সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠকারী উনাদের জন্য বিশেষ সুসংবাদ মুবারক (৪)
, ২১ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
هَبَطَ الْمَلَائِكَةُ الْاَرْبَعَةُ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ حَضْرَتْ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ مِيْكَائِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ اِسْرَافِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ عَزْرَائِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَقَالَ حَضْرَتْ عَزْرَائِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا حَبِيْبِىْ يَا سَيِّدَنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَعَمْ يَا حَضْرَتْ عَزْرَائِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ مَنْ صَلَّ عَلَيْكَ عَشَرَةً صَبَاحًا وَمَسَاءً اَخَذْتُ رُوْحَهٗ كَمَا تُأْخَذُ الشَّعْرَةُ مِنَ الْعَجِيْنِ وَفِىْ رِوَايَةٍ اُخْرٰى اَقْبِضُ رُوْحَهٗ كَمَا قَبَضْتُّ اَرْوَاحَ الْاَنْۢبِيَاءِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَقَالَ حَضْرَتْ اِسْرَافِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا حَبِيْبِىْ يَا سَيِّدَنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَعَمْ يَا حَضْرَتْ اِسْرَافِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ مَنْ صَلَّ عَلَيْكَ عَشَرَةً صَبَاحًا وَمَسَاءً سَجَدْتُّ سَجْدَةً تَحْتَ الْعَرْشِ لَمْ اَرْفَعْ رَأْسِىْ مِنْهَا حَتّٰى يُغْفَرَ لَهٗ وَقَالَ حَضْرَتْ مِيْكَائِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا حَبِيْبِىْ يَا سَيِّدَنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَعَمْ يَا حَضْرَتْ مِيْكَائِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ مَنْ صَلَّ عَلَيْكَ عَشَرَةً صَبَاحًا وَمَسَاءً اَعْطَيْتُهٗ شَرْبَةً لَا يَظْمَاُ بَعْدَهَا اَبَدًا وَقَالَ حَضْرَتْ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا حَبِيْبِىْ يَا سَيِّدَنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَعَمْ يَا حَضْرَتْ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ مَنْ صَلَّ عَلَيْكَ عَشَرَةً صَبَاحًا وَمَسَاءً خَطِفْتُهٗ مَنْ عَلَى الصِّرَاطِ كَالْبَرْقِ
অর্থ: “(একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার লক্ষ্যে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ) হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি, হযরত মীকাঈল আলাইহিস সালাম তিনি, হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম তিনি এবং হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা এই চারজন প্রধান ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আসলেন। (উনারা এসে উনাদের আরজী পেশ করলেন। প্রথমে) হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- হ্যাঁ; হে হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম! (আপনি বলুন)। তিনি বললেন- ‘আপনার যেই উম্মত সকালে এবং সন্ধ্যায় অর্থাৎ দৈনিক মাত্র দশবার আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করবেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন, আমি ঐ ব্যক্তি উনার রূহ এমনভাবে কবজ করবো যেভাবে ময়দার তাল (তৈলাক্ত খামির) থেকে একটি চুল বা পশম আলাদা করা হয়। অর্থাৎ বীনা কষ্টে উনার রূহ কবজ করা হবে।’ সুবহানাল্লাহ! অন্য বর্ণনায় রয়েছেন, ‘হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত রূহ মুবারক যেভাবে কবজ করা হয়, আমি সেভাবে উনার রূহ কবজ করবো’। সুবহানাল্লাহ! আর হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- হ্যাঁ; হে হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম! (আপনি বলুন)। তিনি বললেন- ‘আপনার যেই উম্মত সকালে এবং সন্ধ্যায় অর্থাৎ দৈনিক মাত্র দশবার আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করবেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন, (ক্বিয়ামতের দিন) ঐ ব্যক্তি উনার জন্য আমি সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক উনার নীচে এমনভাবে সিজদাহ্ দিবো যে, ঐ ব্যক্তি উনাকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত আমি আমার মাথা উঠাবো না।’ সুবহানাল্লাহ! আর হযরত মীকাঈল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- হ্যাঁ; হে হযরত মীকাঈল আলাইহিস সালাম! (আপনি বলুন)। তিনি বললেন- ‘আপনার যেই উম্মত সকালে এবং সন্ধ্যায় অর্থাৎ দৈনিক মাত্র দশবার আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করবেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন, ঐ ব্যক্তি উনাকে আমি (নিজ হাতে) হাউযে কাউছারের পানি পান করাবো, যা পান করার পর তিনি আর কখনই পিপাসার্ত হবেন না।’ সুবহানাল্লাহ! আর হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- হ্যাঁ; হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম! (আপনি বলুন)। তিনি বললেন- ‘আপনার যেই উম্মত সকালে এবং সন্ধ্যায় অর্থাৎ দৈনিক মাত্র দশবার আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করবেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন, ঐ ব্যক্তি উনাকে আমি নিজে বিদ্যুতের ন্যায় দ্রুত গতিতে পুলছিরাত পার করে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ নিয়ে যাবো’।” সুবহানাল্লাহ!
তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আওলাদি রসূলিল্লাহ, জামিয়াতুল মাক্বামাত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীমাহ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২২)
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (২)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নযরে রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৮)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২১)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)