনার যে কারণটি নিয়ে কেউ কথা বলে না

, ৭ই শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২৪ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত

আজকাল পত্র-পত্রিকা খুললেই দেখা যায়, দেশের প্রায় অধিকাংশ জায়গায়, সড়ক দুর্ঘটনার খবর । দুর্ঘটনায় নিহত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। ক্ষতি হচ্ছে অগণিত জান ও মালের। কিন্তু কেন?

এর অন্যতম কারণ হচ্ছে মানুষ দ্বীন ইসলাম উনার থেকে সরে গেছে, ভুলে গেছে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক মত ও আদর্শ।

কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক করেন, “যেখানে কোনো প্রাণীর ছবি থাকে সেখানে রহমত উনার ফেরেশতাগণ প্রবেশ করেন না। ” নাউযুবিল্লাহ!

অর্থাৎ যে স্থানে কোনো মূর্তি বা ছবি থাকে সেখানে আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক থাকে না। শুধু তাই নয়, এই ধরনের অসংখ্য অগনিত উনার হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ছবিকে হারাম বলা হয়েছে।

কিন্তু হায় আফসুস, আমাদের দেশের উন্নতমানের যানবাহন থেকে শুরু করে নি¤œ শ্রেণীর যানবাহনগুলোতে চলছে অশ্লীল ও নগ্ন ভিডিও গান-বাজনা ও ছবি। যার ফলে যাত্রীরা যানবাহনে উঠেই এই হারাম অশ্লীল নগ্ন ভিডিও গান বাজনা ও ছবিগুলোতে ডুবে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

যেই সময় মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের যিকির ফিকির মুহব্বত মুবারকে মশগুল থাকার কথা ছিল অথচ সেই সময় মানুষগুলো এই হারাম কাজে মশগুল থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

যার ফলে তাদের জীবনে নেমে আসে বিভিন্ন সমস্যা ও প্রতিপ্রতিকূলতা। রেহাই পায় না কেউ। ফলশ্রুতিতে সড়ক দূর্ঘর্টনাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমুক্ষিন হতে হয়।

এর জন্য দায়ি কে? দায়ি তারা নিজেরাই। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, জমীনে পানিতে যত ফিৎনা-ফাসাদ, সব মানুষের তাতের কামাই।

-মুহম্মদ জাকারিয়া।