সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে বিশেষ মেহমানদারী মুবারক এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাহফিল মুবারক তদারকী করা:
, ২৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০১ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৪ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই ছফর শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “গতকাল (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫ই ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ অর্থাৎ লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাতে) একখানা ঘটনা মুবারক ঘটেছেন। ঘটনা মুবারকখানা হলেন- ৫ই ছফর শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। এখন আগে কি হয়েছে জানি না; তবে মনে হলো যেন উনি আমাকে উনার অনুষ্ঠানে সবসময় দাওয়াত দেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) কালকে তিনি আমাকে দাওয়াত মুবারক দিয়েছেন। আমি উনার ওখানে গেলাম। উনি আমাকে ‘হাইস্’ (খেজুর, মাখন/ঘি ও পনির দ্বারা তৈরী এক প্রকার খাবার) খাওয়ালেন আর একটা ঝাল ঝাল কি যেন খাওয়ালেন। মনে হলো, উনি যেন সবসময় আমাকে দাওয়াত দেন। খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর উনি আমাকে বললেন যে, ‘আমাদের আলোচনা মুবারক যখন করা হয়, তখন আমাদের আলোচনা মুবারক এবং আমাদের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের আলোচনা মুবারকও যেন করা হয়। অন্য আলোচনা যেন না করা হয়। ’ দুই জনের অর্থাৎ প্রথম আর শেষে যেই দুইজন আলোচনা করেছে, তাদেরটা ঠিকই ছিলো। আর মাঝখানে যে আলোচনা করেছে, সে কিছু আনুষাঙ্গিক আলোচনা করেছে। সে প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনি বলেছেন যে, ‘আমাদের আলোচনা করার মধ্যে অন্য আলোচনা যেন না আসে। ’ এটা উনি আমাকে বললেন। আমি শুনলাম। ঠিক আছে। বুঝতে পারলে? মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে দাওয়াত মুবারক দিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আরজী: কোথায় দাওয়াত দেয়া হয়েছে?
জওয়াব মুবারক: উনার বাড়িতে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার বাড়িতে, যেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ। যেখানে উনারা থাকতেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ।
আরজী: আর কেউ ছিলেন?
জওয়াব মুবারক: আর কেউ ছিলেন না। উনাকেই আমি দেখেছি, আর কাউকে দেখিনি। মনে হলো যেন উনি সবসময়ই উনার অনুষ্ঠান মুবারক-এ আমাকে সম্মানিত দাওয়াত মুবারক দেন। এই বারও দাওয়াত মুবারক দিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আরজী: তাহলে উনারা খুব ভালোভাবেই বিষয়গুলি খেয়াল করেন।
জওয়াব মুবারক: নিশ্চয়ই। তা না হলে উনি এটা বললেন কেন্?
আরজী: সবই শুনেন।
জওয়াব মুবারক: না শুনার তো কিছু নেই। হাযির-নাযির হলে তো শুনা যায়ই। হাযির-নাযিরের ব্যাপার আছে, আবার অনেকগুলি বিষয় আছে মহান আল্লাহ পাক উনি কুদরতীভাবে শুনিয়ে দেন। অনেক রকম আছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আরজী: রাতে, না দিনে?
জওয়াব মুবারক: রাতে।
আরজী: ছোহবত মুবারক উনার পরে?
জওয়াব মুবারক: না, না, না। প্রথম জনের আলোচনা শেষ হয়ে, ২য় জন যখন আলোচনা শুরু করলো, তার একটু পরে। অর্থাৎ সোয়া ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে।
আরজী: ৮-১০ বছর আগে। প্রতিযোগীতা শরীফ মাহফিল শেষ হওয়ার পর যখন ওয়াজ শরীফ মাহফিল শুরু হলেন, সেই ওয়াজ শরীফ মাহফিল উনার ১ম দিন। মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম বলেছিলেন যে, ‘আজকে আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নিয়ে যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মিম্বার শরীফ-এ বসলাম, তখন দেখলাম- স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ঘুরে ঘুরে দেখতেছেন, কে কে মাহফিল মুবারক-এ উপস্থিত হয়েছেন। ’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
জওয়াব মুবারক: দেখেনই তো। এটা অস্বাভাবিক কিছুই না, স্বাভাবিক। সবসময়ই দেখেন। উনি তো সব জায়গায় হাযির-নাযির। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা তো স্বাভাবিক।
মুহাব্বতটা কি এভাবেই পাওয়া যায়? উনারা কি এমনে দাওয়াত দেন? মোফতে দাওয়াত দেন? মোফতে না। হ্যাঁ; তবে সব কথা বলা যাবে না। যতটুকু বলা যায়, এতোটুকু বলি শুধু। কোথায় আসমান! কোথায় যমীন! উনি তো আসমানে; বরং আরো উপরে। উনি দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাবেন কেন? উনার কি কোনো প্রয়োজন পড়েছে দাওয়াত দেয়ার? না; বরং মুহব্বত-নিসবত মুবারক উনার কারণে দাওয়াত দেন। ” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কত বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ মাল-জান, সময় সমস্ত কিছু দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৭)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (১)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৪)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৬)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক (৩)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)